somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্যাকিং টিপস

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মিল্লাত বগুড়া বইপত্র: হাতে হাতে
ডেভিভারী হলে ভালো কাগজ
ও পলিব্যাগ ব্যবহার করুন।
কুরিয়ারে পাঠালে এই দুটির জন্য
প্যাকেটটি সোটা কসটেপে
মুড়ে নিন, কয়েকটি হলে
প্যাকিং করার আগে সুতলী
দিয়ে বেঁধে নিন। তবে
প্যাকিং পরে অবশ্যই ক্রস করে
বাঁধবেন। বেশী হলে, ২০ কেজীর
বেশীর ক্ষেত্রে প্লাসটিক বা
পাটের চটে মুড়ে নেন। মুড়ার জন্য
এধ ধরনের ৬ ইঞ্চি লম্বা সুই
পাওয়া যায়। সুতলী দিয়ে
সেলাই করে দিতে হয়। তার
নিচে একটি পলিথিন থাকলে
ভালো কোন কারণে ভেজার
সম্ভাবনা থাকবেনা্।
জুতা, কাপড়, ফ্যাশনওয়ার: মোটা
কাগজ বা পলিব্যাগে প্যাক করুন।
তারইপর মোটা টেপ মুড়ে দিন।
জুতা হলে চাপ না পড়ে এমন ব্যাগ
ব্যবহার করুন। যা দিয়ে মুড়বেন
সুতলী বা টেপ তা যেন শক্ত হয়।
সুতলী দিয়ে মুড়লে গালা
ব্যবহার করতে পারেন।
প্যাকের গায়ে সুন্দরভাবে নাম
ঠিকানা লিখুন, প্রেরক ও
প্রাপকের ফোন নং লিখুন। ফোন
নম্বরটা ভালো ভাবে লিখুন।
শেষবারের মতো চেক করে নিন।
চালান নং ও তারিখ লিখে দিন
প্যাকের গায়ে কোন কারণে
মিসিং বা ডিলে হলে পরে
কাজে লাগবে।
মিস্টি ও খাবার: শক্ত প্লাস্টিক
বাটিতে দিয়ে টেপ দিয়ে মুড়ে
দিন যেন লিকুইড না চুয়ে পড়ে।
বাটিটা শক্ত হওয়া চাই যেন
ভেঙ্গে না যায়। মূল পাকেট
বাটিতে হলেও ভিতের একটি
পলিব্যাগ থাকা চাই। আর
বাটিটা যদি কার্টনে দেয়া
যায় তাহলে আরো ভালো। আর
তা না হলেও কাগজে টেপ মুড়ে
দিতে হবে। ভ্যাকুয়াম প্যাকিং
দিতে পারলে সর্বোত্তম। তবে
মজবুত হতে হবে যেন চাপে
ভেঙ্গে না যায়।
অলংকার, কসমেটিকস শক্ত
বাক্সে প্যাক করুন যেন সাধারণ
চাপে ভাঙার সম্ভাবনা না
থাকে। সবজি ও খাবার
প্যাকিং স্বাস্থ্যসম্মত ব্যাগ
ব্যবহার করুন। কাঁচের মাল কোন
একটা নিদিৃস্ট স্টেচারে বসান।
সেটা সমভব না হলে প্রতিটির
উপরে নিচে পাশে কাগজের
রোল বানিয়ে ব্যবহার করুন।
যাতে চাপটা সালানো যায়।
ভঙ্গুর চিহ্ন একে দিন, চোখে
পড়ার মত করে কাচের মাল
লিখে দিন। মাল বুকিং দেয়ার
সময়ও একই কথা উল্লেখ করুন। মূল
কার্টনটি কিন্তু শক্ত ও মোটা
হওয়া চাই। ৫০ টাকা সেভ করার
জন্য ৫০০ টাকার পন্য নস্ট করবেন
না।
মাছ মাংশ শাক সবজি: এসবের
ক্ষেত্রে গরম কোন কিছু দেবেন
না। খুব টাইট বা চাপাচাপি
করে প্যাকিং করবেন না।
বোতল: কাচের বোতল হলে
কাচের পন্যের নিয়মে প্যাক করুন।
প্লাস্টিকের বা কাচের বোতল
হলে তা খাড়াভাবে রাখা
যায় সেভাবে প্যাক করুন। এতে
করে বোতলটি বেশী চাপ নিতে
পারবে। অন্য যেকোনো
বোতলের তুলনায় সফট ড্রিংকের
বোতলগুলো মজবুত। সহজে ভেঙ্গে
যায়না এবং ফাটেনা। লিকুইড
প্রেডিাক্টস এর জন্য বোতল
ভালো। এক্ষেত্রে যদি
অনেকগুলো বোতল একটি
প্লাসিটকের কেইসে দেয়া যায়
তাহলে সবচে ভালে। অথবা 8/10
টা বোতল সারিবদ্ধভাবে 2
সারিতে টেপিং করা যায়
তাহলেও চলে। খাড়া অবস্থায়
এসব বোতল বেশ চাপ দিতে
পারে। তবে এগুলো সব সময় যেন
দাড়ানো থাকে সেটা খেয়াল
রাখতে হবে। কাত হয়ে পড়ে
গেলে অন্য মালের ছাপে সমস্যা
হতে পারে। এক দুটি বোতল হলে
সেটা কার্টনে দেয় যায়। তবে
বড় 2/1 টি বোতলে দেয়ার চেয়ে
ছোট 4/6 টি বোতলে সারি করে
কেইস কার্টন বা টেপিং করে
খাড়াভাবে দেয়া ভালো।
তবে এক্ষত্রে বোতলের চিপি
ভালোেোবে লাগাতে হবে।
সাধারণ ছিপি হলে টেপ দিয়ে
মুড়ে দেয়া যায়। বন্ধ করার সময়
আইকা দিয়েও করলেও কাজ হয়।
সবচে বড় সুবিধা হলো ছিপি
লাগানোর মেশিন কিনে
ছিপি লাগানো। তবে বোতলটি
কার্টনে ঢোকানের আগে
ভালে পলিথিনে মুড়ে নিলে
আরো এক স্তরের নিরাপত্তা
বাড়বে। আর একটি বোতল দিলে
তার চারপাশে কাটা কাগজ এর
সাপের্টি দিতে পারেন। যেটা
ফোম এর কাজ করবে। দিতে
পারেন পুরণো পত্রিকা ছিড়ে
কাগজের ছোট ছোট বল বানিয়ে
সে বল চারদিকে রেখে টেপ
দিয়ে মুড়ে নিতে পারেন।
চাপটা লাগব হবে। প্যাকিং এর
পর বুকিং দেয়ার আগে লিখে
দিন যে ভেতরে বোতল আছে।
একটা চিহ্ন দিয়ে বুঝিয়ে দিন
উপরের দিকটা কোন দিকে।
প্যাকেটের গায়ে না ঠিকানা
লেখার সময় উপর নিচ ঠিক রেখে
লিখুন। যদি কেউ সুন্দর বনের মধু
বেচতে চান। তার জন্য এটা
ভালো। মধু ছোট বৈয়ামে হলে।
সেই বৈয়ামটা একটা ভালো
কোম্পানীর প্লাসিটেকর
কনটেইনারে বসিয়ে নিন। যে
কন্টেইনারটা বয়াম এর চেয়ে
অল্প বড়ো হবে। ভেতরে কাগজ,
খড় বা গাছের পাতা দিন।
যাতে বয়ামটা নড়াচড়া না
করে। এতে চাপও কমবে।
কন্টেইনারটার দামও গ্রাহকের
কাছ থেকে নিতে পারেন।
অথবা সেটা আপনি গিফট
গিসেবেও দিতে পারেন। মনে
রাখবেন কনেইনারটা কিন্তু
ভালো ব্রান্ডের হওয়া চাই,
তাহলে মজবুত হয়ে থাকবে।
এছাড়া প্যাকিং সুন্দর ও
আকর্ষণীয় হওয়া চাই। প্রয়োজনে
কোম্পানীর নাম লোগেসহ ব্যাগ,
কার্টন, টেপ ও স্টিকার ব্যবহার
করুন।
নাম ঠিকানা: প্রাফক এবং
প্রেরকের না ঠিকানা ও ফোন
নং বিস্তারিত এবং স্পষ্ট করে
বড় আকারে লিখুন। কোন
নির্দেশনা থাকলে তাও লিখুন।
যেমন – সরকারী সম্পদ, কাচের
মাল, প্লাস্টিকের মাল, খাবার
সামগ্রী, জরূরী, ইত্যাদি লিখে
দিতে পারেন।
ব্যক্তিগত প্যাকিং নোট: কিকি
জিনিস প্যাক করবেন তার একটা
তালিকা করে রাখুন। হাতের
কাছে খবরের কাগজ, বড়
প্লাস্টিকের ব্যাগ, কার্টন,
কাঁচি, এন্টি কার্টার, স্টিকিং
টেপ, প্লাসিটক ব্যাগ, পলিথিন
এবং টিস্যু পেপার রাখুন।
জিনিস রাখার আগে কার্টন বা
কার্ডবোর্ডের বাক্সের নিচের
অংশে ভালো করে টেপ
লাগিয়ে নিন যাতে বাক্স
ছিঁড়ে পড়ে না যায়। ক্রস করে
অথবা প্যাচ দিয়েও টেপ
লাগাতে পারেন। বাক্সে
ঢোকানোর আগে প্রত্যেকটি
জিনিস আলাদা আলাদাভাবে
প্যাক করুন। চাপ নিতে পারে এমন
জিনিস নিচে রাখুন। টিভি,
সিডি প্লেয়ারের মতো
ইলেকট্রনিক গ্যাজেটগুলো
তাদের নিজস্ব বাক্সেই প্যাক
করুন। ককসিটের ফোমটা
ফেলেদেবেননা। সেটা পন্যকে
সেভ করবে। দিামি শো-পিস বা
ফুলদানি প্যাক করার আগে
তোয়ালে বা শাড়ি দিয়ে মুড়ে
নিন।খবরের কাগড় ছিড়ে বা
দুমড়ে মুছড়ে গোল করে
পাখেটের নিচে উপরে ও পাশে
দিন যদি সেটা ভঙাগুর কোন পন্য
হয়। ছোট ছোট বাক্সে টাইট করে
বই প্যাক করুন। ছোট ছোট
বাক্সগুলো পরে দড়ি দিয়ে একটা
প্যাক করতে পারেন। লিক প্রুফ
কনটেইনারে ওষুধ ক্যারি করুন। ৗ
ষধ ক্যারী করার সময় তাপমাত্রার
কথা মাথার রাখুন।
েিরফ্রিজারেটর প্যাক করার
অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে ফাঁকা করে
ফেলুন। গ্যিাস ওভেন,
সিলিন্ডার, ডোরবেল, লাইট
সবার শেষে নেওয়ার ব্যবস্থা
করুন। প্রফেশণাল লোক দিয়ে
পরিবহন করুন। জিনিস নস্ট হওয়ার
সম।বাবনা থাকবেনা।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি ভালো আছি

লিখেছেন জানা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯



প্রিয় ব্লগার,

আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আমার ড্রোন ছবি।

লিখেছেন হাশেম, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩

বৃহত্তর প্যারিস তুষারপাত।

ফ্রান্সের তুলুজ শহরে বাংলাদেশের প্রথম স্থায়ী শহীদ মিনার।

হ্যাসল্ট, বেলজিয়াম।

ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী ফ্রান্সের ফ্রিওল আইল্যান্ড।


রোডেসিয়াম এম রেইন, জার্মানি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতার সুফল কতটুকু পাচ্ছে সাধারণ মানুষ

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৮

(১) আমলা /সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীর সন্তানদের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব হতাশাজনক। মুক্তিযুদ্ধের ১৯৭১ সালের রক্ত দেওয়া দেশের এমন কিছু কখনো আশা কি করছে? বঙ্গবন্ধু এমন কিছু কি আশা... ...বাকিটুকু পড়ুন

এলজিবিটি নিয়ে আমার অবস্থান কী!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১০ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:১৫

অনেকেই আমাকে ট্রান্স জেন্ডার ইস্যু নিয়ে কথা বলতে অনুরোধ করেছেন। এ বিষয়ে একজন সাধারণ মানুষের ভূমিকা কী হওয়া উচিত- সে বিষয়ে মতামত চেয়েছেন। কারণ আমি মধ্যপন্থার মতামত দিয়ে থাকি। এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলমানদের বিভিন্ন রকম ফতোয়া দিতেছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩


আপন খালাতো, মামাতো, চাচাতো, ফুফাতো বোনের বা ছেলের, মেয়েকে বিবাহ করা যায়, এ সম্পর্কে আমি জানতে ইউটিউবে সার্চ দিলাম, দেখলাম শায়খ আব্দুল্লাহ, তারপর এই মামুনুল হক ( জেল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×