somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জঙ্গিদের দেশ থাকে, ধর্ম থাকে, ভাষাপ্রেমও থাকে

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার অবন্তীপোরায় সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) কনভয়ে জঙ্গি হামলায় একচল্লিশ জন জওয়ান নিহত হয়েছেন। নিঃসন্দেহে এটা কষ্টদায়ক একটি ঘটনা। এটা নিন্দ্যনীয় এবং ঘৃণ্য একটি কাজ। এই ঘটনার ফলে সাধারণ ভারতবাসীর মনে রাগ-ক্ষোভ জন্মাবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই ঘটনার জেরে দেশপ্রেমের জিগির তুলে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে অবস্থানরত নানান শ্রেণি-পেশার কাশ্মীরি নিরীহ জনগণের ওপর যেভাবে হামলা চালানো হচ্ছে, তা দুঃখজনক এবং নিন্দ্যনীয়। পশ্চিমবঙ্গের তাহিরপুরে অস্থায়ীভাবে থাকা কাশ্মীরি শাল বিক্রেতা জাভেদ আহমেদ খানকে মেরে নাক ফাটিয়ে তাকে রক্তাক্ত করা হয়েছে। এই কাজটি করেছে নিশ্চয় গুটিকতক অর্বাচীন হিন্দু। এই অর্বাচীনদের বুঝতে হবে জঙ্গি হামলার বিপরীতে তারা যে কাজটি করেছে, সেটাও জঙ্গি পন্থাই। আর এই কাজ অনবরত করতে থাকলে কাশ্মীর তো বটেই, ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের মুসলিম যুবকরাও জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়তে উৎসাহ পাবে। এদের নিজের ভেতরে ক্ষোভ জন্মাবে, আর এটাকেই পুঁজি করবে জঙ্গিরা। জঙ্গিরা মুসলিম যুবকদের বলবে,‘দ্যাখো আমাদের জাত ভাইকে কিভাবে মারছে, এসো আমরা প্রতিশোধ নিই। প্রতিশোধ নিতে গিয়ে যদি তোমরা মরেও যাও, তাহলেও তোমরা বেহেশতে যেতে পারবে।’



জাভেদ যদি এখন কাশ্মীরে ফিরে পাকিস্তানীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে এর জন্য দায়ী থাকবে পশ্চিমবঙ্গের গুটিকতক অর্বাচীন হিন্দু; যাদের সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনীতি, ইতিহাস সম্পর্কে গভীর পাঠ ও জ্ঞান নেই। উগ্র এবং তথাকথিত দেশপ্রেমিকদের হাতে মার খেয়েও জাভেদ বলেছে,‘জানি মুষ্টিমেয় কিছু লোক বিদ্বেষ ছড়াতে এ সব করছে। এতে ভয় পাব না। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের উপরে পূর্ণ আস্থা রয়েছে আমাদের। এতোদিন এখানে ব্যবসা করছি আমরা। এখানকার মানুষের এতো ভালবাসা পেয়েছি। যারা এসেছিল তারা আমার পরিচিত নয়। ভয় পেয়ে চলে যাওয়ার প্রশ্নই নেই।’

জাভেদই প্রকৃত ভারতীয়, প্রকৃত দেশপ্রেমিক; একজন দেশপ্রেমিকের ভাষা এমনটাই হওয়া উচিত, নিরীহ মানুষের রক্ত ঝরিয়ে দেশপ্রেমিক হওয়া যায় না। জন্মসূত্রে জাভেদ মুসলমান, তার ধর্ম ইসলাম। কিন্তু জাভেদের এই কথা ইসলামিক নয়, মানবিক।

কথা হলো, জাভেদ হয়তো জঙ্গি হবে না, কিন্তু সারা ভারতে তো জাভেদের মতো অনেক কাশ্মীরি তরুণ আছে, তারা তো প্রহৃত হয়ে জঙ্গিবাদের পথে পা বাড়াতে পারে। একটা কথা মনে রাখতে হবে-মুসলমান মাত্রই জঙ্গি নয়, তবে সম্ভাবনা। কেননা জঙ্গিবাদে আকৃষ্ট হবার মতো সব উপাদানই আছে কোরান, হাদিস এবং মুহাম্মদের জীবনীতে। উগ্রতার মাধ্যমে সেই সম্ভাবনাকে কোনোভাইে আরো উসকে দেওয়া যাবে না, বহুগুণে বাড়িয়ে তোলা যাবে না। কাশ্মীরি যুবকদের কোনোরকম প্রহৃত না করে বরং তাদেরকে ইসলামের বর্বরতার ইতিহাস জানাতে হবে, মুহাম্মদের নৃশংসতার ইতিহাস জানাতে হবে। কাশ্মীরি তরুণদেরকে জানাতে হবে যে তাদের পূর্বপুরুষদের কিভাবে নির্যাতনের মাধ্যমে ধর্মান্তর করে মুসলমান বানানো হয়েছে। ভারতে ইসলাম প্রবেশের পর বিভিন্ন সময়েই কাশ্মীরের জনগণের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে মুসলমানরা। যেমন-সুলতান সিকান্দার ছিলেন প্রচণ্ড মূর্তিপূজাবিরোধী। তার আমলে কাশ্মীরের বিপুল সংখ্যক হিন্দু মন্দির ধ্বংস করা হয়, অসংখ্য হিন্দুকে হত্যা এবং ধর্মান্তরিত করা হয়। আবার সুলতান সিকান্দারের উত্তরসূরী শাসক সুলতান জয়নুল আবেদীন বেশ উদার ছিলেন, তিনি ধর্মান্তরিত নব্য মুসলমানদেরকে হিন্দুধর্মে ফিরে যাবার সুযোগ দিয়েছিলেন। তখন আবার অনেকেই হিন্দু ধর্মে ফিরে আসে। এরপর মালিক রায়নার শাসনামলে পুনরায় হিন্দুদের ওপর জুলুম শুরু হয়। বল প্রয়োগ এবং ভয়ভীতির মাধ্যমে বহু সংখ্যক হিন্দুকে মুসলমান করা হয়। কিন্তু যখনই কোনো শাসক কিছুটা উদারতা দেখিয়েছেন, তখনই কাশ্মীরের মানুষ পুনরায় হিন্দুধর্মে ফিরে এসেছে। কাশ্মীরের শ্রেষ্ঠ সুফি সাধক বলা হয় আমীর শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইরাকীকে, মূর্তিপূজা বিদ্বেষী এই সুফি সাধকের প্ররোচনায় কাজী চক ১৫১৮ সালের আশুরার দিনে বিপুল সংখ্যক ইসলামত্যাগী হিন্দুকে হত্যা করে।

এই যে কাশ্মীরের মানুষকে হত্যার ইতিহাস, নিপীড়নের ইতিহাস,ধর্মান্তরের ইতিহাস; তা তো আজকের কাশ্মীরের মানুষের পূর্বপুরুষদের ইতিহাস। এই ইতিহাস কাশ্মীরের মানুষকে জানাতে হবে, বোঝাতে হবে। শুধু কাশ্মীর কেন? সমগ্র ভারতবর্ষের, সমগ্র পৃথিবীর মুসলমানকে তাদের পূর্বপুরুষদের নিপীড়নের এই ইতিহাস জানাতে হবে। দেশপ্রেমের জিগির তুলে কাশ্মীরিদের ওপর হামলা করা অর্বাচীন হিন্দুগুলো কি এইসব ইতিহাস জানে? জানে না। তাদের উগ্র মস্তিষ্ক জ্ঞানচর্চার সময় পায় না।

একজন নাস্তিক হিসেবে আমি অবশ্যই চাইবো পৃথিবীর সব মুসলমান এবং অন্যসব ধর্মের মানুষ নাস্তিক হোক। কিন্তু কখনোই কোনো মুসলমান বা অন্য কোনো ধর্মাবলম্বীকে আমি প্রহার করবো না। কেননা আমি বিশ্বাস করি, ধর্ম পালন না করা যেমনি আমার মানবাধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার; তেমনি ধর্ম পালন করাও একজন মানুষের মানবাধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার। ফলে আমি লিখে একজন ধার্মিক মানুষের ঘুমন্ত বোধ জাগানোর চেষ্টা করবো। তেমনিভাবে কোনো হিন্দু যদি মনে করে তার কাছে যথেষ্ট যুক্তি আছে, সেও লিখে বা কথা বলে বুঝিয়ে কোনো নাস্তিক বা ভিন্ন ধর্মাবলম্বীকে তার ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট করিয়ে ধর্মান্তরিত করতে পারে। মায়াপুর ইস্কন মন্দিরে গেলে অনেক ধর্মান্তরিত শেতাঙ্গ নব্য হিন্দু দেখতে পাওয়া যায়। ইস্কনের প্রভুরা যুক্তি দিয়ে-বুঝিয়ে এদেরকে ধর্মান্তরিত করেছেন।নাস্তিকদের লেখা পড়ে বহু ধর্মবিশ্বাসী নাস্তিক হয়েছেন। কিন্তু সমস্যা হলো যারা মারমুখী বা দাঙ্গাপ্রিয় ধার্মিক, তাদের কাছে যুক্তি থাকে না, সহনশীলতার শিক্ষা থাকে না, থাকে কেবল অন্ধ বিশ্বাস।

১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর ভারতের অন্যান্য রাজ্যে কাশ্মীরিরা যে সহিংস হামলার শিকার হচ্ছেন তার প্রতিবাদে কলকাতার বিদ্বজ্জনেরা ‘ইস্তাহার’ নামে এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। বিদ্বজ্জনদের পক্ষে এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন শঙ্খ ঘোষ, জয় গোস্বামী, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী, শাঁওলী মিত্র, জয়া মিত্র, গৌতম ঘোষ, হোসেনুর রহমান, মনোজ মিত্র, দেবেশ চট্টোপাধ্যায়সহ আরও অনেকে। আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত সেই বিবৃতি হচ্ছে-

‘১৪ ফেব্রুয়ারি আমাদের ইতিহাসে এক অত্যন্ত দুঃখজনক দিন। সে দিন নৃশংস জঙ্গীদের হাতে আমাদের সেনাবাহিনীর একচল্লিশ জন সেনা নিহত হন। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করি। নিহত জওয়ানদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই।

সেই সঙ্গে এও আমাদের বিশ্বাস জঙ্গিদের কোনো দেশ হয় না, কোনো ধর্ম হয় না, কোনো রাষ্ট্র বা ভাষা হয় না। সন্ত্রাসবাদীরা প্রকৃতপক্ষে মানবতার শত্রু। আজ এই সন্ত্রাসবাদীরা ছড়িয়ে আছে সারা দেশময়। আমাদের পাড়ায় পাড়ায় পর্যন্ত এই ভাবনা সংক্রামিত হচ্ছে। এরা সাধারণ মানুষকে হিংসাত্মক কার্যকলাপে প্রবৃত্ত করে। আমরা দেখছি অনেক সময়ে ঘৃণ্য কাজে প্রবৃত্ত হতে বাধ্যও করে। হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধতা আমাদের যেন নরসংহার যজ্ঞের দিকে কোনোমতেই ঠেলে না দেয়।

কোনো বিশেষ ধর্মাবলম্বী বা কোনো বিশেষ রাজ্যে বসবাসকারী আমারই সহনাগরিকের দিকে আঙুল তুলে আমরা যে নিজেদের মানবিক বোধকে হীনতার দিকে টেনে না নিয়ে যাই। এ আমাদের অঙ্গীকার।

বিভিন্ন রাজ্যে মানুষে মানুষে যে ভেদাভেদের রাজনীতি শুরু হয়েছে আমরা তার অবসান চাই। প্রতিবাদের মুখকে স্তব্ধ করে দেওয়ার অপচেষ্টাকে যেন মাথা উঁচু করে নিন্দা করতে আমরা ভীত না হই।

নিহত বাবলু সাঁতরার স্ত্রী এবং ভ্রাতার উক্তিকে সমর্থন করে আমরা বলতে চাই- আমরা সাধারণ নাগরিকেরা যুদ্ধের বিপক্ষে। যুদ্ধ কোনো সমাধান হতে পারে কিনা সেকথা ভাববার সময় এসেছে। প্রতিশোধস্পৃহা আমাদের মাতৃভূমিকে যেন রক্তাক্ত না করে।’



এই বিবৃতিটা যারা দিয়েছেন তারা সকলেই শিক্ষিত, সমঝদার, নিজ নিজ ক্ষেত্রে স্বনামধন্য ও আলোকিত মানুষ। কিন্তু তাদের এই বিবৃতির একটি লাইনে আমার আপত্তি আছে। লাইনটি অত্যন্ত রাজনৈতিক এবং কূটকৌশলী, অসত্য এবং ইতিহাস বিকৃতি। লাইনটি এই-‘সেই সঙ্গে এও আমাদের বিশ্বাস জঙ্গিদের কোনো দেশ হয় না, কোনো ধর্ম হয় না, কোনো রাষ্ট্র বা ভাষা হয় না।’

প্রকৃত সত্য হলো জঙ্গিদের দেশ থাকে, ধর্ম থাকে, ভাষাপ্রেমও থাকে।পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করেছে জাইশ-ই-মোহাম্মদ। জাইশ-ই-মোহাম্মদ পাকিস্তানের একটি জঙ্গি সংগঠন এবং এই সংগঠনের প্রধান মাসুদ আজহার। মাসুদ আজহার পাকিস্তানে স্বাধীনভাবে এবং অন্য সব মানুষের মতোই সব সুযোগ পেয়ে থাকে। প্রকৃতপক্ষে এই জঙ্গিনেতাকে লালন-পালন করে পাকিস্তান। পাকিস্তানের মতো সারা বিশ্বের অনেক মুসলিম দেশেই জঙ্গি আছে এবং সৌদি আরব সহ কিছু দেশ এইসব জঙ্গিদের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে থাকে, আর স্ব স্ব দেশ এদেরকে দেয় নিরাপত্তা। এবার ধর্মের কথায় আসি, অবশ্যই এইসব জঙ্গিদের ধর্ম ইসলাম। কোরান এবং মোহাম্মদের জীবনের আদর্শ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই এরা জিহাদী জঙ্গি হয়, বিধর্মীদের আক্রমণ করে এবং হত্যা করে। আর এদের ভাষাপ্রেমের তালিকার শীর্ষে থাকে আরবি। শুধু জঙ্গিরা নয়, সমগ্র বিশ্বের যতো মুসলমান আছে তাদের ভাষাপ্রেমের তালিকার শীর্ষে থাকে আরবি; এমনকি নিজ মাতৃভাষার চেয়েও এরা আরবি ভাষাকে বেশি ভালবাসে।

সুতরাং এ কথা বলার কোনো সুযোগ নেই যে জঙ্গিদের কোনো দেশ হয় না, ধর্ম হয় না, ভাষা হয় না।



ইসলামী জঙ্গিবাদের সূতিকাগার কোরান, মুহাম্মদই ইসলাম ধর্ম এবং ইসলামী জঙ্গিবাদের প্রবর্তক। কোরান এবং হাদিস পড়লেই তা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে যায়। এমন নয় যে আমাদের বুদ্ধিজীবীরা এই ইতিহাস জানেন না, তারা জানেন এবং বোঝেন। কিন্তু বুদ্ধিজীবীরা এই কথাটা প্রকাশ করতে ভয় পান। হিন্দু বুদ্ধিজীবীরা খুন হবার এবং গায়ে সাম্প্রদায়িক তকমা লেগে যাবার ভয়ে ইসলামের সত্য ইতিহাস উপেক্ষা করেন এবং এ বিষয়ে অত্যন্ত কূটনৈতিক উত্তর দেন। আর মুসলিম বুদ্ধিজীবীরা ছোট থেকে যে ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে বড় হন,কেউ কেউ সেই বিশ্বাস থেকে বের হতে পারেন না, আবার অনেকে জেনে-বুঝেও না জানা বা না বোঝার ভান করে থাকেন। মুসলিম পরিবারে বেড়ে ওঠা যারা এই বিশ্বাস ঝেড়ে ফেলেন, তারা আর মুসলমান থাকেন না, নাস্তিক হয়ে যান। ফলে অধিকাংশ বাঙালী বুদ্ধিজীবী চিন্তা প্রকাশের দিক দিয়ে অসৎ, নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সফল হলেও তাদের বোধের মৃত্যু হয় ধর্মের অন্ধকারে।

আমার বিশ্বাস পৃথিবীর মানুষ একদিন ধর্মহীন এবং সভ্য হবে। পৃথিবীর তাবৎ মন্দির, মসজিদ, গীর্জা, প্যাগোডা হবে পাঠাগার এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। হতেই পারে যে অন্যসব জাতির চেয়ে মুসলমানরাই সবচেয়ে আগে সেই সভ্যতার শিখরে পৌঁছবে; কেননা অন্যসব ধর্মের চেয়ে এই ধর্মে হিংস্রতা, বর্বরতা, জঙ্গিবাদ, জীবনাচারের বিধিনিষেধ সবচেয়ে বেশি; ফলে মানুষ যখন কোরান মুখস্থ না করে আত্মস্থ করতে শুরু করবে,মুক্ত চিন্তকদের লেখা কোরান-হাদিসের বিশ্লেষণধর্মী লেখা পড়তে শুরু করবে, তখন আরও অধিক সংখ্যক মুসলমান ইসলাম ত্যাগ করতে শুরু করবে।

আগে কোরান-হাদিসের বাইরে ইসলামের প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে জানার খুব বেশি সুযোগ ছিল না। ইন্টারনেটের বিস্তৃতি বৃদ্ধি এবং সহজলভ্য হবার পর মানুষের জানার পরিধি এখন বেড়েছে। ফলে গত দশ বছরে আমাদের দেশে যে পরিমাণ মানুষ ধর্মত্যাগ করেছে তার বিরাট অংশটি জন্মসূত্রে মুসলমান ছিল। তৃণমূল পর্যন্ত ইন্টারনেটের বিস্তৃতি আরো বাড়লে মুসলমানদের ধর্মত্যাগের সংখ্যা আরও বাড়ব। মোটকথা, মানুষের জানার পরিধি যতো বাড়বে,ধর্মত্যাগী মানুষের সংখ্যাও ততো বাড়বে।পৃথিবীটা একদিন মানুষের হবে, হবেই।


ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×