somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কবিতা

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(হাউ ডেয়ার)

নম নম শুভ্র জবা তম সাষ্টাঙ্গ প্রনাম
চোখে কম দেখে ভাবি সূর্যে আলো কম
তাওতো অহংকারী; কুয়ায় বসিয়া
সেটাই পৃথিবী ভাবি কিংবা এশিয়া
দুটো লাফ দিয়ে ভাবি শিখে গেছি ওড়া
আসলে ব্যাঙই আমি কিংবা জলঢোঁরা
কয়েকখান বই পরে যেন লাইব্রেরি
এমনি উন্মাদ, ভাবি- মাতা মম মেরি
আসলে হারামি বড় ইবলিশের ছাও
নিকটে ডাকিয়া বলি, কী তুমি চাও?
হাতে না পারিলেও ঠিক মুখে পারি সব
কুয়োর ব্যাঙতো তাই বুঝের অভাব

স্পর্ধা অসীম মম
ক্ষম জবা ক্ষম
হেন অপরাধ
টর্চের যোগ্য নই
হাউ ডেয়ার
পেতে চাই চাঁদ!

( পথ)

কাঁচগুড়া মেশানো সব আগুনের ঢল
কেবল কবির রক্ত,বোধ, মেধা ও চিন্তায় বাহিত
অথচ কী নীরব পদক্ষেপ!
আর এতো ক্যাকটাস জন্ম নেয় কণ্ঠনালীতে তাদের
ঢেউয়েরও জন্মেছে কাঁচ দাঁত- তুলছে ঢেঁকুর
অন্ধকারের কালো গান পাউডারে পুড়ে
তারা বুঝি উদিত হবেন যে কোনো দিকে।
যে কোনো শিরশির ভোরে
তাদের যে কারও ঝনঝনে চোখ শিশুর পকেটে বাজে!

আহা! সে শিশুতো চোরা পথে হচ্ছে পাচার-
পকেটে কবির চোখ,
শরীরে ছুটছে ভয় ও ঘুমের মিশ্র পারদ,
কালো মুখ যেন তার
খসে পড়া পুরাতন জীর্ণ মন্দির;
ধসের ভয়ে হৃৎপিণ্ড ঠকঠক করে

বুকের মধ্যে মা তার মশলা বাটছেন,
বিড়ি হাতে দাওয়ায় কাশছেন বাবা
ছোট বোন তুলছে শাক
আর সে দূরে দূরে পাঠাচ্ছে ঘুড়ি-সংকেত
কলমি ক্ষেতের পাশে বসে

জাহাজের গোপন কামরায়-
যেখানে দিন ও রাতের ভেদ লুপ্ত করেছে অপরাধ
বারবার ঘুমিয়ে পড়ে পুনপুন দুঃস্বপ্নের বড়শিতে
জিবহা গেঁথে- সে রক্ত চোখে জেগে বিভ্রমে
সমুদ্রের স্রোত তার মাথার মধ্যে ঢুকে
অলৌকিক বাজে অবিরাম

আর আতঙ্কের চুল্লিতে শুয়ে শুয়ে
হাতে নিয়ে দেখছে সে
চকচকে আত্মার চোখ
যে কোনো কবির!

ভাবছে, এ চোখ তার অবমুক্তির স্বপ্ন নির্দেশক হবে
আর স্বপ্ন হবে পথ!

(মায়ের কবর)

গাঢ় শীত রাতে আমি কবরস্থানের দিকে বয়ে যেতে থাকি! ভাবি, যে কোনো ভাঙা কবরে
ঢুকে ভয় পাব। কিংবা আদতে ভয় পাই কিনা; দেখি! পথে ভাবনার দিক বদলায়-
আর পরিজন হাওয়া- কেমন ঠাণ্ডা হাত তার- যেন ইয়ার্কি করে
তার ভেজা হিম করতল শরীরে ঢুকিয়ে দেয়।
আর গাছে গাছে শিরশির করে ওঠে পাতা-
এসব গাছ সব মৃতেদের সুহৃদ;
কবরের আশেপাশে সন্ত ভূমিকায় দাঁড়ানো।

যে কোনো কবরের পাশে গাছের লাইনে দাঁড়িয়ে আমি
পাঠ করি নিজের কিংবা পছন্দসই যে কারও কবিতা
কার যে কলধ্বনি আমার ভেতরে তখন হু হু করে নাচে
সামান্য পরিচিত লাগে কিংবা লাগে না-
নাকি বাতাসের কারসাজি-
দূরাগত যে কোনো সংকেত?

যে কোনো কবরকে আমার আসলে
মায়ের কবর মনে হয়!

(শৈশবের প্রবীনেরা)

সন্ধ্যার দিকে ঘাসেরও কাহিনী পাল্টায়! বাতাস সাবধানে ভাষা বদলালে
শরীর কাঁটা দিয়ে ওঠে। তাহলে হেমন্ত এই। পুরোনো কাপড় ওড়ে
সুদূরে তারে! যেনবা ব্যাকুল ভুলে ঘিরে আসা মন খারাপে লাগা হাওয়া!
ধুলোজ্জ্বল চুল থেকে সময় যে ঝেড়ে ফেলে কার স্পর্শ-আদর!

কুয়াশায় ডুবে যারা ভেসেছে শুকনো মাঠ ধরে, তারা সব আছে বা নেই। কিংবা
ওইসব মানুষেরই ইশারা আজ ফিরে ফিরে হেঁটে চলে আসে। তাদের মধ্যে
যতো ত্রিভুজ-সবুজ চোখ শিশির তাড়িত ছিল; তাতে আদ্র গাছে পাতা; হিম।
আর সেসব গানের মধ্যে তাদের ডুবিয়ে রেখেছি গোপনে, তা যদি বেজে
ওঠে কারও সন্ধ্যার বারান্দা থেকে, তবে দেখি, সে সব মুখের মশলা-ঘ্রান
দৃশ্যমান! দাদীর পানের ডিবা দাদী আর দাদার লাঠিকে তখন দাদাজান
ভাবি!

(শরীরের রসায়ন)

কলমী লতার সাথে আর কতোদূর যাওয়া যায়? সন্ধ্যা নিয়ে বসে আছে কেন?
তবে কী কদমে কদমে ছিঁড়ে শেকড়ের সুতা ঠিকই ভিরে যাবো তার গানে?
আর পায়ে ধুলা দেখে সে, কতো পথ হাঁটা হলো- করবে আন্দাজ!

এই যে, মাউথ অর্গান! নাও! বনজুড়ে অভিঘাত তোলো। বাতাসের বেশ
নিয়ে আমাকে ভেবেছে কারা পাল! আর তাই হৃদয়ের এতো ঝাল নিয়ে
আজ সুর হোক চাই। পাথরের পাশে বসে থাকি, যেন আমি তার বোন!

ও পবন, কতোটা হালকা হলে গ্যাস বেলুনের সাথে শরীরের রসায়ন
মিলে যেতে পারে?

(তুলির পাখি)

আহা! চোখ উঁকি দেয়, মুখ মেঘে ঢাকা
মহাকাশে ঘোরে রাধা, পৃথিবীর চাকা
আমরাও আছি নাকি, আসলেতো নেই
আপনাকে দিয়ে কেউ তাকে চিনবেই
জেনেছে যতোটা, নাকি ততো চেনা নয়
আপাত নিরীহ বোমা গভীরে প্রলয়!

রাত বড় সাদামাটা, মন ধরে টানে
আধো ভেসে গেলো সে কি? কাহার উজানে!
সময় হাপুড় দিয়ে চলে চুপ করে
বোবা মেয়েটাই আজ চেনা গান ধরে
কার সাথে তার এতো মধু, এতো বিষ
নিজ বিপরীতে করা নিজেকে নালিশ!

এদিকে রেলিঙে উড়ে বসা ধুলো যতো
আর সব আঁকাআঁকি করা পাখি তার
বুকের ভেতরে খোঁড়ে কী নিবিড় ক্ষত
তুলির পাখিও হয় এতো ক্ষুরধার!

নির্ভাবনায় হেলান
...................
যেন একটা গান
এভাবে বেজে চলছে তার জীবনের অগ্রহায়ন
আর দূর কোন্ পরাগায়নের সময়
তার দিকে আসছে এগিয়ে
সেও তাই দুই ডানা সামনে এগোয়

কে তবে মৌমাছি?
নির্ভাবনায় হেলান দিয়ে বসে
সাথে এইসব ভাবে

সে আসলে নিজের আবছায়ায় তদ্রাচ্ছন্ন হয়ে-
কিছুটা উড়ছে আর বাকিটা যাচ্ছে বয়ে!

(দুঃস্বপ্ন)

এসেছে ধারালো দুর্দিন, বাঁশের কঞ্চিতে কাটে হাত
ঘুমের ভেতরে; রক্ত ঝরে লেগেছে স্বপ্নের গায়ে তাজা
কেউ এসে লুকিয়ে পড়েছে বুকে- যেন পাড়াগাঁও; যেন
রাতে ঘোরতর যুদ্ধ লেগে গেছে, যেন গুলি; বোমা
যেনবা গ্রেনেড শব্দে সচকিত পাখি, নদী, মানুষের ঝাঁক
বাঁক নিয়ে ঝরে পড়ে ঘুমের গভীরে, ওড়ে কান্না-
পুলিশের জিপে ওই কার নারী আহাজারি করে
একটু পরে পরে ওই কাহার সাইরেণ! কাহার চিৎকার!
আঙুলের রক্ত থামে নারে, থামে নারে, যেনবা কলম
থেকে ঝরে যাচ্ছে কালি! ঘুমে ঢোকে ঝাঁকে ঝাঁকে
আবাবিল পাখি। কেউ এসে ঝাঁকি দিয়ে ঘুম ভেঙে
দিক!

দূরের সাগর
.......................
আজ আমি কোথাও যাব না, হে পাথর!
ঘাতকের ছুরির মতো বাড়ির ড্রয়ারে পড়ে রবো
মনীষা কী জানবে না-
গম্ভুজের নিসঙ্গতা চিৎকারে কাটে না আসলে

জানুক স্রোত,
লীলার শরীরে লাগা সাগরের নুন
ঢেউয়ে ঢেউয়ে কলহাস্য করে তো করুক
যে কারও চোখের দিকে তার
যাতায়াত আমার পছন্দ নয়

আজ আমি কোথাও যাব না
ও পদযুগল, তুমি কেন তাও ফেলো সামনে কদম!

দূরের সাগর তাই ফুঁসছে নিকটে!

বুদ্বুদ
........................
এরোপ্লেনের শব্দে লাফ
চৌকাঠের বাধা, ফাঁটা ভুরু
জোঁকের শরীরে দেয়া নুন

সাঁকোতে ঝুলতে থাকা ভয়
চাকায় থেতলানো সিনেমা ফেরতে মাথা

ফোনের ও পাশে অন্ধকার মুখের আভাস
ফোঁপানো আষাঢ় রাত্রি
জ্বলন্ত সিগারেট হাতে ঘুম
আগুন আগুন
অর্ধদগ্ধ করতল, ঘায়ে বসা মাছি

কাত হয়ে পড়া জীবনে
অতর্কিত হাসি
ইষদুষ্ণ চুমু
ডাব কাটতে গিয়ে কার
কেটে ফেলা ছটফটে চারটা আঙুল

হাতির পায়ের নিচে পিষ্ট মাহুত
তুলছে বুদ্বুদ!

ক্রুরস্বর
............................
সামুদ্রিক নীরবতার মতো বেমানান আত্মাভিমানে
গান থেকে সুরকে করছি পৃথক!

ঘুমের মধ্যে হারানো মানুষের ঝনঝন শুনতে
স্বপ্নের বারান্দায় আড়িপাতা
রোদের বিরুদ্ধে জড়ো করছি কুয়াশার রেণু

স্মৃতিতে তালা মেরে, ভুগর্ভে তলিয়ে গিয়ে-
চাবি গোছা ছুড়ে দিচ্ছি অসীম পাতালে!

ক্রুরস্বরে হৃদপিণ্ড কী বলে?

(প্রভু)
আমার পানীয়ে গ্লাসের কাঁচও কেন গুড়ো হয়ে মিশে যায়, প্রভু!

সুন্দরের বিদ্রুপ
.....................
কিছুই ভালো লাগার মধ্যে
সুন্দরের বিদ্রুপ লেগে আছে

ধারালো গান, শারীরিক হর্ন, অতর্কিত বৃষ্টির ব্লেড
জল কাটতে একাধারে নদীতে আঘাত করতে থাকা
পায়ে পায়ে পেচিয়ে নেয়া পথ
লাগে না কিচ্ছু ভালো

বিকেলে বারুদ হয়ে হাঁটি
বেগানা বাতাসে মুখ বন্ধ রাখোতো ঝরা পাতা
নিকটে ফুটেছে লেবু ফুল,
ধরতে ফুটেছে হাতে কাঁটা
সব ফোটা কেন যে ফুলের মতো নয়!

আহা রক্ত! আঙুল কেটে রক্ত!
বাগানে পৃথিবী ঘ্রাণময়!

ভ্রমনে যাওয়ার আগে
............................

দ্বীপে যাচ্ছি টের পেয়ে
কয়েনের মতো চকচক হয়ে ওঠে চোখ
নিজস্ব নিয়মে নেয় প্রস্তুতি
যেনবা নাগরিক নরকের যাবতীয় দৃশ্যের দাগ
এবার সে তুলে ফেলবে যে কোনো হরিৎ উপায়ে

আর নাসিকা থেকে ফুসফুস অব্দি সপ্রতিভ জাগরণ
যেন সিসার প্রলেপ লাগা এ প্রানের মেশিন এবার
বুক ভরে বয়ে আনবে কয়েক শতাব্দির পরমায়ু

দ্বীপে যাচ্ছি টের পেয়ে
বয়স আটাশ থেকে বাইশ হয়ে যায়!

(স্বজন শহর)
সে এক স্বজন শহর, কুয়াশা জড়ায়ে অপেক্ষা করছে কীত্তনখোলা পাড়ে!
আমার!
তোমারও!

কুয়াশা
........................
গ্রামের উরুতে অগ্নিগুচ্ছ পুচ্ছ নাচায়
ঝরা পাতার শরীরে
আর কারা গোল হয়ে বসে
হালকা আঁচে সেঁকে নিচ্ছে পৃথক শরীর
তাদের মুখ থেকে বেরুচ্ছে ধোঁয়া
যেন ভেতরের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে নির্বিকার
গল্প করছে তারা

এখানে হিম রাত,
পাতিলে ঠাণ্ডা ভাত
সবজি সালুন পড়ে আছে
বাতাসে বুড়ো বাড়ির জানালার হাড়ে ঠকঠক
আর শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে বিছানায় মরে, নাকি শুয়ে আছে-
কে?

গাছেরও ফেটেছে হাত-পা

ও মৃত পাতা,
বাসন মাজা হাত
এখন কী শীতকাল?

কার চাদর টেনে নিজ দেহ জড়িয়ে নিয়েছে বাড়িটা!

ঠিক জীবনের ভুল
..................................
যদি ডুবে যাই প্রভু, যদি ভেসে উঠি ফের, যদি দেখি মিশছে সাগরে লাভা স্রোত যতো আগুনের, তাতেই ভাসান, ভেসে ফেঁসে যাওয়া, মোহনায় গিয়ে নিজেকে পাওয়া, আলাপ-প্রলাপে মিশে যায় যদি রগচটা নদী, কিংবা নদীতে মিশে যায় যদি যতো আলাপের স্ফটিক দানা, তাতে কি কথার শরবত হবে?

যদি দেখি কেউ আকাশে তুলে, ফেলে দেয় ফের- আর পড়ে গিয়ে ডাল ধরে বাঁচি, মানুষের ডাল। যদি তারই মধ্যে বাসায় পাখির, দেখি লেগে আছে পাখিদের ভিড়, আমাকে তাড়া ঠোঁটে তুলে দেয় জমা শস্য দানা, আর যদি তারা উড়তে শেখায় দেয় ডানা ধার, ধার দেবে ডানা? তবে উড়ে উড়ে উড়ে একটানা, যদি চলে যাই ভুল জনপদে, না না, পড়ে যাই যদি শিকারীর ফাঁদে, যদি সে মম হাত-পা বেঁধে ধরে নিয়ে যায়, বাজারের ভিড়ে বেচতে উঠায়, আর মম এই পাখির জীবন, পাখি জীবনের সাধ মুছে যায়, মানুষ জীবনের প্রতি অতীতের আহ্লাদ, আহা! যদি ফিরে আসে, পাখি চোখে তবে চিকচিকে জল, যদি টলমলে জলে ভিজে গলে যায় পাখির জীবন, তবে কি প্রভু ডানাও যাবে গো ঝরে?

যদি দেখি গো বুকের মধ্যে শ্বাশত ইঁদুর, চিরায়ত বাঘ- যদি দেখি খুব লু হাওয়া ধায়, এদিকে পৌষের শেষে সমাগত মাঘ, মনের কেন্দ্রে কী জানি জাগে, কেন যে জাগে, কী কারণে জেগে ওঠে? যদি বাগানের সব ঝরে যাওয়া ফুল ফের বৃন্তে ফোটে, তারা হাসে আর দোলে বাতাসের কোলে, আমি তুলে দেই বুকের বাদাম, তুলে দিতে হয়, যেন সব জল- স্থলবিহীন, বয়ে নিয়ে যায় তরল কঠিন, অম্ল-মিঠা জীবনেরে কই? কোথায় নেবে? এই ভেবে ভেবে ভেবে, ঘুম দিই- যদি জলের ভাসানে, কে ধরে ভেজা গান! একি জলের কণ্ঠ? ঢেউয়ের তবলা বাজে? এরই মাঝে যেন পৃথিবীর মতো কোন নদী পাড়ে ভেড়ে মম দেহনাও? আর দেখি কোন কৃষকের বউ, নদী পাড়ে তার হৃদয়ের মৌ- বারবার আসে কলসি নিয়ে আর ফিরে দেখে কলস খালি, যদি এমন ঘটনা ঘটতে থাকে থাকে ঘটতেই, তাতে কি কৃষ্ণের থাকে প্ররোচনা? আমি কি তাকে তুলে নেব প্রভু- নেব কি তবে তুলে, সেই ভাল তবে, ভাল সেই হবে- ঠিক জীবনের ভুলে!

প্রাচীন সমাজ
....................
নদীর গুহায় ঢুকে পড়ি
ঢেউয়ের টাটকা হাসি মেখে ফেলি শরীরে ঘায়ে,

এদিকে মাইল খানেক পেছনে ফেলে এসেছি সন্ধ্যা
এটাতো বনের গভীর, শীতের সাফল্যময় রাত,
প্রভুর হাত থেকে পড়ে ভেঙেছে চাঁদের সিরামিক প্লেট
পড়ে আছে সীমাহীন অসহ্য আকাশে

নিচে গাছের সাম্রাজ্যে এখানে ওখানে যতো কুঠারের দাগ
শিরশির করে কাঁপে পাতা, বাতাসের মৃদু মমতায়

আশপাশে পশুপাখি ডাকে, কাছে কোথাও শেয়ালের স্বর
দূর থেকে নিকটে এসে আবার ছড়ায়ে পড়ে

আর কী জানি একটা মরা পায়ে লাগে-
কোনো যুবতীর অর্ধ নগ্ন দুর্ভাগ্য পড়ে আছে বুঝি?

দস্যুরা গোপন বৈঠক করে
জেলেরা মাঝ নদীতে শীতে ও ডরে কুঁকড়ে যায়
জালে জালে তাওতো ধরা পড়ে মাছ

সভ্যতার ধাক্কা লেগে ভেঙে পড়ছে প্রাচীন সমাজ!
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯

মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা বলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×