এখন এরা বোবা
মুজিব হত্যার বিচারের পরও এরা বোবা ছি্ল।
যুদ্ধাপরাধীদের ফাসি হওয়ার পর এরা সুধু বাকরুদ্ধ না মুর্ছা গেছিল।
যুক্তফ্রন্ট এবং জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া জনগণকে প্রথমদিকে স্বপ্ন দেখিয়েছিল, নতুন ধরনের রাজনীতি দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিল।
আমিও খুসি ছিলাম আওয়ামীদের চ্যালেঞ্জ করার মত মুক্তিযুদ্ধ পক্ষের একটি শক্তি গড়ে উঠছে ..
কিন্তু দিন শেষে দেখাগেল লেজুরবৃত্তি প্রতিযোগিতা শুরু হয়েগেছে। শুরু না হুমরি খেয়ে পরছে
কিন্তু ক্ষমতার মোহে যাঁরা নীতি নৈতিকতা বিসর্জন দেয়, তাঁদের আদর্শ নিয়েই কি প্রশ্ন ওঠে না।
এদের হাতে পড়ে এই রাষ্ট্র কি পুনরায় আফগান হবে? না এরা পাকিদের বাফার স্টেটে পরিণত করতে বদ্ধ পরিকর।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা বিচারের রায় শুনে এরা বাকরুদ্ধ।
বিদেশী হত্যা, ব্লগার হত্যা, তাবেলা হত্যা, হলি আর্টিজান হামলা ইত্যাদি দেখে বোঝা গেছিল তারা একটি নির্দিষ্ট এজেন্ডা (বিম্পি-জামাতের বিদেশী খ্যাদানো) বাস্তবায়ন করছিল। ভয় দেখিয়ে বিদেশী খ্যাদাও, মেট্ররেল, জাইকা টিম, ইটালিয়ান ইনভেষ্টার গ্রুপ হত্যা করে আতঙ্ক শৃষ্টি করে বাংলাদেশকে দেউলিয়া ভিকিরিদের দেশ বানিয়ে সরকার পরিবর্তন।
কথিত আইএস জঙ্গি (নব্য জেএমবি) আইএস নিউজ প্রচারক ইসরাইলি রিটা কার্জ ও বিম্পি-জামাট ভাই ভাই। এসব ২০১৬ তেই প্রমান হয়েছিল।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা রায়ে আরো নিশ্চিত হল হরকত-মুফতি, বিম্পি-জামাট, জেনারেল, ব্রিগেডিয়ার, মাজেদ ভাট, এনএসআই আইএসাই পাকিস্তান, হাফেজ মৌলানারা সবাই ভাই ভাই।
রাষ্ট্রিয় এনএসআই-ডিজিএফআই-এসবি'র মতো সংস্থা জড়িত ছিল দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায়। এদের সাথে আইএসআই'এর যোগসূত্রের প্রমাণও সুষ্পষ্ট। যুদ্ধপোরাধের দন্ড ফাঁসিতে মৃত্যুবরনকারী মন্ত্রী নিজামী এই মামলাও ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত। ২১শে অগাস্টের হত্যাযজ্ঞে স্বরাষ্ট প্রতিমন্ত্রীর ফাঁসির রায় হইছে।
এইগুলার হোতা তারেক। তাকে বাঁচাইতে গিয়ে তাঁর মা খালেদা সাক্ষী-সবুত-আলামত সরিয়ে তদন্ত ভিন্ন খতে নিয়েছে। তারক সরকারের কোন পদে ছিলনা, অতচ খালেদা রাষ্ট্রযন্ত্র-সরকার-দল সর্বোপরি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়-দায়িত্ব সব তাঁর কুলাঙ্গার পোলারে দিয়া নাকে তেল দিয়া ঘুমাইতেছিল।
রাষ্ট্র যেন আবার তারেক-মামুনের মতো লোকের পকেটজাত হয় সেটার জন্য উম্মাদ হয়ে গেছে কামাল-মান্না-মইনুল-বদুরা ।
তারেককে নেতা মেনেই তারা সব মিটিং করছে,
দুঃখজনক হলেও সত্যি, এটা না হলে আবার নির্বাচন পক্ষপাতের দোষে দুষ্টু হয়ে যাবে সুশীল-বাম-সুজন- যুক্তফ্রন্ট। এদের কাছে তারেক তাই 'নিষ্পাপ'।
সকল জঙ্গি হামলা, কশাই, খুনে, মানুষ পোড়ানোর মামলা-মোকাদ্দমা উঠিয়ে দিয়ে এই সকল লোমহর্ষক ঘটনাবলীর সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের ছেড়ে দিলে নাকি হবে–লেভেল প্লেইং ফিল্ড।
ড. কামাল হোসেন, মাহমুদুর রহমান মান্না এবং সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর তাঁরা প্রত্যেকেই প্রতিবাদ করেছিলেন। এদের একজন ঘটনাস্থল বঙ্গবন্ধু এভিন্যুতে ছিলেন। তাঁর শরীরেও স্প্রিন্টার লেগেছিল। এরা সবাই বলেছিলেন, এক হাসিনা হতার জন্য ২৭ জন হত্যা, এটা জঘন্য হত্যা ঘটনা। এর সুষ্ঠু বিচার হওয়া প্রয়োজন। অথচ ঘটনাচক্রে আজ গ্রেনেড হামলার বিচার শেষে রায়ের দিন এরা নীরব বাকরুদ্ধ।
যেই বিএনপি-জামাতের নেতৃত্বে এই ঘটনা ঘটেছিল সেই তাদের অনুকম্পার অপেক্ষায় এরা। সন্ত্রাসের রক্ত রঞ্জিত হাতে সেই বিএনপি-জামাতের সঙ্গেই হাত মেলাতে উদগ্রীব
আজ বুধবার রায়ের পর ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন, এই রায় নিয়ে আমি এখন মন্তব্য করতে পারবো না। আমি রায় পড়িনি।’ অথচ এই কামাল হোসেনই হামলার পরের দিন ২২ আগস্ট এক বিবৃতিতে ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছিলেন।
এখন এরা বোবা
মুজিব হত্যার বিচারের পরও এরা বোবা ছি্ল।
যুদ্ধাপরাধীদের ফাসি হওয়ার পর এরা সুধু বাকরুদ্ধ না মুর্ছা গেছিল।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:১৫