করোনার আতঙ্কে আমেরিকান কুটনিতিকরা ঢাকা ছাড়ছেন, এটা সম্পুর্ন হলুদ ভুয়া সংবাদ।
আমেরিকান এম্বাসেডার সহ গুরুত্বপুর্ন কুটনিতিতিকরা কেউই ঢাকা ছাড়েন নি।
ঢাকা ছেড়েছেন মুলত দুতাবাস কর্মিরা যারা মার্কিন নাগরিক। ও তাদের ফ্যামেলি মেম্বাররা। রেগুলার ফ্লাইট বন্ধ তাই একটি বিমান চার্টার করেছেন।
খুব সঙ্গত কারনেই ওরা ঢাকা ছাড়ছে, ছুটি ঘোষনার পর দুতাবাসের সাধারন কাজকর্ম বন্ধ, সকল এপোয়েন্টমেন্ট, বাতিল ইমিগ্রেশন দফতরও বন্ধ বেশকিছুদিন জাবত,
আগামি দুমাসেও স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। দুতাবাস কর্মিদের ও অগুরুত্বপুর্ন কুটনিতিক স্টাফদের অধিকার আছে এই দীর্ঘ ছুটিতে দেশে ফ্যামেলির কাছে যাওয়ার।
রেগুলার ফ্লাইট সবই বন্ধ, তাই মার্কিন দুতাবাস বিশেষ ব্যাবস্থায় একটি বিমান চার্টার করে এদের দেশে নেওয়ার ব্যাবস্থা করে।
নন স্টপ ঢাকা-ওয়াশিংটন।
কিন্তু এরপরেও ৩০০র মত সিট খালি থাকায় আমেরিকা যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশে থাকা বাংগালী মার্কিন নাগরিক ও রেসিডেন্সিদের আহবান করে। রেগুলার ফ্লাইট বন্ধ থাকায় অনেক বাংলাদেশী আমেরিকান ফিরিতে না পেরে বিপাকে ছিল, তারা দ্রুতই সাড়া দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করে, সিট পুর্ন না হওয়া পর্যন্ত।
কেউই মাগনা যেতে পারে নি। এদের সবার (ইকোনমি সিটের) ওয়ানওয়ে ভাড়ার বিল পরে পাঠানো হবে।
লকডাউনে থাকা অন্যান্ন দেশথেকেও দুতাবাস কর্মিদের ও অগুরুত্বপুর্ন কুটনিতিক স্টাফদের একই পদ্ধতিতে দেশে ফেরার ব্যাবস্থা করেছে সংস্লিষ্ট দেশের মার্কিন দুতাবাস।
ইচ্ছুক যাত্রি বেশী থাকায় আরো একটি ফ্লাইটের ব্যাবস্থা হচ্ছে।
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র স্পষ্ট ভাবেই বলেছেন, কেবল বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থানরত দুতাবাস কর্মি ও সাধারন আমেরিকানদের মধ্যে যারা যুক্তরাষ্ট্রে ফিরতে আগ্রহী তাদের ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। অন্য দেশ থেকেও আমেরিকানরা ‘চার্টার’ ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরছেন। তিনি বলেন, এটি একটি সাময়িক ব্যবস্থা। বৈশ্বিক পরিস্থিতির যখন উন্নতি হবে তখন তারা আবার ফিরে আসবেন।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র আরও জানান, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বন্ধ হচ্ছে না।
কনস্যুলার সেকশন আমেরিকানদের জন্য সব দিন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকছে। এর আগে দূতাবাসের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ফ্লাইটে যুক্ত হলে প্রতিজনকে ভাড়া হিসেবে অর্থ পরিশোধ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ইকোনমি ফ্লাইটের ভাড়ার সমপরিমাণ অর্থ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জন্য বিমানবন্দর অতিক্রমের পূর্বে প্রত্যেক যাত্রীকে একটি প্রতিশ্রুতি নোটে স্বাক্ষর করতে হবে। যেটি বোর্ডিং পাসের পূর্বে কর্তৃপক্ষের কাছে প্রদর্শন করতে হবে।
যাত্রায় ফ্লাইট চার্টার ব্যতীত যাত্রীদের জন্য আর কোনো কানেক্টিং ফ্লাইট বা যানবাহনের ব্যবস্থা করেনি দূতাবাস। বিমানবন্দর আগমন ও ত্যাগের ক্ষেত্রে যাত্রীদের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা করতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪৬