একটি বিদেশী হ্যাকার গ্রুপ উত্তর কোরীয়া থেকে সাইবার হামলার যে চেষ্টা করেছিল, তা ব্যর্থ করে দেয়া হয়েছে।
“দেশের তিনটি ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের নেটওয়ার্কে হ্যাকার গ্রুপটির ম্যালওয়ারের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল। হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিল মূলত ব্যাংক। হ্যাকাররা মুলত ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ব্যাংকের অনলাইনে হানা দেওয়ার ব্যাবস্থা করেছিল। এ কারণে আতঙ্কে ছিলেন ব্যাংকাররার।”
তখন এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) জানানো হয়েছিল।
“বিটিআরসির তদারকিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে ব্যাংকগুলো যথোপযুক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছিল। সে কারণে কোনো বিপর্যয় বা ব্যাংকের টাকা চুরি যাওয়ার ঘটনা ঘটেনি।
বিটিআরসি জানিয়েছে এখন আর আতঙ্কের কিছু নেই,
তবে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো এখনও সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। অনেক ব্যাংক রাতে এটিএম ও অনলাইন ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে।
এমনিতেও বাংলাদেশ থেকে বিদেশে বড় অংকের বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানো যায় না, তবে সতর্কতার কারনে ছোট ট্রাঞ্জেকশান বেশির ভাগ ব্যাংক 'বিদেশে ইস্যু করা' ভিসা, মাস্টারকার্ড, অ্যামেক্স ও চায়না ইউনিয়ন পে–কার্ড দিয়ে ব্যাংকের নেটওয়ার্কে বিদেশী লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়।। গ্রাহকদের কাছে সেই বার্তাও পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বিশ্বজুড়ে ব্যাংকগুলোতে সাইবার হামলা চালাচ্ছে উত্তর কোরীয় হ্যাকাররা,
গত সপ্তাহে এমন সতর্কবার্তাই দিয়েছিল মার্কিন সরকার।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে একটি প্রযুক্তিগত যৌথ সতর্কবার্তা দিয়েছে চারটি ভিন্ন মার্কিন সংস্থা। ট্রেজারি বিভাগ এবং এফবিআইসহ আরও দু’টি সংস্থার যৌথ সতর্কবার্তা বলছে, উত্তর কোরীয় হ্যাকারদের দিক থেকে চলতি বছর আর্থিক হ্যাকিংয়ের চেষ্টা বেড়েছে।
“জালিয়াতি করে অর্থ স্থানান্তর এবং এটিএম/অনলাইন থেকে নগদ অর্থ সরানোর উদ্দেশ্যে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে একাধিক দেশের ব্যাংকগুলোকে পুনরায় লক্ষ্য বানাতে শুরু করেছে উত্তর কোরীয় হ্যাকাররা,” বলছে ওই মার্কিন যৌথ সতর্কবার্তা।
এই হ্যাকিং প্রচেষ্টাকে ‘ফাস্ট ক্যাশ’ বলছে মার্কিন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা। এর জন্য উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা রিকনিসেন্স জেনারেল ব্যুরোকে দায়ী করেছে মার্কিন সাইবার নিরাপত্তার সংস্থাগুলো।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:৪৭