অজ পাড়া গাঁয় জন্ম । বয়স তখন আর কতই হবে । ইতিমধ্যে ১৪ বার বসন্তের বাতাস দোলা লেগেছিল মনে । তত দিনে মায়ের সাথে মামা বাড়ি , খালা বাড়ি বেড়ানোর গণ্ডি পেরিয়ে এদিক সেদিক যাওয়া শুরু করেছি মাত্র । গ্রামে ঘটে যাওয়া কতনা বিষয়ের সাক্ষী তা বর্ণনা করলে হয়ত আপনাদের বিরক্ত করা হবে বৈ কি । একা একা উপজেলা ( তৎকালের থানা ) সদর ৫ মাইল দূর গিয়ে হাট সদাই করা ( বড় হয়েছি বলে জাহির করতে ) , বিছানায় কাপড় দিয়ে বালিশ ঢেকে রেখে কাউকে না বলে জারী গান শুনতে যাওয়া , কখনও যাত্রা গানের পালা ( আলোমতি , ভাসান যাত্রা , রুপবান-রহিম বাদশার পালা , রাখাল বন্ধু , ------------- ইত্যাদি ) শুনতে যাওয়া , কারো বরই পেড়ে কলা পাতায় মেখে খেজুর কাঁটা দিয়ে খুঁচিয়ে খাওয়া , শীতের সকালে পোলো দিয়ে স্ফটিক পানিতে কই মাছ ধরা , চৈত্র মাসে বিলে অবস্থিত পুকুর সেচা কাদা-মাটির মধ্যে মাছ ধরা , বর্ষায় নৌকায় বসে বড়শি দিয়ে পুঁটি মাছ ধরা , শীতের রাতে খেজুর রস কাউকে না বলে ( চুরি করা ভাবতাম না ) নামিয়ে কখনও কাঁচা খাওয়া , কখনও সবার বাড়ি থেকে চাল নিয়ে পায়েস করে খাওয়া , পরীক্ষা শেষে চড়ুই ভাতি ( এখনকার পিকনিক ) উপভোগ করা , অসময়ে (সকাল দুপুর বলে কোন কথা নেই ) কাগজ দিয়ে বল বানিয়ে অথবা ঝড়ে পড়ে পাওয়া কুড়ান জাম্বুরা দিয়ে বল খেলানো , গ্রামের প্রশস্থ খালে নৌকা বাইছে অংশ নেয়া , হাডু-ডু / দাড়িয়া বান্ধা, / গোল্লাছুট ইত্যাদি খেলাগুলি উপভোগ করা , শীতের সন্ধ্যায় খেজুর গাছের চুমুর পুড়িয়ে দগদগে জ্বলন্ত ছাই কচুপাতায় পুড়িয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে একধরনের শব্দ বিহীনি বাজি ফুটিয়ে নির্মল আনন্দ উপভোগ করা , হাটের দিনে হাটে গিয়ে বন্ধুদের সাথে মিলে ঘুরা ঘুরি করা ( বিনোদন মনে করা ), চৈত্র দুপুরে হুট করে ঝাঁপ দিয়ে ডুব- সাঁতার দিতে দিতে চোখ লাল হয়ে যাওয়ায় কতই না বকুনি খেতে হতো । নিশ্চয়িই এতক্ষণে আপনারা বিরক্ত হয়ে গেছেন । এখন ভাবি আমরাই ছিলাম হয়ত প্রকৃতির মাঝে বেড়ে উঠা প্রকৃতির সন্তান । এবার অন্য রকম একটা ঘটনা বলে শেষ করি । আমার এক গ্রামতুত ভাবি তাঁর কোলের সন্তান নিয়ে বুক পানিতে গোসল করছিলেন । চোখে পড়তেই জিজ্ঞাসা করলাম তোমার কোলে ছেলে না মেয়ে ? মুখে কিছু না বলে ভাবী বাচ্চাটাকে উঁচু করেই দেখিয়ে দিলেন । বুঝতে বাকি রইল না ভাবীর উত্তর কি ছিল । অর্থাৎ গর্বের সাথে আনন্দ মেশানো ( সেদিনকার সময়ে ছেলের মার একটু কদর বেশী ছিল ) অভিবেক্তি । তা হ’ল তিনি এক পুত্র সন্তানের মা ।------- আজ জীবনের ৬৩ বসন্ত পেরিয়ে বলতে ইচ্ছে করে ---------“ আমি যদি তুমি হইতাম তা হলে মনের আনন্দে কালোজাম খাইতাম “। কি অদ্ভুত একটা ভাবনা তাই না ?
স্মৃতির পাতা থেকে
আমি ভালো আছি
প্রিয় ব্লগার,
আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আমার ড্রোন ছবি।
ফ্রান্সের তুলুজ শহরে বাংলাদেশের প্রথম স্থায়ী শহীদ মিনার। হ্যাসল্ট, বেলজিয়াম।
ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী ফ্রান্সের ফ্রিওল আইল্যান্ড।
রোডেসিয়াম এম রেইন, জার্মানি।
... ...বাকিটুকু পড়ুন
স্বাধীনতার সুফল কতটুকু পাচ্ছে সাধারণ মানুষ
(১) আমলা /সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীর সন্তানদের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব হতাশাজনক। মুক্তিযুদ্ধের ১৯৭১ সালের রক্ত দেওয়া দেশের এমন কিছু কখনো আশা কি করছে? বঙ্গবন্ধু এমন কিছু কি আশা... ...বাকিটুকু পড়ুন
এলজিবিটি নিয়ে আমার অবস্থান কী!
অনেকেই আমাকে ট্রান্স জেন্ডার ইস্যু নিয়ে কথা বলতে অনুরোধ করেছেন। এ বিষয়ে একজন সাধারণ মানুষের ভূমিকা কী হওয়া উচিত- সে বিষয়ে মতামত চেয়েছেন। কারণ আমি মধ্যপন্থার মতামত দিয়ে থাকি। এ... ...বাকিটুকু পড়ুন
মুসলমানদের বিভিন্ন রকম ফতোয়া দিতেছে
আপন খালাতো, মামাতো, চাচাতো, ফুফাতো বোনের বা ছেলের, মেয়েকে বিবাহ করা যায়, এ সম্পর্কে আমি জানতে ইউটিউবে সার্চ দিলাম, দেখলাম শায়খ আব্দুল্লাহ, তারপর এই মামুনুল হক ( জেল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন