somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশ :এগিয়ে যাওয়ার এখনই সময়

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দেশ এগিয়ে গেলে উপকৃত হয় দেশের মানুষ। যে দেশ যতো এগিয়ে, সেই দেশের মানুষ ততো উপকৃত। উপকার পাওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পরিচয় কোনো বিভাজন করার কিংবা উপকৃত হওয়া থেকে বঞ্চিত করার ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না। কেননা উন্নত দেশের সাধারণ উন্নয়নের স্রোত কোনো একদিকে বয়ে যায় না, বরং সেই উন্নয়নের পুরো স্রোতটি সমগ্র দেশের ওপর দিয়েই বয়ে যায়। উন্নয়ন যার হাত দিয়েই আসুক, সুফল ভোগ করার অধিকারী হয়ে যায় সবাই।
একথা বিএনপির স্বীকার করতেই হবে যে, রাজনীতি জনগণের জন্যই। এখন হয়তো ক্ষমতায় নেই বলে উন্নয়নের কাণ্ডারির রশিটি তাদের হাতে নেই। কিন্তু উন্নয়ন যখনই ঘটুক, যেভাবেই ঘটুক, যার হাতেই ঘটুক—উন্নয়নটি হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের জন্য। আর সেই আপামর জনগণের একটি অংশ তাদের রাজনৈতিক সমর্থক। তাই তাদের সমর্থকদের স্বার্থে, সকল মানুষের স্বার্থে বিএনপিকে উন্নয়নের রাজনীতির সঙ্গে থাকাই বাঞ্ছনীয়। তাদের রাজনীতির প্যাটার্নটাও এমন হতে হবে, যাতে দেশের মানুষ বুঝতে পারে যে তাদের রাজনৈতিক অঙ্গীকারের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যতের উন্নয়ন সমর্থক।
এদেশে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি সমান তালেই এগিয়ে যাচ্ছিল। কখনো এর পাল্লা ভারি, তো অন্য সময়ে ওর পাল্লা ভারি। এমন স্বীকৃত একটি রাজনৈতিক দল বিএনপি ক্যাডারভিত্তিক সহিংস রাজনৈতিক কালচারে বিশ্বাসী জামায়াতের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে শুধু দেশের ক্ষতিই নয়, বরং নিজেদের রাজনৈতিক ক্ষতিও করেছে। বেগম খালেদা জিয়া জামায়াত ও ছাত্র শিবিরের সহিংসতাকে তার দলের হাতিয়ার হিসেবে পেতে গিয়ে জীবনের সবচেয়ে বড় ভুলটি করেছিলেন। পুরো ৮০ দিনের সহিংসতা ঘটেছিল বাংলাদেশে। অবরোধ আর হরতালের নামে বিএনপি, ছাত্রদল, জামায়াত এবং শিবিরের সহিংস কর্মীরা সারাদেশে তাণ্ডব ঘটিয়েছিল।
পরিণামে কিছু নিরীহ মানুষ বোমার আঘাতে মৃত্যুবরণ করেছিল, সাধারণ মানুষ আগুনে পুড়ে মরেছিল এবং জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছিল। অবরোধ এবং হরতালকে ঘিরে সহিংসতা হলেও সেই অবরোধ ও হরতালকে একটানা চালিয়ে নিয়েছিল খালেদা জিয়ার বিএনপি। এমন সিদ্ধান্ত যে তাদের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত ছিল তা তারা টের পেলেন, যখন দেখলেন তাদের ডাকে তাদের সমর্থকরাও আর মাঠে নামছে না।
এরপরই দলীয় পরিচয়ে মেয়র নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি। একেবারেই সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত। আর তাদের এই সিদ্ধান্ত বিশ্লেষণ করেই বলা যায়, তাদের আগের নির্বাচনে না আসার সিদ্ধান্ত একেবারেই ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।
বাংলাদেশে পদ্মা সেতুর কাজ এগিয়ে যাচ্ছে; ঢাকায় মেট্রোরেলের কাজ শুরু হয়েছে; ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত হচ্ছে; ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত হচ্ছে; ঢাকায় উড়াল সড়ক নির্মাণে কাজ চলছে তেজগাঁও, মগবাজার, বাংলামটর, মৌচাক, শান্তিনগর ও খিলগাঁও জুড়ে; শান্তিনগর থেকে কেরানীগঞ্জের ঝিলমিল প্রকল্প পর্যন্ত অন্য একটি উড়াল সেতুর পরিকল্পনাও নিশ্চিত; হচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে; মাতারবাড়ি, সোনাদিয়া ও পায়রাতে আরও তিনটি সমুদ্র বন্দর নির্মাণের অপেক্ষায় রয়েছে; হাতিরঝিল প্রকল্প এবং অনেকগুলো উড়াল সেতু ঢাকার সৌন্দর্য বর্ধনের বিশেষ সাক্ষী হয়ে আছে; বাংলাদেশে এ বছর ৬ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা আছে; বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বর্তমানে ১ হাজার ৩১৪ মার্কিন ডলার; বাংলাদেশের পোশাকশিল্প পৃথিবীর কাছে বিস্ময়কর উন্নয়নের চিহ্ন রাখতে সক্ষম হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি। এ সবকিছুই বাংলাদেশের উন্নয়নের বর্তমান ছবি।
এ উন্নয়নে বাংলাদেশের জনগণের অবদান আছে, ব্যবসায়ীদের অবদান আছে, সরকারের অবদান আছে। কিন্তু অর্জনটি সবার জন্যই। এই সবার মধ্যে অবশ্যই বিএনপির কর্মী-সমর্থকরাও রয়েছে। এই উন্নয়নের ধারায় বিএনপি বাংলাদেশকে কতটুকু সহযোগিতা করবে তা তাদের বিবেচ্য বিষয়। তবে তারা যদি সুস্থ রাজনীতি করতে মনস্থ করে, তাহলে এই বাংলাদেশের পাশে তাদের অবশ্যই থাকতে হবে। রাষ্ট্রের উন্নয়নে এবং দেশের মানুষের অগ্রসরতায় বিএনপি যদি পাশে না থাকে, তবে তাদের রাজনীতি জনগণের হূদয় ছুঁতে ব্যর্থ হবে। তাই তারা আগামীদিনে কেমন রাজনীতি নিয়ে সামনে আসছে- বিষয়টি বাংলাদেশের মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৭
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×