somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সর্বত্র প্রতিরোধ প্রয়োজন

৩১ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বি শ্ব মানবতার জন্য এটি খুব দুর্ভাগ্য ও হতাশার বিষয় এই যে ধর্মের নামে চরম অধর্ম করে কোনো কোনো গোষ্ঠী নিজেদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সুবিধা লাভের জন্য ধর্মীয় জঙ্গিবাদের দীক্ষা ছড়িয়ে দিতে চাইছে। মধ্যযুগে রোমান পোপরা নিজেদের ইহজাগতিক ও পারলৌকিক উভয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে পবিত্র বাইবেলের বিকৃত ব্যাখ্যা করে খ্রিস্টান বিশ্বকেই বিভ্রান্তিতে ফেলেছিলেন। যার প্রতিক্রিয়ায় ধর্মের পবিত্রতা রক্ষা করতে গিয়ে মানবতাবাদী খ্রিস্টান সাধুসন্তরা চার্চ থেকে বেরিয়ে আসেন। মঠ প্রতিষ্ঠিত করে পবিত্র বাইবেলের আদর্শ সমুন্নত রাখার চেষ্টা করেন। তারা খ্রিস্টান ধর্মের মানবিক দর্শন নিয়ে ছড়িয়ে পড়েছিলেন বিশ্বময়।
এগার শতকে কর্নাট থেকে আসা ব্রাহ্মণ শাসকদের হাতে চলে গিয়েছিল বাংলার শাসন ক্ষমতা। সাধারণ বাঙালি যাতে এদের অন্যায় শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে না পারে তাই বর্ণ বিভাজন করে সাধারণ হিন্দু বাঙালিকে শূদ্র বলে কোণঠাসা করে রাখলো। ধর্মের দোহাই দিয়েই তাদের অধিকার বঞ্চিত করলো। নানাভাবে নির্যাতন করতে লাগলো ধর্মের কথা বলেই। ধর্মগ্রন্থ পড়ে শাসকদের এসব মনগড়া ব্যাখ্যার কথা যাতে ফাঁস হয়ে না যায় তাই শূদ্রের জন্য ধর্মগ্রন্থ পাঠ নিষিদ্ধ করা হলো। অনেককাল পরে ইসলামী জঙ্গিবাদী নামধারীরা একইভাবে ধর্মের বিকৃত ব্যাখ্যা এনে কিছু সংখ্যক মানুষ বিশেষ করে ইতিহাস-সংস্কৃতি বিচ্ছিন্ন নির্বোধ তরুণদের বিভ্রান্ত করছে। কোরান হাদিসের প্রকৃত ব্যাখ্যা থেকে দূরে রেখে নিজেদের বিভ্রান্ত নেতাদের আদর্শ প্রচার করা জেহাদী বইয়ের মধ্যে আটকে রাখছে। ধর্মের নামে অপব্যাখ্যায় মানুষ খুন করে বেহেস্তে যাওয়ার পথ দেখাচ্ছে। এভাবে মগজ ধোলাই করে হাতে অস্ত্র দিয়ে এদের পাঠাচ্ছে মানুষ খুন করতে। এরা বুঝতেও পারলো না সুবিধাবাদী বড়ভাই বা ওস্তাদরা ওদের জান্নাতের লোভ দেখিয়ে জাহান্নামের দরজায় পৌঁছে দিল। একবারও ভাবলো না তাদের দীক্ষাদাতারা জান্নাতে যাওয়ার জন্য মাঠে নামছে না। মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে এই বিভ্রান্ত তরুণদের।
ইসলামী জঙ্গি বলে একটি জেহাদী শব্দ প্রচলিত থাকলেও বাংলাদেশে ১৯৯২ থেকে ধর্মীয় উগ্রবাদীদের গোষ্ঠী অনেকটা প্রকাশ্যে যে ভূমিকা রাখছে তাতে তাদের খুনি-সন্ত্রাসী বলাই ভালো। এরা যেসব গোষ্ঠীভুক্ত সেগুলো জেএমবি, হরকাতুল জেহাদ, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (অধুনা আনসারুল্লাহ আল ইসলাম), হিজবুর তাহরির নামে পরিচিত। আর এসবের নামের আড়ালে ইসলামী ছাত্র শিবিরের অবস্থানও রয়েছে বলে গণমাধ্যমের দেওয়া তথ্যে জানতে পারি। মানুষ হত্যার মত গর্হিত পাপ করার পর এসব সন্ত্রাসীরা আবার গর্বের সঙ্গে দায় শিকার করে বিবৃতি দেয়। এসব দায় শিকারে ইদানিং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজেদের আইএস বলা হচ্ছে। তবে সরকার পক্ষ বলতে চাইছে এটি প্রচারণা মাত্র। বাংলাদেশে আইএসের অস্তিত্ব নেই। যে নামেই ডাকি না কেন ওদের একটিই পরিচয় ওরা খুনি সন্ত্রাসী এবং ইসলামের দৃষ্টিতে নিকৃষ্ট অপরাধী। এতদিন এক দু’জন ব্লগার, মুক্তমনা লেখক, পীর, মাজারের খাদেম, হিন্দু-খ্রিস্টান নিরীহ পূজারি, বিদেশি চাকুরে বা ব্যবসায়ী খুন করে এরা হাত পাকিয়েছে। এদের প্রতিরোধের জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নজরদারি বাড়িয়েছে।
কিন্তু জঙ্গি তরুণরা যেন অপ্রতিরোধ্য। এমনি কয়েকজন মগজ ধোলাই হওয়া জঙ্গিবাদে দীক্ষা পাওয়া তরুণ ইসলামী অনুশাসন না মেনে পবিত্র রমজান মাসে তারাবিহ নামাজের সময় মসজিদে না গিয়ে মানুষ খুন করতে জড়ো হলো গুলশানের কূটনৈতিক পাড়ার স্প্যানিশ রেস্টুরেন্টটিতে। আমাদের প্রায় সকল সংবাদ মাধ্যম ‘জিম্মি’ শব্দটি উচ্চারণ করছে। বিষয়টি জিম্মি বলা যাবে আমি মনে করি না। জিম্মি করার ভেতরে কোনো গোষ্ঠীর একটি আদর্শ ও উদ্দেশ্য কাজ করে। জিম্মি করার সঙ্গে একটি দরকষাকষির সম্পর্ক থাকে। জিম্মি করার বিনিময়ে কোনো দাবি আদায় করতে চায়। এক্ষেত্রে তেমন কোনো উদ্দেশ্য দেখা যায়নি। অথবা খুনের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের কোনো আদর্শও কাজ করেনি। যেমন ব্লগার বা মুক্তমনা লেখক হত্যার পেছনে এদের বক্তব্য ছিল এসব লেখক ইসলামী চেতনা বিরোধী কথা লিখছে এবং এই খুনিরা মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না বলে তাদের ভাষায় এসব ইসলাম বিরোধীদের হত্যা করে নিজেদের ‘ঈমানী দায়িত্ব’ পালন করছে। কিন্তু গুলশানের রেস্টুরেন্টে যাদের হত্যা করা হলো তাদের হত্যার পেছনে তো এমন কোনো যুক্তি দেওয়ার অবকাশ ছিল না। যে মানুষদের হত্যা করার জন্য এলো তাদের সম্পর্কে আগে থেকে কোনো ধারণাও ছিল না খুনি সন্ত্রাসীদের। অর্থাত্ এমন কোনো অভিযোগ নেই যে এরা ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কোনো অন্যায় কথা বলেছে। লাঞ্ছিত করেছে ধর্মকে। এসব তরুণরা দেশি-বিদেশি নিরীহ মানুষদের জিম্মি করে কোনো দাবি আদায় করতে চেয়েছে তেমনও নয়। এমন নয় যে, এই অসহায় মানুষগুলো এক সময় সন্ত্রাসীদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে পড়েছিল যে বাধ্য হয়ে তাদের খুন করতে হয়েছে। অর্থাত্ নিজেদের দাম্ভিক উপস্থিতি বিশ্ববাসীর কাছে প্রচারের উদ্দেশ্য ছাড়া আর কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এটুকুর জন্য তারা কোরআন হাদিসের আলোকে সবচেয়ে বড় পাপের কাজ করেছে। ঠাণ্ডা মাথায় খুন করেছে বিশ-পঁচিশ জন মানুষকে। এদের বড় অংশই বিদেশি। যারা চাকরি বা ব্যবসায়ের কারণে এদেশে বসবাস করছিল। রাতের খাবার খেতে এসেছিল রেস্টুরেন্টে।
মহানবীর শিক্ষা থেকে আমরা জানি নিজের জীবন বিপন্ন করে হলেও অতিথিকে রক্ষা করার নির্দেশনা আছে। সে অতিথি বিধর্মী হলেও। এসকল বিদেশি তো এদেশের অতিথিই ছিলেন। অথচ ঠাণ্ডা মাথায় খুন করলো অতিথিদের। এছাড়াও এই দেশেরই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যারা কর্তব্য পালন করতে এসেছিল তেমন ধর্মপ্রবণ মুসলমান দু’জন পুলিশ অফিসারকে খুন করেছে। তাদের সন্তানদের অনাথ করেছে। স্ত্রীদের বিধবা করেছে। আত্মীয়-পরিজনদের শোকের সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছে। বুলেটে আর বোমা ছুঁড়ে অনেককে আহত করেছে। সবশেষে নিজেদের জীবনকেও ঠেলে দিয়েছে মৃত্যুর পথে। এ একধরনের আত্মহত্যারই শামিল। অথচ আত্মহত্যাকে মহাপাপের কাজ বলে সতর্ক করে দিয়েছে পবিত্র কোরআন। ইসলামে যুদ্ধের ময়দানেও নারীদের হত্যা না করার নির্দেশ আছে অথচ এই তরুণরা নারীদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে। এরা শান্তি ও মানবতার ইসলামকে বিশ্ববাসীর সামনে অমানবিক, হিংস্র ও উগ্রবাদী ধর্ম হিসেবে পরিচিত করিয়েছে। অর্থাত্ এদের প্রতিটি কাজ হয়েছে ইসলামের দৃষ্টিতে চরম অন্যায় ও পাপের কাজ। মানবতার কথা তো বাদই দিলাম।
বাংলাদেশের মত একটি দেশ যেদেশে মোট জনসংখ্যার সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসলমান বাস করে। দীর্ঘকাল ধরে শান্তিতে ধর্ম নির্বিশেষে সকলে একসঙ্গে বাস করে আসছিল। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে যেদেশের সুনাম ছিল সেদেশকে কলঙ্কিত করে আরেকটি পাপের কাজ করলো তরুণেরা। তারা হয়তো জানতেও শেখেনি যে ইসলাম ধর্মে দেশের প্রতি ভালোবাসাকে ঈমানের অঙ্গ বলেছে।
কিন্তু সবচেয়ে বড় আশঙ্কার কথা হচ্ছে নানা পরিচয়ে জঙ্গি নামধারী এসব বিভ্রান্ত সন্ত্রাসী তরুণের সংখ্যা বাড়ছে। নিরীহ মানুষ খুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। অথচ পবিত্র কোরআনেই আছে কে পাপী আর কে পুণ্যবান তা নির্ধারণ করবেন মহান আল্লাহ। তিনিই একমাত্র মানুষকে শাস্তি দেওয়া বা ক্ষমা করার অধিকার রাখেন। কিন্তু মগজ ধোলাই করা এসব বিভ্রান্ত তরুণ ইসলামের প্রকৃত শিক্ষাকে ধারণই করতে পারছে না। দিন দিন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে।
এই বাস্তবতা সামনে রেখে আজ এদেশের সকল মানুষকেই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গুলশান ট্র্যাজেডির পর এই ঐক্যের কথা বলেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষও এই ঐক্যের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। এ শুধু রাজনৈতিক দলসমূহের ঐক্য নয়। মানবিকতা বিরোধী, ইসলামী আদর্শ বিরোধী জঙ্গিবাদী নামের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সকলের মানসিক ঐক্য এখন জরুরি। বিভিন্ন সংকটের সময়ে ঐক্যের কথা এলে আমরা রাজনৈতিক দলসমূহের ঐক্যের কথা বোঝাতে চাই। এর অবশ্য মূল্য রয়েছে। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় এদেশে তেমন ঐক্য গড়ে ওঠা কঠিন। কারণ বড় দাগে দেখলে দুটো জোটে ভাগ হয়ে গেছে রাজনীতি। একটি জোটে মৌলবাদী দল এবং বিশেষ করে মানবতা বিরোধী অপরাধের সঙ্গে যুক্ত দল রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে এসব দলের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদ উস্কে দেওয়ার অভিযোগ আছে। তাই জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানে এসব দলের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখা পক্ষ আমন্ত্রিত হবে না এটি বলাই বাহুল্য।
আমরা মনে করি না আজকের এই সংকটের সময় কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ঐক্যমতের প্রয়োজন রয়েছে। যেসকল রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধভাবে সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে চায় তারা যার যার অবস্থানে থেকে সে লড়াইটি চালিয়ে যেতে পারে। রাজনৈতিক দল সংশ্লিষ্ট নন এমন অসংখ্য মানুষ আছেন যাদের মানসিক ঐক্যও সন্ত্রাসকে প্রতিহত করতে ভূমিকা রাখতে পারে। জঙ্গিবাদী নামের সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্য কোনো শক্তি নয় যে একসঙ্গে দলবদ্ধ হয়ে তাদের প্রতিহত করবো। দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের পদ্ধতি মত ভূমিকা রাখছেন এবং রাখবেন। আমরা যার যার অবস্থানে থেকে তাদের তথ্য দিয়ে ভূমিকা রাখতে পারি। নিজ নিজ পরিবার ও প্রতিবেশের প্রতি নজর রেখে সতর্ক থাকতে পারি যাতে আপন সন্তান, ভাই-বোন বা নিজেদের অতি পরিচিত পাড়া-প্রতিবেশীদের মধ্যে জঙ্গি দীক্ষা নিয়ে কোনো তরুণ বিভ্রান্ত হতে না পারে। প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসীরা তো ঘাপটি মেরে আছে আমাদের চারপাশে। আমাদের সকল মহলের তীক্ষ নজরদারিতে এদের স্বরূপ উন্মোচিত হতে পারে। এভাবে আমরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে এদের মূলোচ্ছেদ করতে পারি।
এখন সবচেয়ে বড় প্রয়োজন ধর্মের অপব্যাখ্যা করে ভুল বুঝিয়ে তরুণদের বিভ্রান্ত করে চরম পাপের পথে যারা নামাচ্ছে তাদের প্রতিরোধ করা। এরা দৃশ্যমান শক্তি নয়। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে হলে পারিবারিক সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় মানবিকতাকে সবার সামনে নিয়ে আসতে হবে। কোরআন হাদিসের আলোকে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষাকে সকলের সামনে উন্মোচিত করতে হবে। কোন প্রেক্ষিতে সুফিসাধকগণ ইসলামের মানবিকতার বাণী ও আল্লাহ প্রেমের কথা বলে এদেশের মানুষের মন জয় করে ইসলাম প্রচার করেছিলেন এবং সফল হয়েছিলেন, স্কুল ও মাদ্রাসার পাঠক্রমে তা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কোরআন হাদিসের অপব্যাখ্যা করে সুবিধাবাদী গোষ্ঠী যে ধর্মকে বিকৃত করছে, ঈমানী কর্তব্যের কথা বলে তরুণদের যে মহাপাপের পথে নামাচ্ছে এই সত্যটি কোরআন ও হাদিসের মাধ্যমেই স্পষ্ট করতে হবে। আল্লাহুআকবর ধ্বনি দিয়ে রেস্টুরেন্টে নিরীহ মানুষ খুন করার মত ঘোরতর পাপ যে ইসলাম ক্ষমা করে না তা প্রচার করতে হবে। ‘জিহাদ’ শব্দের প্রকৃত তাত্পর্য কি তা কোরআন হাদিসের আলোকে ব্যাখ্যা করে বোঝাতে হবে। ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞতাকে পুঁজি করেই কিন্তু অপশক্তি তরুণদের মগজধোলাই করতে পারছে।
প্রকৃত শিক্ষাই চারপাশ আলোকিত করতে পারে। আমরা ঐক্যবদ্ধ চেতনা নিয়ে যদি যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে পারি তাহলে অসাম্প্রদায়িক চেতনার শক্ত ভিত্তিতে গড়া এদেশের মাটিতে জঙ্গি নামের সন্ত্রাসের মূলোচ্ছেদ করা সম্ভব।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৪৮
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×