তোমার সব খই ফোটানো কথা, আর সব আহ্লাদী ঢেউয়ের উন্মাত্ততা নিয়ে
স্মৃতির পাঁচফোড়ন সাজিয়ে যেন বসে আছো এক বিলাসী-ছায়ামানবী হয়ে
যেন সব প্রাগৈতিক বিকেল আবার কেঁদে উঠে স্বৈরিণীর স্বেদজ প্রেমে
জীর্ণ ধুলো, নির্ণাভ রাতের আটকুঠুরিতে জমে থাকে স্বিন্ন শরীরের ক্লেদ।
শেষ চরের ঠিকানা ভুলে ভাসতে চাই আবার মেঘেদের ভেলায় চড়ে
আকাশে আকাশ রেখে পাড়ি দিতে চাই সব গ্লাণি আর বিশীর্ণতা ভুলে
তাসের টেবিলে চাই পৌরণিক ধূপ, আগরবাতি আর সিগারেটের শেষ টান
চাই শেষ মদের পেগ, হতে চাই নিঃশর্ত, মুক্ত, অপ্রেমিক এক পিতৃপরিচয়হীন।