somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বউ বললো: তোমার হাড়-মাংস খেয়ে তারপর যাব

২৭ শে মে, ২০১০ রাত ১:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার অফিসের রিসিপসনিস্ট ঊষা আর এখন নেই। ওর চাকুরি গেছে। আমার সাথে ঊষার গোপন সম্পর্ক আছে - এই রকম সন্দেহ ও কানাঘুঁষা চলছিল বিগত কিছুদিন যাবত। আমার ব্যবসার অন্য তিন পার্টনারও এসব কথা শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে পড়েছিল। একদিন তারা বললো, এভাবে কি ব্যবসা করা যায়? মানুষের মুখ কী দিয়ে ঢাঁকি?
আমার কাছেও অসহ্য হয়ে পড়েছিল ব্যাপারটা। তাই ঊষার ছাটাইয়ের ভেতর দিয়ে সবকিছু যেন স্বাভাবিক হয়ে গেল। যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল তারও সমাধান হল। মাঝখানে ঊষা চাকুরি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়লো। মেয়েটি হয়তো এবার উচ্ছুন্যেই যাবে।

এখন অফিসে ঊষা নেই বলে আমারও কথা বলার মত কেউ নেই। কাজেই আমি এখন সকাল-সকাল বাড়ি ফিরি। পকেটে তেমন টাকাও নেই যে, ইন্টারনেটে বসে কিছুক্ষণ কাটাবো। সকাল-সকাল বলতে রাত ন’টায় অফিস শেষ হলে, কোথাও না দাঁড়িয়ে, সোজা বাড়িতে চলে আসি। মগবাজার গ্রিনওয়েতে মোটামুটি ভালো একটা ফ্লাটে আমরা ভাড়া থাকি।

এভাবে একদিন বাসায় ফেরার পরমুহূর্তে আমার স্ত্রী সুলতানা বেশ কৌতুহল নিয়ে জিজ্ঞেস করলো, আজকাল দেখি তাড়াতাড়ি চলে আস। তোমার নতুন সংসারের খোঁজ-খবর কি রাখো না?
ঊষাকে ইঙ্গিত করে সুলতানা এই ধরনের কথা প্রায় সব সময়ই বলে। আজও যখন শুনলাম তখন আমি ওর কথার কোনো উত্তর না দিয়ে চুপচাপ বসে থাকাটাই শ্রেয় মনে করলাম। কারণ ওর কথার উত্তর দিতে গেলে মুখ দিয়ে অশালীন কথা বের হয়ে যাবে। বাচ্চারাও আমার সঙ্গেই বসেছিল। তাই নিজের রাগটাকে একটু সংযত করে কিছুই না বোঝার ভান করে ওর দিকে তাকালাম।

সুলতানা আবারও আগের কথার রেশ টেনে বললো, তোমার ঐ খানকি বউয়ের কথা বলছি, যে তোমার জানের জান। যার জন্য তুমি লাখ লাখ টাকা খরচ করো, যাকে না দেখলে তোমার একদন্ডও চলে না। তোমার সেই বউয়ের কথা বলছি, তুমি কি বুঝতে পারছো না? বাপরে বাপ, এমন লোক আর জনমে দেখিনি। এই বয়সে কিনা ছেলেপিলে মানুষ করবে, কিন্তু তা না, সে যায় খানকি কোলে নিয়ে শুতে। একটু লজ্জাও করে না তোমার?
আমি জানি, সুলতানা নিজেও ধোয়া চুলসিপাতা নয়। রাগ সংযত করে বললাম, বাজে কথা বলো না। কোনও খানকির সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।

আমার মেয়ে সিলভিয়া তার মাকে ধমক দিয়ে বললো, আপনি চুপ করেন!

ছেলে এলভিস বললো, আপনি এখন থেকে চলে যান, আপনার কাজে আপনি যান। এখানে আমি এখন পড়ছি, ডিসটার্ব করবেন না।

সুলতানা বললো, তুই চুপ কর, হারামজাদা। আমি তোর সঙ্গে কোনো কথা বলছি না। তোকে কথা বলতে নিষেধ করেছি না? তোরা আসলে সবাই তোর বাপের দালাল। এরকম চরিত্রহীন বাপের দালালী কিভাবে তোরা করিস, বুঝি না।

আমি বাচ্চাদের সামনে এরকম কথা কখনো বলি না বটে, তবে সুলতানার মুখে কোনোকিছু আটকায় না। সে বাচ্চাদের সামনে সব কথাই বলে থাকে। ওর কোনো লজ্জা-শরম বলে কিছুই নেই। বাচ্চাদের ভবিষ্যত এজন্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে সে-কথা সে ভাবে না। এসব কথা সুলতানা বললে আগে আমি প্রসঙ্গ এড়িয়ে যেতাম, কিংবা সেখান থেকে চলে যেতাম। কিন্তু সুলতানা সেটা বুঝত না, বুঝার চেষ্টাও করে না। সে আমার সামনে-পেছনে সবসময় একইভাবে অশালীন কথাবার্তা বলে চলে। এমনকি আমি যখন ঘুমাতে যাই তখনো সে পাশের রুমে বসে বসে এইসব কথা বলতে থাকে। আমি অনেকদিন অফিস থেকে বাড়ি ফিরে সদর দরজার ওপাশে দাঁড়িয়ে শুনতে পাই সে বকবক করে চলেছে। এজন্য আমি খুবই অস্বস্তিতে ভুগতে থাকি। অনেক বলাবলির পর এখন অবশ্য রাতে শোবার আগে সে আমার রুমে আসে এবং আমি না ঘুমানো পর্যন্ত সে বকবক করে চলে। আমি কোনোদিন তার কথার উত্তর দেই কোনোদিন মুখ বন্ধ করে রাখি। কখনো কখনো সে রাত দুটো না বাজলে উঠতে চায় না। এজন্য অনেকদিন আমি সকালে অফিসে পৌঁছাতে পারিনা। ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যায়।
আমি বললাম, চরিত্রহীন আমি নই, তুমি। তোমার চরিত্রটা আগে ঠিক করো, পরে আমাকে গলাতে এসো।

সুলতানা বললো, আমার চরিত্র ঠিকই আছে, তোমার মতো কলঙ্ক আমার চরিত্রে নেই।

-তুমি যে কী তা তো আমি জানি-ই।

-রাখো, আমার বংশে কোনও চরিত্রহীন লোক নেই। যতটা না তোমার বংশে আছে। তোমার বংশের তো সবাই চরিত্রহীন, আমি কি চিনি না?

-চিনেই যখন ফেলেছ তখন আর এখানে কেন? তোমার চরিত্র নিয়ে তুমি কেটে পড়তে পারো, তোমার জন্য বাইরের দরজা সব সময় খোলা রয়েছে।

-তুমি কি আমাকে যেতে বলছো? আমি তো যাবই, তবে তোমার হাড়-মাংস খেয়ে তারপর যাব।

-হাড়-মাংস খাওয়া কি শেষ হয়নি? আর কি খাবে, সবই তো শেষ।

-এখনই যাব কেন, যাওয়ার সময় এখনো হয় নি। যেদিন হবে সেদিন যাব। তুমি আমাকে প্রতিদিন পাঁচ শ করে টাকা দেবে। আমি যেন টাকা নিতে না পারি সেজন্য তুমি অফিস থেকে এসেই টাকা লুকিয়ে ফেল, তাই না? আমি সব বুঝি।

-ন্যাড়া একবারই বেলতলায় যায়। তুমি যতই বল না কেন আমি তোমার কথায় কখনো ভুলব না।

-তুমি আমার কথায় কি ভুলবে, তোমার ঐ খানকিটার জন্য তুমি টাকা জমাও, সেটাও আমি জানি। এপর্যন্ত তোমার ব্যাংক-ব্যালান্স কত হয়েছে বলবে আমাকে?

-কোনো ব্যাংকেই আমার নামে কোনো টাকা নেই। রূপালী ব্যাংকে যখন একাউন্ট খোলা হয়েছিল তখন যে একহাজার টাকা রেখেছিলাম সেই টাকাটাই আছে সেখানে। ওই এক হাজার টাকাই এখন আমার সম্বল। এখন আমি অনেকের কাছেই ঋণী হয়ে আছি। ঋণগুলো আমি কিভাবে শোধ করবো ভেবে পাই না!

-তোমার ওসব কথা আমি বিশ্বাস করিনা। তোমার কাছে এখন অনেক টাকা। তুমি প্লান করেই টাকা জমাও, আমি কি বুঝিনা মনে করছো?

-টাকা আসবে কোত্থেকে যে জমাব?

-তোমার অনেক ইনকাম, সেটা আমি জানি, আমাকে বোঝাতে চেষ্টা করবে না।

-তোমাকে বোঝানোর কোনো প্রয়োজন নেই। আমি কেবল সত্যটাই তোমাকে বলছি। তুমি বিশ্বাস করবে কি করবে না সেটা তোমার ব্যক্তিগত ব্যাপার।

-তুমি তোমার সন্তানদের কথাও কি মনে করো না? তাদের জন্য তোমার কিছু সঞ্চয় করা একান্ত কর্তব্য ছিল, সেটাও তুমি করলে না। তুমি কি একটা মানুষ?

-না, আমি মোটেই মানুষ না। অন্তত তোমার দৃষ্টিতে আমি কোনোদিন মানুষ ছিলাম না, এখনো মানুষ হতে পারিনি, ভবিষ্যতেও পারবো না। এভাবে যে ক’দিন বাঁচি বাঁচবো, অন্যকোনো চিন্তা আমার আর নেই।

-দেখা যাবে, একদিন আমার কাছে আসতেই হবে। সেদিন তোমার দৌড় কতদূর থাকে দেখব।

-কখনো না। আমি তোমার কাছে যাব সেটা তুমি কিভাবে অনুমান করলে?

-কত দেখলাম! আজ যে তোমাকে কাছে ডাকছে কালই সে তোমাকে লাথি মারবে, সেদিন তুমি কোথায় যাবে, সেটাই আমি দেখতে চাই।

-দেখার চেষ্টা করে যাও, একদিন দেখতেও পারো। আর তুমি তো কেবল আলোতেই দেখতে পাও, আলোর নিচে যে অন্ধকার থাকে তা তুমি জানো না। সেখানেও যে কিছু দেখার আছে তা তুমি জানো না।

-কে বলে যে আমি আলোর নিচে দেখি না? আমার এই চোখ দিয়ে আমি সব জায়গাতেই দেখি।

-তুমি কোথায় কি দেখতে পাও সেটা আমিও জানি, আর আমি যে জানি তা কি তুমি জানো?

-তুমি আমার কি জানো?

-আমি জানি যে, আলোর নিচে যে অন্ধকার থাকে সেখানে তোমার চোখ যায় না। তোমাকে আমি যে টাকাগুলো দিয়েছি গত ছ’মাসে তার প্রায় সবটাই ঊষার কাছ থেকে ধার করা টাকা। ও যদি আমাকে এই টাকাগুলো না দিতো তাহলে তোমাদের আমি খাওয়াতেই পারতাম না। সিলভিয়ার আয়ারল্যান্ডে যাওয়া হতো না, ওর স্কুলের বেতন দিতে পারতাম না, সেজন্য স্কুল থেকে নাম কাটা যেতো, এলভিসের স্কুলের বেতন দিতে পারতাম না, ওর নাম কাটা যেতো, বাড়ি বদল করতে পারতাম না, বাড়ি ছেড়ে দিতে হতো, আমি ঢাকায় থাকতে পারতাম না, অন্যকোথাও চলে যেতে হতো। এজন্য ঊষার কাছে আমি ঋণী হয়ে আছি।

-খবরদার! তুমি তার কথা আর মুখে আনবে না। ওই খানকির টাকা তুমি কখনো নেওনি। ওগুলো তোমার শোয়ার বকেয়া টাকা আমি মনে করি। কতটাকা?

-বিশ হাজার টাকা। প্রতিমাসে এক হাজার টাকা সুদে আমি টাকাগুলো ওর কাছ থেকে নিয়েছি। এপর্যন্ত আসল তো নয়ই সুদের টাকাও তাকে দিতে পারি নি।

-অসম্ভব! এ টাকা তুমি তার কাছ থেকে নেওনি। এটা তাকে তোমার সেভ করার একটা অপচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই না, আমি বুঝি। তুমি শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে পারবে না।

-তুমি বিশ্বাস করো আর নাইবা করো, তাতে কোনো আসে যায় না। যেটা সত্য সেটাই বললাম।

-ঠিক আছে, তোমার কথা মানতে পারি, তুমি যদি তার কাছ থেকে আরও পঞ্চাশ হাজার টাকা এনে দিতে পারো তাহলেই আমি বিশ্বাস করবো। তার আগে না। এ্যাঁহ্‌, সে টাকা কোথায় পাবে! খানকি মাগি ভাত খেতে পায় না আবার মানুষকে টাকা ধার দেয়, এটা কি কোনো কথা হলো?

-কেন, ওর বেতনের সব টাকাই তো আমাকে দিয়ে দিয়েছে।

-কিভাবে তোমাকে টাকা দিয়েছে, কবে টাকা দিয়েছে?

-প্রথমবার দশ হাজার, পরে একবার পাঁচ হাজার এবং শেষে চার হাজার টাকা আর শেষে দিয়েছে এক হাজার টাকা। আর শুধু যে আমাকেই দিয়েছে তা নয়, সে অফিসের প্রায় সব পিওনকে এমনকি সরোয়ারকে পর্যন্ত টাকা দিয়েছে। আমি যেদিন শুনলাম যে তাদেরকে টাকা ধার দিয়েছে সেদিনই আমি বুঝতে পারলাম যে ওর কাছে টাকা আছে, আমিও ধার চাইবো।

-এটা হতে পারে মানুষের কাছে শোয়ার টাকা। তুমিও তো ওর কাছে শুয়েছ, সে টাকাও তো ওর কাছে আছে। মোট কতটাকা দিয়েছো তাকে এপর্যন্ত?

-এক টাকাও না। আমি ওকে নিয়ে কখনো শুলে তো টাকা দেয়ার প্রশ্ন আসবে, আমি শুইনি। আর সে বারো-চৌদ্দ ঘন্টা আমাদের অফিসে ডিউটি করে ওসব করার সময় পাবে কোথায়? আর যদিও বা করে থাকে সেটা ওর নিজস্ব ব্যাপার, তাতে আমার কী? আমি টাকা ধার নিয়েছি, দিতে পারলেই সব মিটে যাবে। এত হিসেব-নিকেষ করার কি আছে?

-তুমি ওর টাকা দিতে পারবে না। পারলে আরও নাও, ওর যা কিছু আছে সব শেষ করে দাও। যদি পঞ্চাশ হাজার টাকা আনতে পারো তবে তোমার সবকিছু আমি ক্ষমা করে দেবো।

-তুমি আমার কী ক্ষমা করবে? তোমার ক্ষমার অপেক্ষা করে না। প্রাকৃতিক নিয়মে যা ঘটার তা ঘটবেই, তা রোধ করতে তোমার ক্ষমার অপেক্ষা রাখবে কি?

-আমি যা বলবো আল্লাহ তাই শুনবে। আল্লাহ আমার কথা শোনে, আমি বহু প্রমান পেয়েছি।

-আল্লাহর সাথে তোমার ডাইরেক্ট কানেকশন, না-কি বল?

সুলতানা কোনো কথা বললো না। আমি আবার বললাম, আল্লাহ কি তোমার একার?
সুলতানা তবুও কোনো কথা বললো না। আমি তাকে রুম থেকে চলে যেতে বললাম। এবার সুলতানা বললো, আমি কেন যাব? আমি তোমার কাছে শুতে এসেছি নাকি?

-তুমি এসেছো ঝগড়া করতে। তোমার এই ধরনের কথাবার্তা আমার অসহ্য। তুমি কি যাবে এখান থেকে?

-না, আমি যাব না। তুমি কি আমাকে জোর করে এখান থেকে তাড়িয়ে দিতে পারবে? কখনো পারবে না।

-তুমি যদি আমার কথা না শোনো তাহলে আমি বাধ্য হব তোমাকে এখান থেকে জোর করে রেব করে দিতে। কারণ, আমি এখন ঘুমাবো। কাল সকালে আমাকে উঠতে হবে। তুমি প্রতিদিনই আমার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটিয়ে আমার অফিস বিলম্ব করার চেষ্টা করো। বেশি ত্যাড়ামী করলে ভালো হবে না বলে দিলাম। দুই বছর হলো, তুমি আমার সমস্যা করে চলেছ, এজন্য তোমাকে একদিন পস্তাতে হবে।

-আমি তোমার জন্য পস্তাব নাকি তুমিই আমার জন্য পস্তাবে?

-হাঃ! হাঃ! হাঃ! তোমার জন্য আমি পস্তাব? দেখা যাবে কে কার জন্য পস্তায়।
আমি একটু অট্টহাসি হেসে বললাম। সেই হাসির সঙ্গে ছিল শুধুই তিরস্কার আর ঘৃণা।

সুলতানা বললো, তোমার এত বয়স হয়ে গেল অথচ তুমি মানুষ হলে না। তুমি জানোয়ারই রয়ে গেলে।

-তুমি একটা বদ্ধ উন্মাদ, তোমার সঙ্গে আমি কথা বলতে চাই না। তুমি এখন যেতে পারো।

-উন্মাদ আমি না, উন্মাদ তুমি। তোমার বিবেক-বুদ্ধি সব লোপ পেয়েছে খানকি পেয়ে। আমি জানি যে ঐ খানকিটা তোমাকে প্রস্রাব খাইয়েছে। সে তোমাকে প্রতিদিন সকালে নাস্তা এনে খাওয়ায়, দুপুরের খাবার এনে খাওয়ায়। সেই খাবারের সঙ্গে প্রস্রাবও খাইয়েছে। আর ঐ প্রস্রাব যে খেয়েছে সে কখনো পরিবারের কথা মনে রাখে না। সে তখন হয়ে যায় খানকির পা-চাটা গোলাম। জগতের আর কোনোকিছুই তখন তার আর ভালো লাগে না। তোমার যেমন এখন কোনোকিছুই ভালো লাগে না খানকি ছাড়া। আমি কিছু জানি না ভেব না। আমি সবই জানি।

সুলতানা চলে যাওয়ার পরও উচ্চস্বরে অনেক কথা শোনা যেতে লাগলো। এভাবে সে একাকী আমার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে চলে ঘন্টার পর ঘন্টা, দিনের পর দিন। এজন্য বাড়ির পরিবেশ নষ্ট হয়, বাচ্চারা হয় বিব্রতকর পরিস্থিতির সন্মুখীন। এটা তাদের কাছেও এখন অসহনীয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু ওরা কখনো কিছু বলে না। বলতে পারে না। এলভিস কখনো বা প্রতিবাদ করে। আর সেজন্য সুলতানা তাকে মারতে যায়, অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালাজ করে। একদিন এলভিস স্কুল থেকে ফিরে দেখে, বাড়িতে কোনও খাবার রান্না হয়নি। সুলতানা ইচ্ছে করেই তার জন্য কোনো খাবার তৈরী করেনি। অগত্য সে নিজেই কিচেনে ঢুকে কিছু খাবার তৈরী করতে উদ্যত হলে তার মায়ের সঙ্গে বচসা হয়। এক পর্যায়ে তার মায়ের গায়ে হাত তুলে বসে। নিজের পেটের স্কুলগামী বাচ্চাকে খাবার না দিয়ে সুলতানা কিভাবে স্বাভাবিক থাকতে পারে তা আমার বোধগম্য হয় না। মনে হয়েছিল এজন্য তাকে আরও ধোলাই দেই, কিন্তু আমি নিজের রাগকে সংযত করেছি। জগত, সংসার, সমাজ, সবকিছুই তো দেখতে হয়। ভাবতে হয়।

(ক্রমশ)
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মে, ২০১০ রাত ২:৫১
৩১টি মন্তব্য ৩১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

কওমী মাদ্রাসায় আলেম তৈরী হয় না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×