somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

খালেদা জিয়ার এই দাম্ভিক অহঙ্কার আর উন্মাদ আচারণ রাজনৈতিক শিষ্টচার বর্হিভুত।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কথায় আছে রেগে গেলেন তো হেলে গেলেন। বি,এন,পি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উদ্ভট দাম্ভিক আচারণ খালেদা জিয়ার ব্যাক্তিগত ও রাজনৈতিক শিষ্টচারের নৈতিক পরাজয়।
গত কাল খালেদা জিয়ার বাড়ীর সামনে সংক্ষিপ্ত এক সাংবাদিক সম্মেলনে খালেদা জিয়া এক নারী পুলিশ সদস্যকে লক্ষ করে মারাত্বক কটুউক্তি ভাবে অশ্নীণ ভাবে বেয়াদব বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি ঐ মহিলা পুলিশকে একাদিক বার বেয়াদব, বেয়াদব বলে তিরিষ্কার করেন, শুধু তায় নয়, এই সময় খালেদা জিয়া গোপালগঞ্জ জেলাকে নিয়েও মারাত্বক ভাবে কটুউক্তি করে বলেন গোপালগঞ্জ নাম আর গোপালগঞ্জ থাকবেনা। পুলিশ সদস্যদের বার বার সরাসরি দালাল দালাল বলে আখ্যায়িত করেন। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম নিয়ে বার বার ( হাসিনা হাসিনা বলে ) উল্লেখ করেন্

এই সময় খালেদা জিয়ার মুখে যেন মারাত্বক আগুনের আগ্নিগোলা র্নিগত হচ্ছিল, তার চেহেরা চোখ, ঠোট কাঁপতে দেখা যায়।

এবার দেখাযাক খালেদা জিয়ার এই উদ্ভট দাম্ভিক আচারণ কেন রাজনৈতিক শিষ্টচার বির্হিভুত।

প্রথমে বলতে হয় , এক দলের শীর্ষ নেতা আর সাধারণ কর্মী ও সমর্তক বা সারারণ জনগণ এক নয়। একজন সাধারণ মানুষ যখন যাই ইচ্ছা তা বলতে পারেন, কিন্তু একজন একটি দলের শীর্ষ নেতা ও একাদিক বারের প্রধান মন্ত্রীর ব্যক্তিগত আচারণে শালীনতা আর ভদ্রাতা, নন্ত্রতা আর সৌন্দর্য হওয়া উত্তোম এবং উচিত।

একজন সাধারণ মানুষ বা কর্মী সমর্তক আর একটি দলের শীর্ষ নেত্রী ও একাদিক বারের প্রধান মন্ত্রী ও বিরুধী দলীয় নেত্রীর ব্যক্তিগত আচারণ এক নয়।

কিন্তু গত কাল খালেদা জিয়ার ব্যাক্তিগত আচারণ ছিল একজন সাধারণ রাস্তার মানুষের মত। তার সেই আচারণে বিন্দু মাত্র ভদ্রতা আর রাজনৈতিক শিষ্টচারের লক্ষণ ছিল না। খালেদা জিয়া তার ক্ষোভ আর রাগ ভদ্রতার সহিত ঠান্ডমাথায় প্রকাশ করতে পারতো, তাতে তার গ্রহণ যোগ্যতা বৃদ্ধি পেত।


> পুলিশ সদস্যকে বার বার বেয়াদব বলটা কতটুকু যুক্তি যুক্ত হলো?
শিক্ষগত যোগ্যাতা আর ব্যাক্তিগত দক্ষতার বিচার আনুসারে একজন পুলিশ সদস্য খালেদা জিয়ার চেয়ে বহুগুন উচ্চে। খালেদা জিয়া উত্তাণের পেচনে তার ব্যক্তিগত কোন অবদান নেই, শুধু মাত্র জিয়ার স্ত্রী হাবার সুবাদে তিনি প্রধান মন্ত্রী ও বি,এন,পি দলের নেত্রী হতে পেরেছেন। তার নেই কোন শিক্ষাগত যোগ্যাতা, তার গায়ে আছে র্দুনীতিবাজ কলঙ্ক, তার দুই পুত্র ইতি মধ্যে র্দুনীতির দায়ে বিদেশে পালিয়ে আছে এখনো।

একজন দুর্নীতিবাজ সাবেক অশিক্ষিত প্রধান মন্ত্রী, শৈরচারী সেনা শাসক জিয়া স্ত্রী, র্দুনীবাজ পুত্রের মা হয়ে, কি ভাবে , কোন সাহসের , কোন যোগ্যতার বলে একজন শিক্ষিত ট্রেনিং প্রাপ্ত দেশের আইশৃঙ্খ বাহিনীকে সরাসরি ব্যাক্তিগত ভাবে বেয়াদব বেয়াদব বলে বলে আক্রমণ করেন?
উল্লেখ্য খালেদা জিয়া ১৯৯০ সালের সংসদে প্রধান মন্ত্রী হয়ে তিনি বিরুধী দলীয় সংসদ তোফায়েল আহম্মদকে সংসদের অধিবেশনে সরাসরি বেয়াদব বলে আখ্যাযিত করেন।

> গোপালগঞ্জের নাম পাল্টিয়ে ফেলবো। এই রকম উদ্ভট মন্তব্যের যুক্তি কতটুকু।
গোপালগঞ্জ একটি জেলার নাম, এই জেলা কারে ব্যাক্তিগত সম্পত্তি নয়, এই জেলার মাটির মালিক বি,এন,পি- আওয়ামীলীগ-জাতীয় পাটি, সাবই, সক্তি অবাক হলাম কেন গোপালঞ্জ জেলার নামের প্রতি খালেদা জিয়ার এত ক্ষোভ? এই রকম শিশুসুলভ পাগলামি উদ্ভট উৎশৃঙ্খল যুক্তি হীন মন্তব্য শুনে সত্তি অবাক হলাম। প্রশ্ন রাইল তাহলে খালাজিয়া গোপলগঞ্জের নাম কি রাখতে চান? আদৌ তিনি কি কখনো পারবেন গোপালগঞ্জের নাম পরিবর্তন করতে?

পরিশেষে বলতে চায় প্রতিটি গণতান্ত্রিক দেশে প্রতিটি মানুষের রাজনৈকি সমাবেশ ও কর্মসুচি পালনের আধিকার আছে, কিন্তু বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কর্মসুচিতে বাধা দিয়ে অনেকটা নিজের কবর নিজেই খনন করলো। বৃহত্তর পরিসরে না হলেও অন্তত ইন্ডোর কোন সম্মেলন কেন্দ্রে খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক কর্মসুচি পালেনের অনুমতি দিতে পারতো। অন্তত খালেদা জিয়াকে বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল। যদি আগামীতে কখনো বি,এন,পি ক্ষমতায় আছে তখন যদি বি,এন,পি একই আচরণ করে তখন আওয়ামীলীগ কি করবে? সরকারে উচিত নিজেদের সম্মান থাকতে চলমান পরিস্থিতিটা সামাধান করা, যে ভাবে রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে তাতে কোন অবস্থায় আর আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় ঠিকে থাকতে পারবেনা, শুধু মাত্র পরাজয়ের চুড়ান্ত ক্ষণটি বিলম্ব হবে মাত্র।





সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৪২
২৩টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কিছু হিন্দু অখন্ড ভারত চায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৮




মুসলিম অখন্ড ভারত শাসন করেছে তখন তারা ছিলো সংখ্যা লঘু। খ্রিস্টান অখন্ড ভারত শাসন করেছে, তারা তখন সংখ্যা লঘু মুসলিম থেকেও সংখ্যা লঘু ছিলো। তারপর মুসলিমদেরকে সাথে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ্‌ সাহেবের ডায়রি ।। টাইম ম্যাগাজিনের আগামীর ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় বাংলাদেশের নাহিদ ইসলাম

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:১২




নাহিদের ভাষ্য, ‘আমাদের নতুন প্রজন্মের পালস বুঝতে হবে। বাংলাদশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সহিংসতার যে পালাক্রম– অবশ্যই তার অবসান হতে হবে। আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’ ... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে গল্প প্রকাশিত হবার পর নিষিদ্ধ হয়

লিখেছেন জাহিদ শাওন, ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১০:৫০


এক কাপ চা, শীতের সন্ধ্যায় বেশি ঝালের ভর্তায় মাখানো চিতই পিঠার অজুহাতে বুকপকেটে কতবার প্রেম নিয়ে তোমার কাছে গিয়েছিলাম সে গল্প কেউ জানে না।
আজকাল অবশ্য আক্ষেপ নেই।
যে গল্প... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধী চেষ্টা করেছিলেন বাংলাদেশের মিলিটারীকে ক্ষমতা থেকে দুরে রাখতে!

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৩:২৪



১৯৭১ সালের জেনারেশন'এর কাছে ইন্দিরা (১৯১৭ - ১৯৮৪ ) ছিলেন ১ জন বিশাল ব্যক্তিত্ব; যু্দ্ধ লেগে যাওয়ার পর, উনি বলেছিলেন যে, বাংগালীরা ভালো ও নীরিহ জাতি, তিনি এই জাতিকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন - পর্ব ৩

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৮:২৩

জুলাই ১৮: ছাত্রলীগের হামলা, সাধারণ শিক্ষার্থীদের হত্যা এবং ঢাবি প্রশাসনের নির্দেশে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে ১৭ই জুলাই কমপ্লিট শাট ডাউন কর্সুচী ঘোষনা করে বৈষম্যিরোধী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×