কিন্তু এই নতুন নড়ুনটা বেশ জ্বালার, টের পেত শুধুই সামু নিজে। এত বড় বিশ্রী নড়ুন। নাকে টানা ব্যথা দিয়ে যাচ্ছে। নাকের মাংশের যেখানে ঢুকেছে বেশ লাল দগদগে ঘা হয়ে গিয়েছ, তারপর চেহারার উপরে সারাক্ষন এই বিশাল জিনিস নিয়ে আর কত টেকা যায়। কিন্তু লোকলাজে নামাতে পারছিলনা সামু। নামালেও কিছু একটা রাখতে হবে সেখানে না হলে লোকে চিনবে কি করে। সবাই যে এখন নড়ুন যুক্ত সামুকেই চিনে। তাই ঠিক হল নড়ুন নামিয়ে একটা কিছু লাগায়ে রাখতে হবে দুই দিন, তারপর আলপটকা খুলে ফেললেই কেল্লাফতে। লোকলাজ আর সৌন্দর্যের বলি হারি যাই।
প্রথম আপডেটের নামে তাই আসল গালিভাষীর একখানা তদন্ত অাপডেট। তারপর মিটিংয়ের নোটিশ। তারপর মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত অামরা ব্যর্থ হয়েছি। যেটাই ছিল আমাদের গন্তব্য। মাঝখানে এই যে আদানপ্রদান হল মতামতের, সচেতনতার বা হিটের সেগুলোই বা কম কি। প্রাপ্তি তো আর কম নেই। তবে চারিপাশে এখনও শোক ও মাতম চলছে। প্রত্যেক পরাজয়ের পরে যেমন গুমড়ে গুমড়ে মরার একটা ব্যাপার থাকে। অবশ্য গুমড়ে মরছে শুধুই নাদান সাধারণ কিছু ব্লগার। যারা বাস্তব জীবনে কেমন তা জানিনা, কিন্তু ব্লগে হাতি ঘোড়া মারে।
পুরো সিরিজে লক্ষ্য করলাম, গোয়েন্দা আর গালিভাষীর কেমন একটা জোড়ি রয়েছে। গ্রামের মাতব্বের পাশে যেমন একজন থাকে তাকে বাতাস করে, ঠিক তেমনই কিছু পোস্টে লক্ষ্য করেছিলাম গোয়েন্দার পাশে থাকত গালিভাষী। এবারও তাই। প্রথমে গোয়েন্দার পোস্ট আসল, তারপরই সামুর পক্ষে অন্তর্ভুক্ত হল গালিভাষী। দুজনের রাজনীতি ভিন্ন ধরনের কিন্তু এই মানিক জোড়ের রহস্য কী? একটা ভেদ হয়তো কখনও হয়ে যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুন, ২০১২ ভোর ৬:৪২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




