জয়নাল হাজারীর ক্লাস কমিটি, বাঙলা ভাইয়ের জেএমবি বাহিনী, শুনেছি। এবার এল ফিফার ঠেঙারে বাহিনী। ফিফা মহাশয়ের (সাথে ব্লগ মডুদের) সভ্যতা সম্পর্কিত জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুলছি। এর আগে তার "টেকি টেকি" ভাব নেয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম।
সমাজে গ্রহনযোগ্য পরিবর্তন আনার নাম দিয়ে যুগে যুগে গঠিত হয়েছে খুনে বাহিনী। এদের প্রত্যেকের চোখে থাকে রঙিন স্বপ্ন। কেউ এর সাথে রাজনৈতিক আদর্শ মিশায় কেউ বা সমাজের কোন না কোন সমস্যাকে উপলক্ষ করে। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী ভাল উদ্দেশ্য গঠিত এই সব মন্দ বাহিনীর পরিণতি শেষ পর্যন্ত যুগে যুগে দেশে দেশে কি হয়েছে। বেশী দুর যেতে হবে না, চারু মজুমদারের নকশাল, বাংলা ভাইয়ের জেএমবি, জয়নাল হাজারীর ক্লাস কমিটি এসব তাদেরই উদাহরণ। নিজহাতে একশনে নামা বা ন্যায় বিচারের বুলি কপচিয়ে এসব বাহিনী গড়ে উঠে তারপর নিজেরা একএকটা সন্ত্রাসী গ্রুপের জন্ম দেয়। এরা নিজেরাই সেই সব সন্ত্রাস করতে শুরু করে।
আমরা জানি জংগী সংগঠনের এরকম বাহিনী থাকে। যারা রাতের আঁধারে লাঠিসোঁটা নিয়ে শারীরিক কসরৎ করে প্রশিক্ষন নেয়। ফিফা মহাশয় (ও মনে হচ্ছে সামুও) এরকম একটা জংগী বাহিনী গঠন করতে যাচ্ছেন। সেরকম ক্ষেত্রে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই জংগী বাহিনীদের বিরুদ্ধে তৎপর হতে পারে।
সাধারণ ব্লগারদের প্রতি আবেদন আপনারা অাইন বিরুদ্ধ এরকম বিশেষ বাহিনীতে যোগ দিবেন না। ব্লগার হিসাবে আপনাদের কাজ শুধু সচেতনতা বৃদ্ধিমুলক কাজ করা, আর কোন ঘটনা ঘটলে বড়জোর সাক্ষী, সাবুদ ও প্রমাণ সংগ্রহ পর্যন্ত। ফিফার ঠেঙারে বাহিনীতে যোগ দিয়ে ফৌজদারী অপরাধ করা নয়।
পুলিশ বা সামরিক বা আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আবেদন আপনারা যে সব সরকারী বাহিনীর অংশ সেসব বাহিনীর পরিসরের ভিতরেই ন্যায় নীতি চর্চা করুন, সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করুন। অাইন বহির্ভুত ভাবে কোন বিশেষ সন্ত্রাসী বাহিনীতে যোগ দিবেন না।