মিলান কুন্ডেরা : সাক্ষাৎকার যখন ছাপা হয় তখন এর অনেক কথাই আর সাক্ষাৎকার দাতার থাকে না। এটার ভয়াবহতা তখনই উপলব্ধি করা যায় যখন দেখবে তোমার না বলা কথা লোকে উদ্ধৃত করছে। এও দেখবে আলোচোকেরা তোমার না বলা কথা ধরেই তোমার লেখাগুলো কে বিশ্লেষণ করছে। ভুল কথাগুলোই শেষ-মেষ প্রতিষ্ঠা পেতে শুরু করে। এমন সব ভ্রান্তি তৈরি করবে যা তুমি কল্পনাও করোনি। আমাকে রীতিমত ধ্বংস করা যাবে কথাগুলো দিয়ে। এখন আমার কাছে একটা বিষয় বেশ পরিস্কার তা হলো কোন লেখক যদি সাংবাদিকের কাছে কিছু বলে তবে তা আর তার কথা থাকে না। সে কথা অবশ্যয়ই অগ্রহনযোগ্য। খুব ভেবে চিন্তে আমি এর একটা সহজ সমাধান খুঁজে বেরে করেছি। এই ধরো তুমি আমি এক সাথে বসে আছি, আমাদের আগ্রহ আছে এমন নানা বিষয়ে আমরা কথা বলতে পারি। আর এই আলোচনার ভেতর যদি তোমার কোন প্রশ্ন এসে যায়, তবে তুমি তা আমাকে লিখিত ভাবে দিবে। আমি তার লিখিত উল্টর দেব। তারপর এর একটা কপিরাইট হবে। এভাবে যদি বিষয়গুলো ঘটে তবে আর কোন সমস্যা থাকে না।
লুইস ওপেনহেইম : এই পদ্ধতিটা আমার কাছে অনেক বেশী যৌক্তিক মনে হয়। তবে এক্ষেত্রে মনে হয় কপিরাইটের দরকার নেই। সেন্টাল ইউরোপ নিয়ে আপনি বিস্তর আলোচনা করেছেন। আপনার সমস্ত উপন্যাসের পটভুমি যুগোস্লাভিয়া, এমনকি আপনার The Art Of The Novel এও সেন্টাল ইউরোপ খুব গুরত্বপূর্ণ। কিছু মনে যদি না করনে তবে সেন্টাল ইউরোপ পদটা কি রিপেজন্ট করে তা একটু ব্যাখ্যা করবেন কি? আর এটা পরিমাপ করার মাপকাঠি সম্পর্কেও কিছু বলুন।
মিলান কুন্ডেরা: ব্যাপারটাকে আমি খুব সহজ ভাবে দেখি। ঔপন্যাসের ক্ষেত্রে আমরা খুব সীমাবদ্ধ ছিলাম। মাত্র চারজন মহান উপন্যাসিক : কাফকা, ব্রখ, মুসিলা আর গম্ব্রোভিক্স। সেন্টাল ইউরোপের এই মহান লেখকদের কে আমি 'Pleiad' * বলি। প্রুস্তের পূর্বে আমি কোন উল্লেখযোগ্য ঔপন্যাসিক খুঁজে পাই না। এদের না বুঝলে আধুনিক উপন্যাসের ধারাকে যথার্থ ভাবে বোঝা যাবে না। সংক্ষেপে বলা যায় এরা হলো আধুনিকতাবাদী। এদের সম্ভন্ধে বলা যায় তারা একটা নতুন ফর্মে নিজেদের উন্মোচিত করতে সচেষ্ট ছিলেন। একই সাথে তাদের ভেতর নান্দনিক আইডোলজি অভাব ছিলো ( প্রগতি বিশ্বাস, বিপ্লব, এমন অনেক কিছু )। তবে শিল্প ইতিহাস আর উপন্যাস কেন্দ্রিক একটা ভিন্নতর দৃষ্টি তাদের ছিলো। কোন মৌলিক পরিবর্তনের প্রচেষ্ট তাদের ছিলো না। উপন্যাসের সাধারণ সম্ভাবনা গুলো ভেঙে ফেলতে তারা নারাজ। তারা মৌলিক ভাবে সনাতন ধারা গুলোর দীর্ঘায়ন ঘটিয়েছে।
অতীতের উপন্যাস ধারার সাথে তাদের একটা সেতুসন্ধন ছিলো। ঐতিহ্যকে তারা অস্বীকার করতে পারলো না। আঠারো শতকের উপন্যাস নিয়ে তারা বেশ মুগ্ধ ছিলো। এই সময়টাকে আমি বলি উপন্যাস ইতিহাসের ‘মধ্যবিরতি’। এই সময় আর এই কাল-সেবকেরা ধুলোয় মিশে গেছে, হারিয়ে গেছে। ‘মধ্যবিরতি’র বিশ্বাসঘাতকতায় মৌলিক উপন্যাস চরিত্র তখন ঠিক দেখা যায়নি। আমি যাকে বলি ‘উপন্যাস-ধ্যান’ -- তাকেই ধ্বংস করা হয়েছে এই সময়ে। ‘উপন্যাস-ধ্যান’ এই শব্দটিকে ভুল বুঝো না। তথাকথিত দর্শন নির্ভর উপন্যাসের কথা আমি বলছি না। আমি বোঝাতে চাচ্ছি উপন্যাসের দর্শন, উপন্যাস ধারণার নির্মাণকেই আমি বোঝাতে চাচ্ছি। সার্ত্রে ভেতর এই গুন ছিলো। ক্যামুর ভেতর আরও বেশি। যেমন 'La Peste'। বিশ্লেষণাতœক এই জাতীয় উপন্যাস কাঠামো আমার বেশী প্রিয়। মুসিল আর ব্রখ দু’জনে পুরোপুরি আলাদা। তাদের ভেতর হয়তো দার্শনিক জরিপ কার্য নেই। তবে দেখবে, মানুষের অস্তিত্ত্ব সংকট যার উত্তর মেটাফিজিক্স র্চ্চাকারী দর্শনের বই গুলোতে নেই, তার কিছু সহজ উত্তর তুমি তাদের উপন্যাসে পেয়ে যাবে। এই সমস্যাকে কিভাবে এঁটে ধরতে হয় সে সম্ভন্ধে কোন ধারণাই দর্শন দিতে পারে না। এক মাত্র তাদের উপন্যাসে তুমি এর সমাধান পাবে। এটা বলা যায় যে, বিশেষত ব্রখ আর মুসিল উপন্যাসের ভেতর প্রেরণ করেছিলো সর্বোচ্চ কাব্য শক্তি আর তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ যা ধারণ করেছিলো সংস্কৃতির সমগ্রতাকে।
এই লেখকেরা আমেরিকায় খুব বেশী পরিচিত নয় এ কথাটাকে আমার বুদ্ধিবিত্তিক অপপ্রচার বলে মনে হয়। আমেরিকার উপন্যাসের কোন একটি বিশেষ ঐতিহ্যকে যদি হিসাবে আনা হয় তবে তা একটা ভুল বোঝাবুঝির সুত্রপাত করবে। যে কেউ খুব সহজে একথা বুঝতে পারবে। প্রথম কথা হলো, আমেরিকার উপন্যাস ইতিহাসে আমাদের মত কোন ‘মধ্যবিরতি’ নেই। আমাদের এই ‘মধ্যবিরতি’র ইতিহাসের ভেতর দিয়ে ওদের উপন্যাস বেড়ে ওঠেনি। আর দ্বিতীয় কথা হলো, সেই সময় সেন্টাল ইউরোপ তার মাস্টারপিস গুলো লিখে চলেছে। আমেরিকার উপন্যাসে'Pleiad' এর অবির্ভাব হয় হেমিংওয়ে, ফকনার আর ডস পাসোস এদের আগমনের ভেতর দিয়ে। আর তাদের সুদূর প্রসারী প্রভাব সারা পৃথিবীই অনুভব করেছিলো। তবে তাদের নান্দনিকতা ছিলো মুসিলের ঠিক উল্টো। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, লেখকের চিন্তাশীল কোন বক্তব্যকে যদি উপন্যাসের মূল ঘটনার সাথে বুনে দেওয়া যায়, তবে তাকে জোর করে ঢোকানো বস্তু হিসাবেই ধরে নেওয়া হয় আমেরিকায়। আমার মনে আছে,'The New Yorker' এ আমার ' Unbearable Lightness Of Being' এর প্রথম তিন পরিচ্ছেদ ছাপা হয়েছিলো। কিন্তু নিৎসের চিরন্তন পুনঃআবির্ভাব অংশটুকু তারা বাদ দিয়েছিলো। নিৎসের চিরন্তন পুনঃআবির্ভাব সর্ম্পকে আমি যা লিখেছিলাম তা কখনোই কোন দার্শনিক ডিসর্কোস ছিলো না। আজ অবধি আমার তাই মনে হয়। এটা ছিলো একটা প্যারাডক্স যা কোন কোন সংলাপ থেকে অনেক বেশী উপন্যাস সন্মত।
লুইস ওপেনহেইম : ঐ লেখকদের কোন প্রভাব কি আপনার উপর আছে?
মিলান কুন্ডেরা : আমাকে প্রভাবিত করেছিলো? না। তা ঠিক নয়। আমার আর তাদের মাথার উপর একই নন্দনতাত্ত্বিক আকাশ ছিলো। তবে মাথার উপর পুস্ত কিংবা জয়েসের আকাশ ছিলো না। এমনকি হেমিংওয়েও নয়। তবে তার প্রতি আমার অসীম শ্রদ্ধা আছে। এরা হয়তো একে অন্যের লেখা পছন্দ করে না। ব্রখ, মুসিলের লেখার তীব্র সমালোচনা করতেন। মুসিল, ব্রখকে ঘৃণা করতো। গ্যাম্ব্রোভিক্স কাফ্কাকে অপছন্দ করতো। আর সম্ভবত মুসিল ও ব্রখ , কেউই গ্যাম্ব্রোভিক্সের নামই শোনেনি। আর তারা যদি জানতো তাদেরকে আমি একই শ্রেণীভুক্ত করেছি তবে তারা আমার উপর বিরক্ত হতো। হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে এই মহারথীরা আকাশের মত সুবিশাল বিস্তৃতি নিয়ে আমার মাথার উপর বসে আছে।
লুইস ওপেনহেইম : ‘ স্লাভিক সংস্কৃতি’র যে ‘স্লাভিক দুনিয়া’ আর আপনার সেন্টাল ইউরোপ ধারণা -- এই দুই ধারার মধ্যে আপনি কিভাবে সর্ম্পক স্থাপন করেন?
মিলান কুন্ডেরা : অবশ্যই সর্ম্পক আছে। স্লাভিক ভাষার সাথে এর ভাষাতাত্ত্বিক ঐক্যতান রয়েছে। তবে সাংস্কৃতিক মেল বন্ধন নেই। যদি আমার কোন উপন্যাসের পটভূমি হয় স্লাভিক, তবে আমি সেটা বেশ গুছিয়ে উঠতে পারি না। সেটাকে কৃত্রিম, মেকী বলে মনে হয়। আমার উপন্যাস সেন্টাল ইউরোপিয়ান কনটেক্সে ( ভাষাতাত্ত্বিক ভাবে একে বলা হয় জার্মনো-স্লাভো-হাঙ্গেরীয়ান ) বিচার করলে তা হবে সবথেকে যৌক্তিক। যদি তুমি উপন্যাসের অর্থময়তা আর মূল্যমানকে আমার কনটেক্সের সাথে যুক্ত করো তবে কিন্তু হবে না।
লুইস ওপেনহেইম : আপনি ইউরোপীয় উপন্যাস পছন্দ করেন। আপনি কি মনে করেন আমেরিকান উপন্যাসের উজ্জ্বল্য বেশ কম?
মিলান কুন্ডেরা : তুমি যথার্থই বলেছেন। এটার উপর আমি এতটাই বিরক্ত যে ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। যদি আমি ‘পশ্চিমা উপন্যাসে’র কথা বলি তবে বুঝবে তাতে রাশিয়ান উপন্যাসের কোন স্থান নেই। আর এ কথা বলি আর নাই বলি, যদি ‘বিশ্ব উপন্যাস’এর কথা আসে তবে আমি সেই সমস্ত উপন্যাসকেই বুঝি যেগুলো ইউরোপীয় উপন্যাস ধারার সাথে সম্পর্কযুক্ত। একারণে ‘ ইউরোপীয় উপন্যাস’ বিশেষণটাকে আমি হুজএ্যারলিয়ান** দৃষ্টিকোন থেকে দেখি। এটা কোন সুনির্দিষ্ট ভৌগলিক সীমাকে নির্দেশ করে না; এটা একটা আতিœক ব্যাপার। আমেরিকা বা ইসরায়েল সবাই এই আতœার অংশ হতে পারে। ‘ইউরোপীয় উপন্যাস’ বলতে আমি যে ইতিহাস বুঝি তাতে সার্ভেন্তেস থেকে ফকনার কেউই বাদ পরে না।
লুইস ওপেনহেইম : আমার মনে হয় উপন্যাস ইতিহাসের গুরত্বপূর্ণ ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও আপনি প্রতারণা করছেন। উপন্যাসের উন্নয়নের ইতিহাসের সাথে আপনি প্রতারণা করছেন। কোথাও কোন নারী নেই। যদি আমি ভুল বলি তাহলে আমাকে সংশোধন করে দিবেন। আপনার প্রবন্ধ বা সাক্ষাৎকার কোথাও কোন নারী লেখকের নাম উল্লেখ করেননি। এর কারণ ব্যাখ্যা করবেন কি?
মিলান কুন্ডেরা : উপন্যাসের একটা লিঙ্গ আছে বটে তবে সেটা লেখকের লিঙ্গ নয়। সব মহান প্রকৃত উপন্যাস বাইসেক্সুয়াল। এটা পৃথিবীর নর ও নারী উভয়কেই রূপকেই উন্মোচিত করে। লেখকের লিঙ্গ নিয়ে খুব বৈষয়িক মানুষের মত কথা বলা যায় বটে, তবে এটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
লুইস ওপেনহেইম : আপনার প্রতিটা উপন্যাসে চেক অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। ফ্রান্সেতো আপনি বহুদিন হলো আছেন। এর সামাজিক-ঐতিহ্য নিয়ে কি কিছু লেখা যেতে পারে না?
ডমলান কুন্ডেরা : বেশ। আমার একটাই উত্তর জানা আছে : ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত আমি চোকেস্লাভিয়ায় ছিলাম। আমার প্রকৃত লেখক কেরিয়ার গড়ে উঠেছিলো মূলত ৩০ বছর বয়সে। আমার জীবনের সৃজনশীলতার বড় একটা অংশ হয়তো ফ্রান্সে কেটেছে তবে আমি এখানে খুব কান্তবোধ করি।
লুইস ওপেনহেইম : আপনার The Art Of The Novel সামগ্রিক ভাবে একটা আত্মবিবৃতি। আমার মনে হয়, খুব বেশী মনে হয়, সর্বজনীন যে নান্দনিক দৃষ্টিবোধ তার উপর আপনি আপনার ব্যক্তিগত অর্ন্তদৃষ্টি জোর করে চাপিয়ে দিয়েছেন। উপন্যাস সম্পর্কে আপনার একান্ত ব্যক্তিগত তত্ত্ব বলে মনে হয় The Art Of The Novel।
মিলান কুন্ডেরা : ওটা কোন তত্ত্ব নয়। এটা একজন লেখকের স্বীকারোক্তি। ব্যক্তিগত ভাবে আমি একজন শিল্পীর কাজ শুনতে ভালোবাসি। অলিভার মিশ্যায়ানের 'Technica De Mon Language Musical’, অ্যাডর্নের ‘Hilosophy Of Modern Music’ থেকে শতগুন ভালো। সম্ভবত আমি একটা ছোট্ট ভুল করেছিলাম। এটা এর সাধারণত্ব নিয়ে যেমন হতে পারতো ঠিক তেমন না হয়ে এর ভেতর তত্ত্ব আলোচনার গন্ধ পাওয়া যায়। অ্যারন অ্যাশার, আমার আমেরিকান প্রকাশক, বইটা নাম রাখতে বলেছিলো এর শেষের একটা অংশ থেকে : 'Man Thinks, God Loughs'। আজ আমার মনে হয় ঐ নামটা রাখলেই ভালো হতো। The Art Of The Novel এই নামটা রেখেছিলাম একান্ত ব্যক্তিগত অনুভূতির জায়গা থেকে। আমার বয়স যখন ২৭ কী ২৮, তখন চেক ঔপন্যাসিক ভভ্লাডিস্লাভ ভেনকুরার (যাকে আমি খুব গুরত্বপূর্ণ মনে করি) উপর একটা বই লিখেছিলাম। বইটার নাম ছিলোThe Art Of The Novel । বইটা আমার পছন্দের তবে অপরিপক্ক। সে কারণে আর পুনঃমুদ্রনণ করা হয়নি। তবে অতীতের স্মৃতিটা রয়ে গেছে।
লুইস ওপেনহেইম : সাহিত্য, এর সাথে পৃথিবীর সম্পর্ক, সংস্কৃতি, মানব জাতি এগুলো সম্পর্কে আপনার চিন্তার কি কোন মৌলিক পরির্বতন ঘটেছে? অথবা চিন্ত কাঠামোর কোন বিবর্তন? এমন কোন মুহূর্তের কথা কি স্মরণ করতে পারেন যা আপনার নান্দনিক বোধের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটিয়েছে?
মিলান কুন্ডেরা : ৩০ বছর পূর্ণ হওয়ার আগ পর্যন্ত আমি অনেক কিছু লিখেছি। সংগীত সম্পর্কে লিখেছি, এছাড়া কবিতাই শুধু নয় নাটকও লিখেছি। আমার কন্ঠ, শৈলী আর আমার দিকে তাকাও -- দেখবে কত ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে আমি কাজ করেছি। আমার প্রথম গল্প 'Laughable Love' (১৯৫৪ সালে রচিত) লেখার সময় আমি ‘আমার আমি’ কে খুঁজে পেলাম। আমি গদ্যকার, ঔপন্যাসিক হয়ে গেলাম। এর বেশী আমি কিছু নই। এরপর থেকে আমার নান্দনিক বোধের উল্লেখযোগ্য কোন পরিবর্তন ঘটেনি। ঘটলে হয়তো খুব ধীরে ধীরে ঘটেছে। তোমার কথায় বললে খুব এক রৈখিক ভাবে ঘটেছে।
*Pleiadleiades শব্দ থেকে আগত। খৃষ্টপূর্ব ২৮০ এ আলেকজ্যান্ডারিয়ার সাত ট্র্যাজিক কবিদের চষবরধফ বলা হতো। তবে ফ্রান্সে ১৫৫৩ সালে একদল অত্যুৎসাহী কবিদেরকেও Pleiad নামে নির্দেশ হয়। তারা ল্যাতিন প্রভাব থেকে বেরিয়ে ফরাসী ভাষার নিজস্ব প্রকৃত লেখা লিখতে চেয়েছিলো। আধুনিক ফরাসী ভাষায় সাহিত্য রচনার প্রচেষ্টা তারা প্রথম শুরু করেছিলো। তার মূলত ধ্রুপদী ও ল্যাতিন ধারায় কাজ করেছিলো। বিশেষত সনেটের ব্যাপক উন্নয়ন হয় তাদের হাতে।
**হুজএ্যারলিয়ান : জার্মান দার্শনিক, ফোনেমেনোলজির জনক এডমুন্ড গুস্তাভ অ্যালবের্খ্ট হুজএ্যারল ( ১৮৫৬-১৯৩৮)। বিজ্ঞান এবং দর্শন বোঝার জন্য তাত্ত্বিক দিকগুলোকে গৌন করে তিনি নিরপেক্ষ অভিজ্ঞতার উপর জোর দেন। হাইডেগার, জ্যাক দেরিদা, মিলান কুন্ডেরা এমন অনেক লেখক, দার্শনিকের উপর তাঁর প্রভাব রয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১১:০৮