বিয়ের ১.৫ বছরে একই বৌ নিয়ে এই আমার ৩য় বারের মত কক্সবাজার যাওয়া!
কক্সবাজার নেমে হোটেল দেখেই মেজাজ চরমে উঠল। হোটেল রুম খারাপ না। কিন্তু সার্ভিস বলতে কিছু নাই। আর আমি কিছুটা বায়ুগ্রস্ত। এখন এই রাগ নামানোর জন্য একজনকে দরকার। থাকার মধ্যে তো একজনই ছিল।
দুপুরের কড়া রোদে কিছুক্ষন বীচে হাটাহাটি করলাম। টুকটাক কেনাকাটা আর ঘুরাঘুরি করেই দিন কাটালাম। কক্সবাজার গেলেই যে সারাদিন ঘুর ঘুর করতে হবে এমন কিছু আমি মনে করি না। কিন্তু পারিবারিক আগ্রহে আমাকে বীচেই ঘুরাঘুরি করতে হয়।
সন্ধ্যায় চট্টগাম থেকে আমার ছোট বোন আর ওর হাজব্যান্ড ফারুক কক্সবাজার আসল। ছোট বোনের আগ্রহে 'মারমেইড ক্যাফে'তে গেলাম। আগে একবার শাহানা এই ক্যাফে নিয়ে পোস্ট দিয়েছিল। 'মারমেইড ক্যাফে' দুইটা ব্রাঞ্চ আছে। একটা কাবাব আইটেমের আরেকটা সীফুড। এটা জেনেই সাহস করে সীফুডে গেলাম। গিয়ে যে দাম দেখলাম তাতে আর খাওয়া হয়ে উঠল না। লজ্জা এড়ানোর জন্য কাবাব আছে কিনা জিজ্ঞেস করলাম। ওরা অন্য ব্রাঞ্চটা দেখাল। আমরাও চট করে উঠে অন্যটায় গেলাম। ঐ ক্যাফেতে মেনু আলাদা কিন্তু রেট সেইম। তাই না খেয়েই বিদায় নিলাম।
রাতে পরিবারের সাথে হল তুমুল কাইজা। পরদিন রাতে ঢাকায় ফিরার টিকেট করা ছিল। চাইলাম সকালেই ফিরতে কিন্তু টিকেট পেলাম না। পরদিন দুপুরে খেতে গেলাম হোটেল ঝাউবনে। সেখানে একটি বিজ্ঞাপন দেখে মন উদাস হল। শুক্রবার হোটেল রুম ছেড়ে বীচে ঘুরতে গেলাম। তখন কক্সবাজারের অনেক টুরিস্ট হোটেল ছাড়ছিল। বীচের কাছে গিয়ে হোটেল মিডিয়াতে ট্রাই করে একটা রুম পাওয়া গেল। রুমে ঢুকেই মন ভাল হয়ে গেল। বৌর সাথে ঝগড়া মিটিয়ে ফেললাম। শুরু হল নতুন উদ্যমে ঘুরা।
পরের পোস্টে ইনশাল্লাহ একটি দ্বীপে যাওয়ার গল্প বলব।
(আমি আজকে একটু টায়ার্ড। মনে হচ্ছে লেখাতেও তার প্রভাব পড়েছে।)