এ্যানী: তোর সাথে পরিচয় সেই ওয়ান থেকেই। কত-শত ঝগড়াই না করতাম। আমি অনেক রাগী, তা সত্বেও তুই জেদী ও একরোখা হওয়ায় বেশীরভাগ সময় তোর কাছেই আমাকে হার মানতে হয় । আমি রাগী বলে ক্লাসে আমার একটা বদনাম ছিল। কিন্তু আলিমে ওঠার পর নাকি আমার অনেক চেন্জ হয়েছে। "যার সাথে যার মহব্বত তার সাথে তার নাকি কেয়ামত"। এজন্যই মনে হয় তোর সাথে ঝগড়া বেশী লাগেও মিল টা বেশী। বার বছর এক সাথে ছিলাম। এবং বাকী সময়টাও এক সাথে থাকতে চাইরে দোস্ত। মনেপ্রানে চাই দু'জনেই ঢাবি তে চান্স পাব।
যে ভাবে চেয়েছিলাম সেভাবে লিখতে পারলাম না।
ভাল থাকিস, সব সময়, অননেএএএক ভাল।
==============
স্বর্না: দশ বছর একসাথে পড়েছি। দাখিলের টেস্টের পর গোপাল গন্জে চলে গিয়েছিস। পরীক্ষার সময় এসে পরীক্ষা দিয়ে সেই যে ঢাকা ছেড়েছিস...। মাঝখানে যদিও দুই বার ঢাকয় এসেছিস সেটা সাময়িক। ফোন করলেই বলিস, " তোরা ত আমাকে ভূলে গেছিস, অনেক মিস করি তোদের"। আমিও তোকে অনেক মিস করি রে দোস্ত.....
অনেক বাধা বিপত্তির মাঝেই নতুন জীবনে প্রবেশ করেছিস। সারাজীবন তোদের ভালবাসাটা যেন অটুট থাকে। সুখে থাকিস। ভাল থাকিস দোস্ত। অনেক অনেক শুভকামনা রইল তোদের জন্য।
================
নাদিরা: এইট থেকে তোর সাথে পরিচয় হলেও অনেক ভাল দোস্তি হয়ে গিয়েছিল। তবে বিয়ের পর যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়ে যায় তোর ক্ষেত্রও তার ব্যাতিক্রম হয় নি। বিয়ের আগেও খুব একটা আমাদের বাসায় আশিস নাই । আন্টি বলেছিলেন মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি, এখন ঠিক ই তোমাদের বাসায় যাবে। কিন্তু না। তুই কোনোদিন ও আসিস নাই। এটা নিয়ে আমি তোর ওপর অনেক ক্ষুব্ধ। অনেকবার প্রতিজ্ঞা করেছি তোদের বাসায় যাব না কিন্তু এ্যানীর রিকোয়েস্টে গিয়েছি। তবে পরীক্ষার পর অনেক রিকোয়েস্ট করেছিল। যাইনি প্রচন্ড রাগে। কিছুদিন পর তোদের ঘরে নতুন মেহমান আসবে। তখন হয়ত আর রাগ করে থাকতে পারবনা। তখন ঠিকই যাব। তবে তার আগে তোকে আর দেখতে না। নতুন মেহমানকে দেখতে যাব।
ভাল থাকিস। অনেক অননেএএএক শুভ কামনা রইল তোদের জন্য।
===============
সুমাইয়া: এক সময় খুব ভাল সম্পর্ক ছিল তোর সাথে। কিন্তু পরবর্তীতে কিছু কারনে দূরে সরে গিয়েছিস। তোর কাছে হয়ত ব্যাপারটা স্বাভাবিক, তবে আমি আর এ্যানী এটাকে স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারিনি। যাই হোক তোদের নতুন জীবন সুখের হোক। অনেক শুভকামনা রইল তোদের জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৩৮