বণিকাবৃত্তি এবং বিল্পবের জন্য আমার মায়া কান্না!
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
ছবিটি তার ফেস বুক থেকে নেওয়া ।
এই কদিনে যে একবছর চলে গেছে সেটা আজকে আমার বন্ধুর ফেসবুক স্টেটাস দেখে বুঝতে পারলাম। সত্যিই সময় কত দ্রুত যায়। তার মটরসাইকেলে করে অলমোস্ট প্রতিদিন মিরপুর যাওয়া হতো। এমনই একটা দিনে আমার আরোহী বন্ধু বলল- ভাই আজকে একটু মহাখালি হয়ে যেতে হবে, আমার এক বন্ধু হাসপাতালে। স্বার্থপর আমি বললাম - রাতে বাড়ি ফিরবে তো? হু, ফিরবো। তার এমন হু খুব বেশি শোনা হয়নি আমার। আমি কথা না বাড়িয়ে বাইকের পিছনে বসলাম।
মহাখালির হাসপাতালের গেটে পৌছতে যে সময়টুকু তাতেই যেনে গেলাম তার বন্ধু বিল্পব মহাখালি ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় মোটর সাইকেল এস্কিডেন্ট করেছে। এবং অবস্থা গুরুতর।
বাইক থেকে নামার পর প্রায়ই সবাই চেনা মুখ। ফোটো সাংবাদিক বন্ধুরা ভীর করে আছে। এ কথা সেকথায় যেটা পরিস্খার - অবস্থা ভাল না।
হু অবস্থা সত্যিই ভাল ছিল না। ফোটো সাংবাদিক বিল্পব মারা গেলেন। না আমার বন্ধু ছিলেন না কোন দিন। চেহারায় চেনা হলেও সখ্যতাও ছিল না। কিন্তু আমার অনেক অনেক প্রিয় মানুষরা একই পেশায় জীবিকা চালায়। তাদের সাথে নিছক আড্ডার মাধ্যমে অনেক কিছুই জানতে পারা যেত। আবার এমই এক বন্ধুর সাথে আমি রোজ বাড়ি ফিরি।
সে সময় বণিকবার্তা বলে যে পত্রিকাটি বিশাল বিশাল বিলবোর্ড ঢাকা শহরে সাটিয়ে ছিল সেই পত্রিকাতেই বিল্পব কাজ করতেন। তবে মজার বিষয় ছিল - মুমুর্শ বিল্পব তখন প্রডাক্ট হয়ে গিয়েছিলেন। তার জন্য, তার বন্ধু মহলের জন্য তার নামের সাথে তার কর্মস্থলের নামটিও এসেছিল প্রায় সব মিডিয়াতে। এতে বিল্পবের লাভ না হয়েও আতুর ঘর থেকে বের হওয়া শিশুটির বেশ নামডাক হয়েছিল যা গাটের পয়সা খরচ করে বিলবোর্ডেও হয়েছিল কিনা জানি না।
গত বছর এমন একটা দিনে বিল্পব মারা যান, আর সেই সদ্য জন্ম নেয়া পত্রিকাটিও একটি বছর পার করে আসে। তবে মজার ব্যপার হলো বিল্পবের নামে কোন কলাম হলো না, আমার মতো করে মায়া কান্নাও কাদলোনা কেউ পত্রিকার পাতায়। তবে তার বন্ধুরা মনে হয়না চিšিত তবে কষ্টটা যে আছে সেটা বোঝা যায়।
সবাই ভুলে যায় বা যাবে কিন্তু একটা প্রতিষ্টানের কিছুটা নৈকিতা থাকা দরকার। কেননা পরিচলনা পষর্দের মানুষদের যেমন দাম থাকে, তাদের কর্মচারিদেও দাম থাকা দরকার।
বন্ধুরা মিলে বিল্পবের জন্য একটা ৩ কলাম ৪ ইঞ্চির একটা এড দিলে হয়তো না ভাল ছাড় পাওয়া যেত। তবে হু তাতে তাদের বণিকাবৃত্তি আরও বাড়তো।
সরি আমার মায়া কান্নার জন্য। তবে আমার ফোটো সাংবাদিক বন্ধুদের জন্যও সরি - বণিকাবৃত্ত সমাজে তোমরা বণিক না হলেও বণিকা!
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।
সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর
বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছবির গল্প, গল্পের ছবি
সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!
কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন
অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?
এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন