somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ এবং কিছু অপ্রিয় কথা

১২ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


প্রথম স্যাটেলাইট মহাশুণ্যে যায় ১৯৫৭ সালে তৎকালীন সোভিয়েট ইউনিয়ন বর্তমান রাশিয়ান ফেডারেশনের হাত ধরে যার নাম ছিলো স্পুটনিক। আর আমরা আমাদের মালিকানায় প্রথম স্যাটেলাইট মহাশূণ্যে পাঠাতে পারলাম ২০১৮ সালের ১১ই মে দিবাগত রাত ২ টা ১৪ মিনিটে, যার নাম ব্ঙ্গবন্ধু-১। যদিও আমাদের নিজস্ব প্রযুক্তিতে নয় তবে স্টেপতো ফেললাম। তবে হ্যাঁ, আমাদের সন্তানেরা অলরেডি আন্তর্জাতিক মহাশুণ্য সংস্থায় কাজ করছে। আমাদের দরকার ছিলো আর্থিক সক্ষমতা। সেটা যেহেতু অর্জনের পথে, তাই তার হাত ধরেই আমাদের সন্তানেরাও স্বল্পসময়ে নিজেরাই তাও পারবে। মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। স্বপ্নটাতো আগে দেখতে হবে।

ধরেন আমরা এতদিন পাবলিক ট্রান্সপোর্টে চলতাম। তারমানে পাবলিক স্যাটেলাইট ইউজ করতাম টেলিসম্প্রচার ও ইন্টারন্টে ইউজে। যেহেতু আর্থিক সক্ষমতা হয়েছে তাই সামাজিক স্ট্যাটাস ও কস্ট কমানোর জন্য এবং নিজের ইচ্ছামত চলার ইচ্ছা থেকেই নিজস্ব স্যাটেলাইট পাঠালাম। এতে কি এমন মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে গেলো বুঝলাম না। আমি ফাইন্যান্স সেক্টরের মানুষ এবং ভালকরেই জানি বছরে আমাদের কিপরিমান অর্থ অনর্থে রুপান্তরিত হয়, সেখানে এই এমাউন্ট বড় কিছু নয়। ভোটের মাঠে শুধু চেয়ারম্যান-মেম্বার, রাজনৈতিক রথী-মহারথীরা এর চাইতেও বড় অর্থ নিয়মিতই আত্মসাৎ করে। পারফেক্টলি হ্যান্ডেল করতে পারলে এই স্যাটেলাইটের বিনিয়োগ উঠে এসে লাভজনকও হবার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। কিন্তু বেশীবুদ্ধিমানরা চাচ্ছেন এটা যেনো ব্যর্থ প্রজেক্ট হয়। খুবই দু:খজনক। পাকিমনারা এটা চায়, সেটা অামি জানি তাই তাদেরকে উপেক্ষা করি। কিন্তু এর বাইরেও একটা শ্রেণী কি কারনে এরকম করে আমি জানি না।

একটা কান্ট্রির যখনই আর্থিক উন্নয়ন ঘটতে থাকে তখন কিছু অপ্রয়োজনীয় ও বাহুল্য খরচ হয়, এবং এটা অর্থের সমাগমের কারনেই হয়। এটা বাইপ্রোডাক্ট। কিন্তু এই অর্থের অপচয়(?) আর্থিক উন্নতিরই ইন্ডিকেটর। এটা ঠিক আর্থিক উন্নয়ন যেনো সমাজের সর্বস্তরে কমবেশী সমান হয় তা ঠিক রাখার চেষ্টা রাষ্ট্রকে করতে হবে।

হুমায়ুন আজাদ বলেছিলেন, জনপ্রিয়তা হচ্ছে নেমে যাবার সিঁড়ি। ফেসবুকে বা ব্লগে অনেক সেলিব্রিটি(?) সেপথেই হাঁটছেন। বেকুবদের সাথে কখনো আমি তর্কে যাই না। কারন তাদের সাথে তর্কে গেলে তারা আমার লেভেলেতো যেতে সক্ষম হবেনা বরং তাদের চিন্তার দীনতা'র কারনে তাদের লেভেলে আমাকে নামিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করবে।

আরেকটা কথা, শিক্ষায় আমরা কাংখিত সফলতা পাইনি ঠিক, তবে একেবারে কিছুই হয়নি এটা যারা বলে তাদেকে মুর্খ বলতেও কষ্ট হয়। আমাদের আরো বিনিয়োগ দরকার শিক্ষায় ও স্বাস্থ্যতে। তাই বলে বাকী সব বন্ধ করে দিতে হবে যারা বলে তাদের চিন্তার দৈণতা আমাকে পীড়া দেয়। আমিরিকাকে বলা দরকার তোমার অনেক নাগরিক না খেয়ে ফুটপাথে থাকে, তুমি এসব স্পেস স্টেশন-টন বন্ধ করে দাও। চীনকে বলি তোমার মানবাধিকার কৈ মিয়া ? তুমি আগে গনতন্ত্র দাও তারপর বাকি সব করো। ইন্ডিয়াকে বলি, ঐ বাটা তোদের অর্ধেক লোক রাস্তায় হাগে। তাদেরকে টয়লেটে পাঠিয়ে তারপর সিলিকন সিটি বানাও। এই সমস্ত কথা তাদের কোন নাগরিক বলে কিনা তা আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে।

অনেক অসঙ্গতি ও অনিয়ম নিয়েও অন্তত বর্তমান স্পিডে চলতে পারলেও বাংলাদেশ নেক্সট ২০ বছরে অন্যউচ্চতায় পৌঁছাবে এটা বোঝার মত সক্ষমতা বাংলাদেশের ও বিশ্বের অনেকেরই আছে।

যারা এই স্যাটেলাইট নিয়ে টিটকিরী করছে, তারা তাদের এই টিটকিরীটাও ঐ স্যাটেলাইটের মাধ্যমেই করবে কিছুদিন পর, এই সত্যটা বোঝার সক্ষমতাও তাদের নাই। পুরোজাতি কাউন্টডাউন করেছে সফল উড্ডয়নের, আর একটা শ্রেণী কাউন্টডাউন করেছে উড্ডয়ন বিনষ্ট হবার জন্য। প্রথমদিন যখন উড্ডয়ন হলোনা, কি আনন্দ এই শিবিরে। পরেরদিন যখন সফল উড্ডয়ন হলো ওরা এখন বলে কি তা দেখার বাকী আছে।

পৃথিবীতে মনে হয় আমরাই একমাত্র জাতি যাদের একটা বড় অংশ নিজের অর্জনেও গর্ব করতে সক্ষম নয়। তাদের মস্তিস্ক এতটাই আনইউটিলাইজড। নিজের অর্জন নষ্ট হলেই তারা বেশী খুশি হয়। এই একই ঘটনা পদ্মা সেতু নির্মাণের সময় হয়েছে, চীনের কাছ থেকে সাবমেরিন কেনার সময় দেখা গেছে, ফ্রান্সের কাছ থেকে স্যাটেলাইট ক্রয়ের সময়ও দেখা গেলো। সমুদ্রসীমার বিরোধ মিমাংসার সময়ও এই বিষয়টি দৃষ্টিগোছর হয়েছে। বাঙ্গালী জাতির এই আজব অংশের জন্য অামার দুঃখ হয়।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:০৯
২৬টি মন্তব্য ২৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হালহকিকত

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

ছবি নেট ।

মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।

প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×