রাশিয়ার প্রত্যক্ষ সহায়তায় ইউক্রেন এর ডনবাস এলাকায় নতুন দুটো স্বাধীন দেশের (দোনস্ক এবং লুহানস্ক) উদ্ভব বিশ্বকে নতুন এক বাস্তবতায় উপনীত করেছে। এবিষয়ে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এর দীর্ঘ বক্তব্য টি একটু অনুধাবনেই বোঝা সম্ভব, নিকট ভবিষ্যতে ইউক্রেনসহ আরও অনেকেই প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের বাস্তবতায় ফিরে যাচ্ছে। তবে এই বাস্তবতা বিশ্বব্যাপী অনেক সংঘাত, রক্ত-মৃত্যু ও খাদ্যাভাব এর।
যতই হম্বিতম্বি করুক, আফগানিস্তান থেকে মার্কিনীসহ পশ্চিমাদের পশ্চাদপসরণ এর পর নতুন করে ইউক্রেন কে বাঁচাতে ওরা ফিরে আসবে না, এটা হলফ করে বলে দেয়া যায়।
মার্কিনযুক্তরাষ্ট্র কেন্দ্রিক বিশ্বব্যবস্থা চায়না-রাশিয়া দ্বারা ধীরে ধীরে রিপ্লেস হয়ে যাচ্ছে এটাই এখন দৃশ্যমান বাস্তবতা। আর চীনের চাওয়ার উপর ভিত্তি করে তাইওয়ানের ভবিষ্যতও অল্পসময়ে অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে যাবে।
গত কয়েক বছরে বিশ্বযে গনতন্ত্র উত্তর যুগে প্রবেশ করছিলো তা এই বাস্তবতায় আরও ক্লিয়ার হয়ে যাচ্ছে। আর এই বাস্তবতা অথরেটিয়ান যুগ। ইউরোপিয়ান কমিশন এর প্রধান উরসুলা ভন এর বক্তব্য নতুন বিশ্ব-বাস্তবতা বুঝতে সহায়ক হতে পারে। উনি কয়েকদিন আগে বলেন, বেইজিং ও মস্কো আইনের শাসনকে ‘সবচেয়ে ক্ষমতাধরের শাসন’ দিয়ে প্রতিস্থাপন করতে চায়।
গনতন্ত্র, মানবাধিকার অথবা ভালো-মন্দ ইস্যুতে পশ্চিম এর চোখে বিশ্বকে দেখা মনে হয় বন্ধ হতে চলছে। তবে ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার স্টেপগুলো বৃহৎ প্রতিবেশীর পাশের ছোট প্রতিবেশিদের জন্য ভয়ংকর উদাহরণ হয়ে রইলো।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:২২