আর মানু আমার কোবতে প্যারডি করে আমার লগে যুদ্ধ ঘোষনা করছে। মানু রেডি থাইকো প্যারোডি আইতেছে। আমি এখন বদনা ফেলে কলম হাতে।
-------------------------------------------------
সেই প্রথম যখন স্বপ্ন দেখতে শিখি
তখন থেকেই অনেক কৃপণ আমি,
বুভূক্ষের মত সজ্ঞয় করেছি স্বপ্ন
বিন্দু বিন্দু ভালবাসায়।
একটি প্রজাপতি কিনবো বলে।
কখনো শালিকে ঠোঁট থেকে
ভালবাসা করেছি চুরি, কখনো
হেমন্তের কুয়াশা ভেজা ঘাস থেকে
ভালবাসা তুলে নিয়েছি পরম মমতায়।
অনেক কৃপণ ছিলাম আমি।
তারপর একদিন তার পায়ে
দিয়েছিলাম তুলে অর্ঘ থালা,
যেটুকু ছিল মোর সজ্ঞয়
আমার চোখের জল মুছে।
সেদিনি নিঃশব হয়েছিলাম আমি।
এই পর্যন্ত পড়ে ডাইরিটা বন্ধ করে দিল পরী। চোখটা কেমন যেন ঝাপসা হয়ে আসে। এই ডাইরিটা তার কাছে একটা অভিশাপের মত মনে হয়, তবুও এটা আগলে আছে অনেকদিন হয়ে গেল। অথচ একদিন এই ডাইরিটার প্রতিটি পাতায় তার স্বপ্নের রংগুলো রঙধনু হয়ে খেলা করতো। ডাইরিটা নীলের। পরী প্রতিমুহূর্তে নিজের সাথে যুদ্ধ করে নিজেকে ফিরে পাবার, তবুও জীবনে কিছু ঘটনা থাকে, যত দিন যায় তার স্মৃতিটা তত আপন হতে থাকে, আবার কিছু ঘটনা থাকে, যা এক সময় অনেক কষ্টের কারন হলেও সেই স্মৃতি আর স্মৃতি থাকে না, হয়ে যায় ম্লান, অর্থহীন।
পরীর আজ নীলের কথা ভীষন মনে পড়ছে। নীল নামটা ছদ্দনাম, তবুও পরী ওকে নীল বলেই ডাকতো। ওর একান্ত আপন; যে নীলের মতই অনেক রং নিয়ে এসেছিল ওর জীবনে, আবার সেই রং নিয়ে চলে গেছে পৃথিবী ছেড়ে। পরীর প্রতি নীলের ভালবাসায় কোন খাদ ছিল না, তাই পরী আজও ওর লেখা কবিতা গুলো পরম মমতায় আঁকরে ধরে আছে। নীল এই কবিতাটি লেখার সময় বলেছিল, “আমি সুর তুলে দিলাম, আর তুমি এই গান সারাজীবন গাইবে, কি পারবে তো?’’ পরী খুব হেসেছিল সেদিন। আজ নীলকে খুব বলতে ইচ্ছে করে, তারবিহীন তানপুরায় ওর এই গান গাইতে যে খুব কষ্ট হয়, খুব কষ্ট।
তবুও কোন পরন্ত বিকেলে পরী নিজের অজান্তেই গুনগুন করে ওঠে...
আমার স্বপ্নটুকু কেড়ে নিয়ে
আজ স্বপ্নলোকে তুমি,
আমার চোখে তাইতো আজও
মেঘের বনভূমি।
আজও কোন বর্ষারাতে
যখন স্মৃতিরা ভর করে,
মেঘ গুলে বৃষ্টি হয়ে
আমার চোখে ঝরে।
যতটুকু দিয়ে গেছো
পরম অবহেলে,
অনেক যত্নে সেই টুকুই
নিয়েছি বুকে তুলে।
হঠাৎ কোথায় হারিয়ে গেলো
আমার অবুঝ সুখের আশা,
আকাশেই তাই ছড়িয়ে দিলাম
আকাশের মত ভালবাসা।
(আপনার কইলে আরোও চলবে না হলে এই পর্যন্তই শেষ)