somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফুটবলের নিমিত্তে বেঁচে থাকা,নাকি বেঁচে থাকার নিমিত্তে ফুটবল!

২৫ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাথার ঘাম অফিসের মেঝেতে ফেলে বাবা টাকা আয় করেন।সেই টাকা দিয়ে বাদামতলী থেকে চাল, কারওয়ানবাজার থেকে মাছ,কাপ্তানবাজার থেকে সবজি কিনে আনা হয়।তারপর সকাল থেকে রাত অবধি বিনাবেতনের সবচেয়ে কঠিন চাকুরীটা করেন মা।তৈরি হয় আপনার-আমার পেটপূজার প্রসাদ।আর সেসব প্রসাদ ভক্ষণ করেই আমি-আপনি বেঁচে আছি,বুকভরে শ্বাস নিচ্ছি,ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছি।এটা শুধু বেঁচে থাকার দীর্ঘ পরিক্রমার সামন্য একটা উদাহারণ মাত্র।এমন অসংখ্য উদাহারণের সমন্বয়ে আমরা বেঁচে আছি,যার নেপথ্য কারিগর আমাদের পরিবার।
সুতরাং আমার-আপনার এই জীবনটা শুধু আমাদের একার না।এই জীবনের ভাগীদার,বাবা-মা সহ পরিবারের অন্যান্যরাও।এই জীবনের উপর আপনার যতোটুকু হক আছে,বেশি না হলেও 'কম নয়' পরিমান হক তাদেরও আছে।
জীবন অর্থমূল্যের ঊর্ধ্বে।পৃথিবীকে কিছু দেয়ার জন্য আমি-আপনি অক্ষম হলেও,আমাদের অনেক কিছু দেয়ার জন্য এই পৃথিবী সক্ষম।তার সেই সক্ষমতাটাই আমাদের জন্য সুযোগ।সর্বোপরি বেঁচে থাকতে হবে।জীবন যেহেতু তুচ্ছ নয়,এ জীবন শেষ করে দেয়ার জন্য তুচ্ছ কারণও যথেষ্ট নয়।
গতো কয়দিনে,'প্রিয় ফুটবল দলের ব্যর্থতায় আত্মহত্যা করলেন সমর্থক' এইধরণের একাধিক শিরোনাম আমি দেখেছি।যে ফুটবল খেলা দিনশেষে শুধুমাত্র বিনোদনের উৎস,আনন্দের স্বল্পমূল্য মাধ্যম,তার জন্য আপনার অমূল্য জীবন শেষ করে দেয়া নিছকই অর্থহীন।মনে রাখতে হবে,দূরপ্রাচ্যের যেসকল দলের খেলা দেখে আমরা আনন্দিত-আপ্লুত-আকৃষ্ট-উদ্বেলিত হচ্ছি,বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি সেসকল দেশের খেলোয়ারদের কাছে অনেকগুলো ভিনগ্রহের মতোই অপিরিচিত একটি গ্রহ।
অতএব,এতো মূল্যবান জীবনকে খেলা দেখে হেলায় শেষ করা যাবেনা।আপনার একটি জীবন মানে আরো অনেকগুলো জীবন। আপনার বাবা-মা,ভাই-বোন,স্ত্রী-পুত্রকন্যা।মনে রাখবেন,পছন্দের দলের পরাজয়ে আপনার অস্থায়ী অ-সুখ;অন্যদের স্থায়ী শোকের কারণ হলে,পৃথিবী নামক আদালতের বিচারিক কাঠগড়ায় আপনি চিরস্থায়ী আসামি হয়ে থাকবেন।আপনার জীবনের তুলনায় বিশ্বকাপ ফুটবল, পুচ্ছদেশের মাসব্যাপী জমা হওয়া লোমের মতোই তুচ্ছ।

©নাকিব।
২৫/৬/২০১৮।
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×