somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সামনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ব্যস্ত লেখক, কবি, প্রকাশক, প্রেস.... নেই আমার ব্যস্ততা...

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আর কয়েকদিন পর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। তার পূর্বেই শুরু হবে বইমেলা। যদিও এই ডিজিটাল সময়ে কাগজের বইয়ের প্রতি তেমন একটা আকর্ষণ অনেকেই অনুভব করেন না, সবাই ডিজিটাল মাধ্যমেই পছন্দের বইটি পড়ে নেন। মাঝে মাঝে আমি নিজেও এমনটাই করি, কিন্তু যাই বলুন না কেন কাগজের বই হাতে নিয়ে চিৎ হয়ে, কাৎ হয়ে, উপুর হয়ে, আধশোয়া হয়ে, চেয়ারে বসে, হাঁটতে হাঁটতে এমনকি কেউ কেউ নাকি বাথরুমে প্রাকৃতিক কাজ সারার সময়েও বইটি হাতে নিয়ে উপভোগ করেন তার ভিতরের সকল রূপ, রস গন্ধ। আর ডিজিটাল মাধ্যম আসার পরে আগেকার সে লাইব্রেরীর চেয়ার-টেবিলগুলো নিজেরাই গল্পে-গুজবে অলস সময় পার করে, আর বইয়ের প্রকাশক, লেখক বা বই বিক্রেতারা অনেকেই নাকি ঘুমিয়ে কাটায়। যাই হোক আমার নিজের মতামত শেয়ার করার জন্যই এই ব্লগের অবতারণা। আমার মতের সঙ্গে কারও কারও ভিন্নমত হলেও কোন সমস্যা নেই নিশ্চিন্তে মন্তব্যে জানাতে পারেন আপনার নিজস্ব ভাবনা, শেয়ার করতে পারেন কাগজের বই নিয়ে কোন মজার স্মৃতি।


ছবি: গুগল

১। আমি অনেক পরিক্ষা করে দেখেছি, হার্ডকপি বই নিয়ে পড়লে বিষয়বস্তুর যতটা গভীরে যাওয়া যায় সেই একই বই মোবাইলে/ট্যাবে/ল্যাপটপে/ডেস্কটপে মোদ্দাকথা ডিজিটাল কপি পড়ে ততটা গভীরে কখনোই পৌঁছাতে পারি না।
২। কাগজের বই নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা, দিনের পর দিন যেভাবে সময়ের সঙ্গে বইয়ের স্বাদ আস্বাদন করতে পারি, ডিজিটালে তার ১০-২০ ভাগও পাই না।
৩। কাগজের বইটি এক বা দুবার পড়লে বইয়ের পুরো বিষয়বস্তুই প্রায় আয়ত্ব (মুখস্ত/হৃদয়ঙ্গম) হয়ে যায় কিন্তু ডিজিটাল বইটি ১০ বার পড়েও আমি তার ৫০ ভাগও দুয়েকদিন পরে মনে করতে পারি না।
একসময় বইয়ের পোকা ছিলাম, নিজের একান্ত অলস সময়গুলো পার করতাম বই পড়ে, সে তালিকায় ছিল গল্প, উপন্যাস, ছোটগল্প, নাটিকা/নাটক, প্রবন্ধ, রম্যরস, এ্যাডভেঞ্চার, থ্রিলার, কমেডি, এ্যাকশন সব ধরণের বই-ই আমার পড়তে খুব ভালো লাগত। এমনও হয়েছে কোন কোন বই পড়তে গিয়ে তা শেষ না করে উঠতে পারিনি। কিন্তু বর্তমানের এই ডিজিটাল যুগের ডিজিটাল বইগুলোর সঙ্গে ঠিক তাল মেলাতে পারছি না। হয়ত আমার ব্যর্থতা, অথবা এই ডিজিটাল বইগুলো পড়ে হৃদয়ঙ্গম করার কোন ডিজিটাল তরিকা রয়েছে যা আমার অজানাই রয়ে গেছে।

তাই সম্মানিত পাঠকবৃন্দের প্রতি আমার একান্ত অনুরোধ, এ ব্যাপারে আপনাদের যার যার ব্যক্তিগত মতামত শেয়ার করুন। আপনাদের নিকট থেকে এ বিষয়ে কোন হেল্প পাওয়া যায় কি না।

আরও একটি ব্যাপার, যদিও পার্সোনাল তবুও শেয়ার করলাম, আমি খুব দ্রুত বাংলা/ইংরেজী টাইপ করতে পারি, আর এ্যকুরেসিও যথেষ্ট সন্তোষজনক। জীবনে অনেক বই প্রায় নির্ভুল টাইপ করে দিয়েছি। প্রতিটি বইমেলার আগে দু'একটি বইয়ের পাণ্ডুলিপি কম্পোজ করে দিয়ে রথ দেখা আর কলা বেচার কাজটা একসঙ্গে সেরে ফেলতাম। যদি কারও হাতে প্রকাশযোগ্য কোন পাণ্ডুলিপি থাকে যা কম্পোজ করা দরকার, নক করবেন দ্বিধাহীনভাবে। যদিও কাজটি প্রকাশকরা নিজ দায়িত্বেই করে থাকেন, কিন্তু তথাপি বইমেলার আগে অনেক কাজ হাতে থাকায় অনেকে নতুন কাজ নিতে চান না কেবমাত্র সময়মত পাণ্ডুলিপি কম্পোজ করিয়ে শেষ করতে পারবেন না এই ভয়ে...।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫০
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×