চল্লিশ বছর আগে, আমেরিক্যান সায়েন্টিস্ট জার্নালে প্রকাশিত একটা গবেষণাপত্রে হার্বার্ট সাইমন এবং উইলিয়াম চেস 'দক্ষতা'-র উপর গবেষণায় খুবই বিখ্যাত একটা উপসংহার টেনেছিলেন:
দাবা খেলায় কোনও ভূইফোঁড় এলেমদার নেই- এবং চট করে কেউ মাস্টার বা গ্রান্ড মাস্টারও হয়ে যায় না। আপাতদৃষ্টিতে এমন কোনও ঘটনার নথি-পত্রের অস্তিত্ব নেই যেটা দিয়ে প্রমাণ দেখানো যায় যে, কমপক্ষে দশ বছরের আগাম সাধনা ছাড়া কেউ গ্রান্ডমাস্টার হয়েছেন (ববি ফিশারকে হিসেবে ধরেই)। আমরা মোটামুটি একটা আন্দাজ করতে পারি, গড়পড়তা হিসেবে একজন মাস্টার ১০,০০০ থেকে ৫০,০০০ ঘন্টা ব্যয় করেন শুধুমাত্র দাবাঘুটির অবস্থান পর্যবেক্ষণ করে।
এর পরের কয়েক বছরে সাইমন আর চেস এর পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করে মনোবিজ্ঞানের গবেষণার একটা নয়া ক্ষেত্রই তৈরি হয়ে গেলো। এই জায়গাটার উদ্দেশ্য ছিলো সাইমন এবং চেসের পর্যবেক্ষণের আরো বিস্তৃত ব্যাখ্যা প্রদান- এবং এই কাজ করতে গিয়ে অন্যান্য গবেষকরা বার বার একই সিদ্ধান্তে পৌছুলেন: কোনও জটিল বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হলে প্রচুর পরিমান প্রাকটিস দরকার (! আমরা এই জিনিস আসলেই জানতাম নাহ... )
সাইমন এবং চেসের পেপার বের হওয়ার পর, মনোবিজ্ঞানী জন হেইস ছিয়াত্তর জন বিখ্যাত ধ্রুপদী সংগীতকারের উপর গবেষণা চালিয়ে দেখলেন- তাঁরা তাদের সবচেয়ে ভালো কম্পোজিশানটা তৈরি করতেও কমবেশি দশবছর সময় নিয়েছেন। (বিশেষভাবে উল্লেখ্য ভিন্নতা: শোসটাকোভিচ এবং পাজানিনি-র লেগেছিলো নয় বছর এবং এরিক স্যাটী নিয়েছিলেন আট বছর)।
[মূল: ম্যালকম গ্ল্যাডওয়েল সূত্র: Science: The Magic of Reality পেজ]