বৃতি ফটোগ্রাফার, রথীন ফটোগ্রাফার না। রথীন আর্টিস্ট, পেনসিল কানে গুজে ঘোরে। বৃতির সাথে প্রথম দেখা আর্ট এক্সিবিশনের করিডোরে; রথিন ছবির কাঁচের ভেতর প্রায় মাথা ঢুকিয়ে স্কেচের কাঠকয়লার শেডটা কেমন করে করলো তাই দেখছিলো- এবং সেটা বৃতির পছন্দের 'সাবজেক্ট' ছিলো না। নেতিবাচক রঙ মাখিয়ে কথা সাজাতে ওস্তাদ বৃতি কোনরকম ভূমিকা না করেই বলে দিলো, এই যে, শুনছেন? পেনসিল স্কেচের কোনও সেন্ট থাকে না! নাকটা সরান ছবির উপর থেকে!
বিরক্ত রথীন পেছনে তাকিয়ে দেখে ঢ্যাঙা লিকলিকে একটা মেয়ে হাতে ক্যামেরা দুলিয়ে ছবির সামনে থেকে সরে যেতে বলছে। রথীনের মন মেজাজ সেদিন ভালো ছিলো না, ভালো থাকলে বিনা প্রশ্নে জায়গা করে দিতো। মুখটা ব্যাজার করে বললো, ক্যামেরা দিয়ে তোলা ছবির গায়ে ঘ্রাণ থাকে না, আর, যদি থাকেও আপনার কথা শুনে বোঝা যাচ্ছে আপনি কখনও সেটা পাননি!
বলাই বাহুল্য, ঘটনাটা (অথবা ঝগড়টা) তার পরেও বেশ কিছুদূর গড়িয়েছিলো!
এই ঘটনার মাস ছয় পর, এক সন্ধ্যেবেলায় জলের উপর দিয়ে ঘাসফড়িং-এর ওড়া দেখতে দেখতে রথীন ব্যস্ত হয়ে উঠে বললো, ওটার ছবি তোল, তোল, তাড়াতাড়ি, উড়ে গেলে আর শট পাবি না!
বৃতি রাগে ভ্রু বাঁকিয়ে পার্সেলটাঙে হিস হিসিয়ে বললো, কেন, তুই এঁকে রাখ, পরে নাক ডুবিয়ে ঘ্রাণ নিস!