অরণ্য,
শুনছ তুমি?তাকাও। ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়ে গেল !বৃষ্টি যখন টুপ করে ছুঁয়ে দিল এই আনন্দের জন্য বেঁচে আছি। কী অদ্ভুত ভালোলাগা। তোমায় দেখলেও মনে হয় এত আনন্দ হত না। এই এই ক্ষেপছ কেন ! আমার বুঝি দুষ্টামি করতেও মানা। দেখি তো একটু হাসো তো। মিষ্টি করে হাসো, টক করে না তো!
শোন সব সময় একটা কথা মনে রাখবে বুঝলে -দাঁত শুধু থাকলেই হয় না হাসতেও জানতে হয় ! কী বুঝলে ?শোন আজ রাস্তায় হাশমতের মা'য়ের সাথে দেখা হল। অনেক বয়স হল। তুমি কি চিনতে পারছ নাকি আমার মত ভাবছ কোন হাশমতের মা ? আমিও না চিনতে পারছিলাম না কারণ তার সাথে আজই প্রথম দেখা। তার নাকি শাড়ি নেই, হাঁটতেও পারে না। বলল আমার পরা শাড়ি তাকে দিতে। বল দেখি তোমার দেয়া সেই হলুদ রাঙা শাড়িটা কেমনে তারে দিই ! ওই একটা শাড়ি যেটা ধরলে মনে হয় তুমি আমার সামনে দাঁড়িয়ে বলছ সুশী শাড়িটা পরো তো! আমি ভীষণ পচাঁ তাই না বল তোমায় কখনো দেখায়নি ওমন শাড়িতে সুশীকে কেমন দেখায়! শুনো দেখে কাজ নেই। পৃথিবীতে সব কিছু দেখতে নেই। দেখতে নেই বৃষ্টি ছুঁয়ে তার প্রথম হাসি,শাঁড়ি ছুঁয়ে তার স্নিগ্ধ হাসি।
শুনো বর্ষাকাল আসছে সামনে। যেদিন বাড়ি ফেরার পথে ছাতা নিতে ভুলে যাবে সেদিন মনে করে আমার জন্য কদম ফুল নিয়ে ঘরে ফিরো। সাজিয়ে রেখ জানালার পাশের ফুলদানীতে আর ওতে একটু চিনি দিয়ে রেখ তাহলে দেখবে অনেকদিন ভালো থাকবে।
এরপর পর্দা উড়বে,মাথা মুছতে মুছতে তুমি পর্দা সরিয়ে বাহিরে তাকাবে। হাত বের করে দেবে বৃষ্টির গা'য়ে।এ পৃথিবীর কেউ কোথাও ওমনি ভাবে হাত বাড়িয়ে আছে।
একটু তো হাসো ।
চলে গেলুম। আবার আসব কিন্তু।
ইতি তোমারি সুশীলতা
©রুবাইদা গুলশান
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:০৫