দলীয় ৪৩ রানের মাথায় মইন আলি ব্যক্তিগত ১৯ রান করে রানআউট হন। দলীয় ৯৭ রানে মাশরাফির শিকার হন অ্যালেক্স হেলস। ইয়েন বেইল ব্যক্তিগত ৬৩ রান করে রুবেল হোসেনের বলে মুশফিকের হাতে ধরা পড়েন।
বিশ্বকাপের পুল ‘এ’ তে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭৫ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়লেও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের শতক ও মুশফিকুর রহিমের অনবদ্য ৮৯ রানের সুবাদে ইংল্যান্ডকে ২৭৬ রানের টার্গেট দিয়েছে টাইগাররা।
বাংলাদেশের পক্ষে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ সর্বোচ্চ ১০৩ রান করেন। ১৩৮ বল খেলে এই রান করেন তিনি। তার এই শতকে ৭টি চার ও ২টি ছয়ের মার রয়েছে। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি তার প্রথম শতক। বিশ্বকাপেও কোন বাংলাদেশির করা প্রথম শতক এটি। তাকে সঙ্গ দিয়ে সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম করেন ৮৯ রান।পঞ্চম উইকেট জুটিতে মুশফিক-রিয়াদ ১৪১ রানের অসাধারণ জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেন। এই জুটি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি। এছাড়া দলের পক্ষে সৌম্য সরকার করেন ৪০ রান।
এর বাইরে বাংলাদেশের আর কোন ব্যাটসম্যনই ভাল রান করতে পারেনি।সোমবার অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেইড ওভালে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে টস জিতে টাইগারদের ব্যাট করতে পাঠায় ইংল্যান্ডের অধিনায়ক এয়ন মরগান।
ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে মাশরাফিরা। দলীয় মাত্র ৮ রানেই দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস সাজঘরে ফিরে যান।
প্রথম ওভারেই জেমস অ্যান্ডারসনের বলে তৃতীয় স্লিপে ক্রিস জর্ডানের হাতে ধরা পড়ে ইমরুল কায়েস। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে অ্যান্ডারসনের দ্বিতীয় শিকার হন তামিম ইকবাল। ব্যক্তিগত ২ রান করে প্রথম স্লিপে জো রুটের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।
এরপর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও সৌম্য সরকারের দৃঢ় ব্যাটিংয়ে ইংলিশ বোলারদের প্রতিরোধের চেষ্টা করে টাইগাররা। কিন্তু দলীয় ৯৪ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৪০ রান করে ক্রিস জর্ডানের বলে আউট হন সৌম্য সরকার। এরপর মাত্র দুই রান যোগ করে মইন আলির বলে রুটের হাতে ধরা পড়েন সাকিব আল হাসান।
দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সতর্ক ব্যাটিংয়ে শক্ত অবস্থানে যায় টাইগাররা। তবে শতকের পরেই মাহমুদুল্লাহ রান আউট হন।পরে ব্রডের বলে আউট হয়ে প্যাভিলনে ফেরেন মুশফিক।শেষ দিকে বেশি রান তুলতে পারেনি বাংলাদেশ।
সূত্র : [প্রথমবার্তা]
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৭