আবিরের সাথে সুখেনের বন্ধুত্ব সেই ছোট বেলা থেকে। ওরা এক সাথে লেখা পড়া করত, স্কুলে যেত। খেলাধুলা করতো আবার মারামারিও করতে কুন্ঠা বোধ করতোনা। তবে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ব্যাপারে ওরা ঐক্যমত। পাড়াতে কারো বিপদ হলে ওরাই আগে দৌড়ে যেত।
আজ ওরা বড় হয়েছে। মনের কোন দ্বন্দ পর্যন্ত নেই ওদের মধ্যে। একে অপরের সুখে দুখে এক হয়ে যায়। ক্রমে যৌবনে পতিত হলো বিধির কারনে। তার কিছু পরেই আবির তনু নামের একটি মেয়ের প্রেমে পড়ে যায়। বিষয়টা সুখেনের অজানা রইল না। কারন জীবনে আবির যা কিছু করেছে সবই বলেছে সুখেনকে। আর একথা গোপন করার কোন কারনই থাকলো না।
'তনু' সুখেনেরই বোন। ফলে সুখেনের অনুরোধে তনুর সাথে সমস্ত সমপর্ক ছেদ করতে হলো। চিঠির আদান প্রদান বন্ধ হলো। তনুদের বাড়িতে এক প্রকার যাওয়াই বন্ধ করে দিল আবির। যেখানে না গেলে আবিরের পেটের ভাতই হজম হতোনা।
আজ সুখেনের বোনের বিয়ে। তবে এ বিয়ে তনুর না। এ বিয়ে বহ্নির। বহ্নি আবিরকে ভাই বলে ডাকতো । বলতো তুমি আমার ভাই। তোমার আমার রক্তের গ্রুপ এক তাই তুমি আমার ভাই। কথা গুলো শুনে চোখে জল আসতো আবিরের। সে তনু কে মন দিয়ে কি ভুল করেছে? নাকি সবই তার অদৃষ্ট?
এ সমাজ মেনে নেয়নি তাদের ভালোবাসাকে, মেনে নেয়নি দুটি অবুঝ মনের মিলন, শোনেনি অসহায় দুটি হৃদয়ের কথা। বহ্নির বিয়েতে যেতে পারেনি আবির। লজ্জায় না, দারুন অপরাধ বোধের কারনে, যার কোন মানেই হয়না। কিন্তু ওদের কাছে তার মানে অনেক গভীরতা বহন করে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:২১