কিছুদিন আগেই ঢাকায় গিয়ে বেশ কয়েকদিন পুরান ঢাকার ক্যাম্পাস সংলগ্ন চানখারপুল মোরে একটি হোটেলে গ্রিল চিলেন খেয়েছি। মোরেই নতুন একটি সুদৃশ্য ভবন দেখা যায়। বিশাল বড় ভবনটির গায়ে লেখা 'শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট'। সম্ভবত এটিই হতে যাচ্ছে উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট।
.
পোড়া মুরগি খেতে আসা-যাওয়ার পথে ঐ ভবনটি দেখলেই মনের মধ্যে মোচড় দিয়ে উঠতো সেই জ্বালাও-পোড়াওয়ের সময়ের স্মৃতি, বাসে আগুন, পেট্রল বোমা ছুঁড়ে মারার দৃশ্য! মনে মনে তখন ভাবতাম, এতো বড় ভবনের কি আর প্রয়োজন হবে এই দেশে? সেই জ্বালাও-পোড়াওয়ের রাজনীতি তো শেষ। দেশে এখন আর সেই অবস্থা নেই!
.
আমার কথা শুনে হয়তো সৃষ্টিকর্তা মনে মনে হাসলেন। এর কিছুদিন পরেই সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আগুন লাগলো। ভাগ্যিস কেউ পুড়ে মরেনি। স্থানীয়দের সহায়তায় ডাক্তারদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় হিউম্যান ড্যামেজ হয়নি বলেই জানা যায়। এরপর ঢাকা থেকে ফিরলাম যেদিন, সেদিনই চকবাজারের এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ড! তখন মনে হলো, এই অপরিকল্পিত মৃত্যুকূপময় নগরীতে এই সুবিশাল 'বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট'টি যথেষ্ট তো?
.
আমার মনে হয় বইমেলায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা রাখা দরকার। সেখানেও অনেক মানুষ এখন। মানুষের জীবনের মূল্যটা বুঝতে হবে আমাদের।
.
পোড়া মুরগি খেতে ভালো লাগতো। ভালো লাগতো পুরান ঢাকার বিরিয়ানি, বাকরখানি। এমন ঘটনার পর ওদিকে হয়তো এখন থেকে খুব কম যাওয়া হবে। এমন হতভাগাদের দলে যেন আর কাউকে সামিল হতে না হয়। ঈশ্বর আমাদেরকে সুস্থ ও নিরাপদে রাখুন, পরিকল্পিত নগরায়নে বড় মাথাদের মাথায় সুমতি দান করুন।