বহুকাল আগ থেকে কিছু কথা আমার জানা ছিল- হাসের রাজা-রাজ হাস, মিস্ত্রীদের রাজা-রাজমিস্ত্রী, সাপুড়েদের রাজা-সর্পরাজ---- এইরকম আরো অনেক উদাহরণ দেওয়া যায়। যেমনঃ কবিরাজ, মহারাজ, রাজশাসন ইত্যাদি ইত্যাদি। রাজযুক্ত সকল শব্দের গাম্ভীর্য সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নাই। কিন্তু- "নীতির রাজা- রাজনীতি" অর্থাৎ শ্রেষ্ঠ নীতি সম্পর্কে এদেশের মানুষের অভিজ্ঞতা একেবারেই তিক্ত। এক কথায় মানুষ এখন দারুন বিরক্ত। দুই নেত্রীর কথা শুনলে মনে হয়- বছরের পর বছর দেশটা কেবল তাদের রাজ পরিবারের উত্তারিধিকার। আর আমরা তাদের প্রজা। এখানে আর কারো অভ্যুদয় অশোভন এবং অন্যায়। যদিও তারা রাজতন্ত্রের আড়ালে গনতন্ত্রের প্রলোভিত বক্তব্য দেয়।
আমরা দেশবাসী এখন পুরাই আতঙ্কিত। ধর্মানুভুতিতে আঘাত হানা এক বিরাট অপরাধ, বিশ্বময়, সবসময়। তার সাথে এখন এদেশে যুক্ত হয়েছে রাজনৈতিক অনুভুতি। ধর্মীয় অনুভুতির ন্যায় রাজনৈতিক অনুভুতিও আমাদের প্রবল। ধর্মানুভুতিতে আঘাত বলতে মুসলিমরা বুঝেন- মহাণ আল্লাহ'র বানী কিংবা ওহী বিরোধী কার্যক্রমকে। কেননা- মহাণ আল্লাহর বানী যেমনি পবিত্র, তেমনি ১০০% নির্ভুল। তাই এর অমান্য করা গর্হিত কাজ। অন্যদিকে- এদেশে রাজনৈতিক অনুভুতি হচ্ছে- শেখ হাসিনা কিংবা খালেদা জিয়া; অথবা নেতৃত্বস্থানীয় অন্য নেতাকর্মীদের মুখের অসংযত বক্তব্যকে ওহীর ন্যায় পবিত্র, নির্ভুল ও অত্যাবশ্যকীয় করনীয় ভেবে, প্রতিপক্ষকে প্রতিনিয়ত ঘায়েলের চেষ্টা। যে বা যারা নেতাদের এই বানী মানেননা তারা যেন রাজনৈতিক অনুভুতিতে আঘাত করল। যদিও এই অনুভুতির যায়গাটা একেক জনের একেক রকম; কারো আওয়ামিলীগে, কারো বিএনপিতে।
এতসব ভালো ভালো কথা বলার কারণ একটাই। সামনে ইলকশন।আমি একজন সাধারন মানুষ । পলিটিক্স বুঝিনা। তয়- যতটুকু বুঝি, তা হইতাসে গিয়া "দেশ ভালো নাই"। সর্বোপরি আমরা ভালো নাই, সরি আমি বা আমার মত অনেকেই ভালো নাই। আবার অনেকেই আরামে আছেন। যারা আরামে আছেন, তাদের নিকট আমার অনুরোধ- আমাদের ভালো থাকতে দিন, প্লিজ।
কেউ রাজনৈতিক অনুভুতিতে আঘাত পেলে, নিজ দায়িত্বে পাবেন।