প্রথমবারের মত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে দলীয় মনোনয়নের মাধ্যমে । যদিও এখন পর্যন্ত ঘোষিত হয়নি নির্বাচনী তফসিল । তবে শ্রীঘ্রই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী তফসিল ঘোষনা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে । আর এই নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা । প্রার্থীদের মধ্যে এক প্রকার আতঙ্ক ও কাজ করতেছে । ইতিমধ্যে দলীয মনোনয়ন পাওয়ার জন্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাপ বেড়ে গেছে । কিন্তু এদিক থেকে বাংলাদেশের অন্যতম বড় দল বিএনপি এক প্রকার কৌশল অবলম্বন করেছে । এবং তারা বর্তমানে কিছুটা নিরব ভূমিকা পালন করছে । অনেক ইউনিয়নে দেখা গেছে বিএনপি কৌশল অবলম্বন করে আওয়ামীলীগের মধ্যে ফাটোল ধরানোর চেষ্টা করছে । বর্তমানে বিএনপিতে একাধীক প্রার্থী দেখা যাচ্ছেনা কিন্তু আওয়ামীলীগে দেখা যাচ্ছে অসংখ্য প্রার্থী । আর আওয়ামীলীগের এই প্রার্থীদের মধ্যে দলের স্বার্থে উপরে মিলেমিশে থাকলেও তাদের মনের মধ্যে বিরাজ করছে প্রতিহিংসা । কারন সবারই মনোনয়ন পাওয়ার লোভ । ইতিমধ্যে গ্রামগন্জে বিরাজ করছে নির্বাচনী আমেজ । অনেক প্রার্থী সাধারন মানুষের সাথে মিলেমিশে খুব ভালো আচরন করছেন এবং তাদেরকে চা,পান সিগারেট খাওয়াচ্ছেন । কেউ কেউ চলে যাচ্ছেন ঢাকাতে বড় নেতার সাথে দেখা করতে । কোনো কোনো প্রার্থী বিভিন্ন কায়দায় স্থানীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠান করে উপজেলা,জেলা ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের দাওয়াত দিয়ে তাদের জনপ্রিয়তা দেখাচ্ছেন এবং মনোনয়ন পাওয়ার জন্য বিভিন্ন কৌশলে বক্তৃতা রাখছেন । আবার কোনো কোনো প্রার্থী ক্যালেন্ডার ছাপিয়ে দোয়াপ্রার্থী হিসেবে ইউনিয়ন বাসীকে ইংরেজী নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন । কোনো কোনো প্রার্থী বিভিন্ন পোষ্টার,ব্যনার ইত্যাদী বানিয়ে এলাকাবাসীর কাছে দোয়া চাচ্ছেন । আওয়ামীলীগের প্রত্যেক প্রার্থী ফোনে ও সরাসরি নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন স্থানীয় সংসদ সদস্যের সাথে । এক কথায় সব প্রার্থীরা দলীয মনোনয়ন পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠছেন । এই মনোনয়নের উপর নির্ভর করে অনেক প্রার্থীর রাজনৈতিক জীবন ও সাধারন মানুষের ভাগ্য । তাই সকল দলের মনোনয়ন কমিটির নিকট অনুরোধ রইল তারা যেন যাচাই বাছাই করে সৎ,যোগ্য,আদর্শবান ও ন্যায়নীতি সম্পন্ন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয় । যোগ্য ও আদর্শবান প্রার্থী মনোনয়ন পাক-এটাই আমাদের প্রত্যাশা ।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৬