বানরটার গলা টেবিলের মাঝ খানের ফাকা জায়গায় আটকানো। নিচে প্রবল যন্ত্রনায় বানর টার দেহ মোচরাচ্ছে। মাথার খুলি চায়ের কেটলির ঢাকনার মত খোলা। তার থেকে জ্যান্ত গরম রক্তাক্ত মগজ চপস্টিক দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে খাচ্ছিলাম।
শালা ওয়েটার বললো এইটাই সবচেয়ে দামী খাবার এই শহরের।
পাখীর বাসার স্যুপে বিরক্ত হয়ে চুমুক দিচ্ছিলাম আমি।
দুইটা থেকেই বিচ্ছিরি গরম বোটকা গন্ধ বের হচ্ছে। বড়লোক হবার অনেক ঝামেলা।
হ্যা আমি অনেক বড়লোক। এতো টাকা আমার,
এতো!! এতো!!! এতো!!!!!! টাকা আমার
বড়লোক গিরি বজায় রাখতে গেলে, টাকার গরম দেখানোর জন্য, টাকা খরচ করার জন্য
দামী গাড়ি, দামী পোশাক দামী খাবার খেতে হয়। ডিস্কো, জুয়া, পার্টি এইসব হাবি জাবি করতে হয়। সোসাইটি মেইনটেইন করতে হয় আরকি।
আমি এক কাপড় দুই বার পরি না।
এক গাড়ি দুই বার চড়ি না। আমার একটা স্যুটের টাকা দিয়ে বাংলাদেশের সকল ভুখা নাংগা মানুষ দুই বেলা খেতে পারে। কিন্তু গরিব আমার দুই চোখের বিষ।
এতো টাকা সোজা রাস্তায় আসে না। বাকা রাস্তায় আসে।
নকল ঔষধ, ড্রাগস, কিডনী, গুর্দা, কলিজা, এইসব বাজারে বিক্রি করি।
আরো আছে বলবোনা, বললে ভয় পাবেন।
এতো ক্ষমতা আমার, তারপরেও ওই হারামী হাবিলদার অর্পন, যার কাজ ইনস্পেকটর এর দুধেল গাই কে দুই বেলা ঘাস খাওয়ানো, ধরিয়ে দিলো আমার ইয়াবার চালান।!!!!!!!!! কত্ত বড় সাহস।
এই কে আছিস ধরে আন ভূরিয়াল টাকে।
বানরের যায়গায় এটাকে ভরে দে।
পরিশেষে, অর্পনের দেহ টা প্রবল যন্ত্রনায় মোচরাচ্ছিলো। মাথার খুলি কেটলি স্টাইলে খোলা। চপস্টিক খুচিয়ে মগজ খাচ্ছিলাম আমি।
হাহ!!! শালা গরীব!!!!!!! কত্ত খারাপ!!!!!!!!
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৪:১৬