somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আঁচল ভরে চুমু কুড়োই...

১৩ ই মে, ২০২০ রাত ১১:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



'আকাশটাকে ঘুম পাড়িয়ে চাঁদ জেগে থাকবে রাতভর,
আমার গল্প ফুরিয়ে যাবে...তবু..., আপনি বলবেন, তারপর?'

প্রেমের মধ্যে একটা অবাধ্য ব্যাপার আছে। আয়োজন করে অপেক্ষা করলে তার দেখা মেলা দায়। যখনই তার আগমন অপ্রত্যাশিত এবং অসুবিধাজনক, তখনই সে মহা সমারোহে পালকি চড়ে আসে। প্রেম তো আবদার করে আদায় করার মতো বিষয় নয়, প্রেমের একটা নিজস্ব সৌন্দর্য আছে। মুখের কথা সবাইকে শোনানো যায়, তবে মনের কথা; কেবল মনের মানুষকে শোনাতে হয়। প্রেমের মতো আকাংক্ষিত জিনিস চেয়ে পেতে ভালো লাগে না, কেমন লাগে তাও ভাবাই যায় না। কিছু মানুষের স্বভাবের সৌন্দর্য দেখা মাত্র চোখে পড়ে না। তবে একটু মন দিয়ে খুঁজলে সুপ্রকাশ হয়ে পড়ে। সুন্দরের সার্থকতা সৌন্দর্যে। সৌন্দর্যের একটা মোহিনী শক্তি আছে। মাসুম সাহেবের ঠোটের সাথে বোধ করি হার্টে্র একটা কানেকশন আছে। তিনি হাসলে মনে হয় অন্তর দিয়ে হাসছেন। আর আমি ভাবি ‘আপনার একটুখানি হাসি আমাকে বাঁচাতে পারে হাজার বছর’। তিনি চোখ তুলে তাকালে আমি তো ফিদা! অনেকটা এমন যে ‘সব পথও এসে মিলে গেলো শেষে তাঁর ওদু’খানি নয়নে’।

মাসুম সাহেব সেই মানুষ যার ব্যাপারে সম্ভবত আমি নিজেই নিজের কাছে নিরপেক্ষ থাকতে পারি না। তাঁকে ভয়ংকর ভাবে কাছে পেতে চাওয়ার নামই বোধহয় ভালোবাসা, কিন্তু তাঁকে চেয়ে ফেলাটাই আমার কাছে বিভ্রম মনে হয়। এই অনুভূতি বড় তরল, কিছুতেই নিখুঁত করে বলতে পারি না। ঝড়ো বেগে চলে যচ্ছে সময়। সর্বগ্রাসী বাস্তবতার অতলান্তে ডুবে গেছে সব, শুধু অহমিকার ক্ষুদ্র দ্বীপটুকু জেগে আছে অপরিসীম ভালাবাসায়। তাঁর নিরন্তর ভালোবাসা, অপার আগ্রহ, একাগ্রতা, সৌজন্যতা, আত্মসচেতনহীন মনোভাব আমাকে মুগ্ধ করে। মাসুম সাহেবের মধ্যে যে গুনটা আমার সবথেকে প্রিয় সেটা হল; তিনি দারুন লিখেন। তাঁর সাথে যে কোনো মূল্যে চিঠি লেখালিখিটা ধরে রাখতে হবে। দিনের পর দিন উত্তরবিহীন আত্ম-জিজ্ঞাসার পর জেনেছি নারীদের জন্য তাঁর পছন্দের পোশাক শাড়ি। মাসুম সাহেব বলেন, একই শাড়ি; মা পরলে তিনি তার আঁচল দিয়ে মুখ মোছেন। আর প্রেমিকা পরলে তিনি মনে মনে সেই আঁচলে চুমু খান। তারপর থেকে কল্পনায় আমি সব শাড়ির আঁচল জুড়ে তাঁর চুমু কুড়োই।

গণমাধ্যমে রোজ কত খবর বেরয় কিন্তু ঐ খবর তো কোথাও নেই যে আমি মাসুম সাহেবকে ভালোবাসি। প্রায়শ তাকে লিখে পাঠাতে ইচ্ছে করে 'যৌথ ডানা মেলে আকাশটা দখলে নেব। আপনি আমার হলে, আমিও আপনার হবো'। হঠাৎ একদিন মনে মনে একটা বেহিসেবী কাজ করে ফেললাম। মুখোমুখি দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করে ফেললাম ‘এতদিন কোথায় ছিলেন'। মাসুম সাহেবের অবাক চোখের নীরব ভাষার প্রতিউত্তরে ভেবেছি বলবো 'বুকের পাজর খুলে দেখুন সত্যি আমি হৃদয় দিয়ে চাই’। আমার আকাংক্ষার আশকারায় উনার উত্তর হতে পারে, ‘রোজ সকালে ঘুমের ঘোরে থাকবে যখন একা; খুব আদরের ছোঁয়া পাবে তোমার সিথীর রেখা’… হা মুঝে মঞ্জুর হে আপকি যো ফায়সালা

এমন করে ডাকবো না আর বাইরে থেকে, পারি যদি ডাক পাঠাবো অন্তরে তাঁর, আনবো ডেকে... । সত্যি বলতে কি, যেখানে কোনো দাবি নেই সেখানে নৈরাশ্যের জ্বালা সব থেকে তীব্র, কারণ তার কোনও প্রতিকার হয় না।

'একদা এমনই বাদলশেষের রাতে---
মনে হয় যেন শত জনমের আগে
সে এসে সহসা হাত রেখেছিলো হাতে
চেয়েছিলো মুখে সহজিয়া অনুরাগে।
সে-দিনও এমনই ফসলবিলাসী হাওয়া
মেতেছিল তার চিকুরের পাকা ধানে ;
অনাদি যুগের যত চাওয়া, যত পাওয়া
খুঁজেছিল তার আনত দিঠির মানে
একটি কথার দ্বিধাথরথর চূড়ে...
ভর করেছিল সাতটি অমরাবতী'

সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:৪৭
২৩টি মন্তব্য ২৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×