দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে হলে এখনো আর্জেন্টিনাকে বেশ কিছু হিসাব-নিকাশের ভিতর দিয়ে যেতে হবে। তবে আবার একটি সহজ হিসাবও আছে, সেটা হচ্ছে পরের ম্যাচ যদি আর্জেন্টিনা পোল্যান্ডের সাথে জিতে যায় তাহলে সরাসরি ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে চলে যাবে। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন নাকি রানারআপ হয়ে যাবে সেটা অবশ্য পরের বিষয়। আর যদি হেরে যায় তাহলে সেখানেই মেসিদের বিশ্বকাপ মিশন শেষ হয়ে যাবে। হিসাব নিকাশটা হচ্ছে যদি পোল্যান্ডের সাথে ম্যাচটা ড্র হয়। এক্ষেত্রে অনেকগুলি জটিল হিসেবের ভেতর দিয়ে যেতে হবে তাদের।
প্রথম রাউন্ডে প্রত্যেক গ্রুপের প্রতিটি দলের শেষ খেলাটি শুরু হবে একই সময়ে অর্থাৎ এক্ষেত্রে আর্জেন্টিনা- পোল্যান্ড এবং সৌদি আরব-মেক্সিকো খেলা দুটি শুরু হবে বৃহস্পতিবার রাত ১টায়। যাতে কোন দল আগে থেকে তাদের অবস্থান জেনে খেলার পরিকল্পনা সাজাতে না পারে। আগেই বলেছি আর্জেন্টিনা পোল্যান্ড ম্যাচে যেই জয়লাভ করবে সেই দ্বিতীয় রাউন্ডে চলে যাবে। কিন্তু যদি ম্যাচটি ড্র হয় তাহলে কি হবে? সেক্ষেত্রে পোল্যান্ড এর পয়েন্ট সংখ্যা হবে ৫ আর্জেন্টিনার হবে ৪ এবং আর্জেন্টিনাকে অবশ্যই তখন মেক্সিকো- সৌদিআরব ম্যাচের ফলাফলের উপর নির্ভর করতে হবে। সেখানে কোন অবস্থাতেই সৌদি আরব যেন জয় লাভ না করে সেটার জন্য প্রার্থনা করতে হবে। আর যদি ম্যাচটি ড্র হয় সে ক্ষেত্রে সৌদি আরবের পয়েন্ট ৪ আর্জেন্টিনার পয়েন্ট ৪ ও মেক্সিকোর পয়েন্ট ২ থাকবে। এক্ষেত্রে গোল ব্যবধানে এখন পর্যন্ত আর্জেন্টিনা এগিয়ে আছে। আর্জেন্টিনার গোল পয়েন্ট +১ এবং সৌদি আরবের পয়েন্ট -১।
আর যদি ওই ম্যাচটিতে মেক্সিকো জয়লাভ করে সেক্ষেত্রে মেক্সিকো ও আর্জেন্টিনা সমান ৪ পয়েন্ট থাকবে কিন্তু এখানে দেখার বিষয় মেক্সিকো কত গোল পয়েন্ট নিয়ে জয়লাভ করে। তাদের এখন গোল পয়েন্ট -২ অর্থাৎ তারা যদি সৌদি আরব ম্যাচে জয়লাভ করে অন্তত ৪ গোলের ব্যবধানে তাহলে আর্জেন্টিনা বাদ পড়বে। আর যদি তিন গোল ব্যবধানে জিতে তাহলেও হেড টু হেডে আর্জেন্টিনা এগিয়ে থাকার কারণে কোয়ালিফাই করবে।
দ্বিতীয় রাউন্ডে কোয়ালিফাই করার ক্রাইটেরিয়া মোট পাঁচটি।
১. প্রতিটি খেলায় জয়লাভ করার জন্য ৩ পয়েন্ট এবং ড্র করার জন্য ১ পয়েন্ট। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পয়েন্ট সংগ্রহকারী দ্বিতীয় রাউন্ডে কোয়ালিফাই করবে।
২. পয়েন্ট তালিকায় একাধিক দলের পয়েন্ট সমান হলে গোল ব্যবধানে যে দল এগিয়ে থাকবে তারা কোয়ালিফাই করবে।
৩. এখানেও যদি দেখা যায় দুই দল বা তিন দলই সমান গোল ব্যবধানে অবস্থান করছে তখন দেখা হবে গোল কোন দল বেশি দিয়েছে এবং তাদেরকে কোয়ালিফাই করা হবে।
৪. এখন দেখা গেল গোল দেওয়ার ক্ষেত্রেও দুই দলই সমান তখন এপ্লাই করা হবে চার নম্বর ক্রাইটেরিয়া। এই ক্রাইটেরিয়া হচ্ছে হেড টু হেডে কে এগিয়ে আছে সেটা দেখা। এক্ষেত্রে যদি তিন নম্বর ক্রাইটেরিয়ায় দুইয়ের অধিক দলই গোল ব্যবধানে একই অবস্থায় আছে তাহলে ৪নং ক্রাইটেরিয়া প্রযোজ্য হবে না। সর্বশেষ ক্রাইটেরিয়া ৫ নং ক্রাইটেরিয়ায় মীমাংসা হবে।
৫. এই ক্রাইটেরিয়া হলো ফেয়ার প্লে পয়েন্টে কারা এগিয়ে আছে। ফেয়ার প্লে পয়েন্ট নির্ধারিত হয় এইভাবে
•একটি হলুদ কার্ডের জন্য -১ পয়েন্ট।
•দুটি হলুদ কার্ড এবং এরপর লাল কার্ড দেখানো হলে -৩ পয়েন্ট।
•সরাসরি লাল কার্ড দেখানো হলে -৪ পয়েন্ট ।
•একটি হলুদ কার্ড দেখানোর পরেই যদি লাল কার্ড দেখানো হয় তাহলে -৫ পয়েন্ট।
যাইহোক প্রিয় দল আর্জেন্টিনা এত হিসেবে নিকেশের ভিতর দিয়ে যাবে না। পরবর্তী ম্যাচ জয়লাভ করেই দ্বিতীয় রাউন্ডে উত্তীর্ণ হবে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৭