somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফিরে দেখা ২০১৫ঃ বিগত বছরের প্রায়ত গুণীজনদের স্মরণে

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


কিছু মানুষ সূর্যের মতো উদিত হয়, যাদের মেধা, মনন আর সৃষ্টির কল্যাণে আলোকিত হয়ে ওঠে জগৎ সংসার। নিয়তির এক অমোঘ সত্য হচ্ছে মৃত্যু। জন্মালেই মৃত্যুবরণ করতে হবে। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়া নিয়তির এক অমোঘ নিয়ম। কীর্তিমানের মৃত্যু গভীর শূন্যতা তৈরি করে জাতীয় জীবনে। মৃত্যুজনিত শূন্যতা কখনো পূরণ হওয়ার নয়। চিরাচরিত নিয়মেই আলোকিত মানুষদের প্রতিনিয়তই আমরা হারিয়ে চলেছি সময়ের পরিক্রমায়। তবে তারা পৃথিবী থেকে চলে গেলেও তাদের কর্ম, সততা, জনপ্রিয়তা ও অধ্যবসায়ের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন যুগ যুগ ধরে। ২০১৫ সালেও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা চলে গেছেন না-ফেরার দেশে। যাদের মধ্যে রয়েছেন বরেণ্য সব রাজনীতিক, শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, আইনজ্ঞ, ভাস্কর, চলচ্চিত্রকার, চিত্রশিল্পী, কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী। যাদের মনন-প্রজ্ঞা, সৃষ্টি-সোচ্চারে জাতি পেয়েছে নির্দেশনা, তরুণরা দিশা। প্রখর ও প্রজ্ঞাবান এ মহারথীরা আমাদের ছেড়ে গেলেও শিল্প-সাহিত্য, শিক্ষা-রাজনীতি, গবেষণায় তাদের অবদান সবসময় বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার সারথি হয়ে থাকবে। ২০১৫ সালে প্রয়াত গুণীজনদের স্মরণেঃ


বাংলাদেশের ৮ম প্রধানমন্ত্রী ও প্রখ্যাত রাজনীতিক কাজী জাফর আহমেদ। ১৯৩৯ সালের ১লা জুলাই কুমিল্লায় জন্ম নেয়া কাজী জাফর ১৯৬২-৬৩ সালে অবিভক্ত পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সামরিক শাসন ও শরীফ শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পরে শ্রমিক রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে ১৯৬৭-৮৫ সাল পর্যন্ত বাংলা শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বাধীন ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক, ইউপিপির চেয়ারম্যান, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। জিয়াউর রহমান সরকারের এই শিক্ষামন্ত্রী এরশাদ সরকারের আমলে বাণিজ্য, বন্দর-জাহাজ ও নৌ-পরিবহন, তথ্য, শিক্ষামন্ত্রী, সংসদীয় নেতা, উপ-প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্টের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ সালের ২০শে ডিসেম্বর বিশেষ কাউন্সিলের মাধ্যমে জাতীয় পার্টি একাংশের চেয়ারম্যান নির্বাচিত ও ২০দলীয় জোটের রাজনীতিতে যুক্ত হন। রাজনৈতিক জীবনে মত ও দল বদলের কারণে আলোচিত কাজী জাফর ২৭শে আগস্ট রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও রাজনীতিক সৈয়দ মহসিন আলী। ১৯৪৮ সালের ১২ই ডিসেম্বর মৌলভীবাজার সদরে জন্ম নেয়া মহসিন আলী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে সম্মুখসমরে গুলিবিদ্ধ হন। ১৯৯৮-০৫ সাল পর্যন্ত মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মৌলভীবাজার পৌরসভার তিনবারের চেয়ারম্যান নির্বাচিত ও ১৯৯২ সালে এলজিআরডি মন্ত্রণালয় থেকে শ্রেষ্ঠ পৌর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত ও দশম সংসদে নির্বাচিত হয়ে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। একজন সংগীতপ্রিয় ও সংস্কৃতিমনা মানুষ হিসেবে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন কালেও সংসদে এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশনও করতেন। ১৪ই সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
রাজনীতিক, আইনজীবী ও সাবেক স্পিকার শেখ রাজ্জাক আলী। ১৯২৮ সালের ২৮শে আগস্ট খুলনায় জন্ম নেয়া শেখ রাজ্জাক ভাষা আন্দোলনে অংশ নেন। মওলানা ভাসানীর হাত ধরে রাজনীতিতে হাতেখড়ি। বিএনপি প্রার্থী হিসেবে ১৯৭৯, ’৯১ ও ৯৬ সালে এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে আইন প্রতিমন্ত্রী, ডেপুটি স্পিকার ও স্পিকার নির্বাচিত এবং ১৯৯২ সালে সার্ক স্পিকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তার সভাপতিত্বেই জাতীয় সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অনুমোদন দেয়া হয়। চারদলীয় জোট সরকারের শেষদিকে দল ছেড়ে কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন এলডিপিতে যোগ দিলেও পরে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। ৭ই জুন বার্ধক্যজনিক কারণে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার চাষী নজরুল ইসলাম। ১৯৪১ সালের ২৩শে অক্টোবর মুন্সীগঞ্জে জন্ম নেয়া চাষী নজরুল ১৯৬১ সালে খ্যাতিমান পরিচালক ফতেহ লোহানীর সঙ্গে ‘আছিয়া’ ও ১৯৬৩ সালে চলচ্চিত্রকার ওবায়েদ-উল-হকের ‘দুইদিগন্ত’ চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। মুক্তিযুদ্ধের পর তিনিই প্রথম নির্মাণ করেন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’। তার বিখ্যাত চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- সংগ্রাম, ভালো মানুষ, দেবদাস, শুভদা, শিল্পী, হাঙর নদী গ্রেনেড, হাছন রাজা, দেবদাস (রঙিন সংস্করণ)। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি চারবারের সভাপতি ও সেন্সর বোর্ডের এ সদস্য হাঙর নদী গ্রেনেড চলচ্চিত্রের জন্য ১৯৯৭ শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ২০০৪ সালে একুশে পদকসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বহু পুরস্কার লাভ করেন। ১১ই জানুয়ারি রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
পরমাণু বিজ্ঞানী ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা চৌধুরী সাজ্জাদুল করিম। ১৯৪৮ সালের ৭ই জানুয়ারি চট্টগ্রামে জন্ম নেয়া সিএস করিম ২০০৭ সালে ফখরুদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন সরকারে কৃষি ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিভিন্ন নীতি-নির্ধারণী কমিটিতে দায়িত্ব পালনে অভিজ্ঞ সিএস করিম বাংলাদেশ আনবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ফিজিক্যাল সোসাইটির সভাপতি ও আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থার সদস্য ছিলেন। ২০শে নভেম্বর বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প গ্রুপ প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মে. জে. (অব.) আমজাদ খান চৌধুরী। ১৯৩৯ সালের ১০ই নভেম্বর নাটোরের আমজাদ চৌধুরী ১৯৫৬ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। কর্মজীবনে তিনি সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ পদে ১৯৮১ সালে মেজর জেনারেল হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। বাংলাদেশে কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পের পথিকৃৎ এ ব্যক্তিত্ব এমসিসিআই, ডিইসি, আইডিসিওএল, বাংলাদেশ ডেইরি অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সংগঠনের সভাপতি ছিলেন। রিহ্যাব, বাপা, ইউসেপ প্রভৃতি সংগঠনের এ প্রতিষ্ঠাতা ৯ই জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভাস্কর নভেরা আহমেদ। ১৯৩০ সালে চট্টগ্রামে জন্ম নেয়া নভেরা ভাস্কর হামিদুর রহমানের সঙ্গে জাতীয় শহীদ মিনারের প্রাথমিক নকশা প্রণয়ন করেন। ১৯৭৩ সালের পর তিনি দেশ ছেড়ে প্যারিসে বসবাস শুরু করেন এবং দীর্ঘ অন্তরাল জীবনের পর ২০১৪ সালে প্যারিসে তার রেট্রোসপেকটিভ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৭ সালে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে। চলতি বছরের ৬ই মে প্যারিসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
কিংবদন্তির হকি খেলোয়াড জুম্মন লুসাই। ১৯৫৫ সালের ১২ই আগস্ট সিলেটে জন্ম নেয়া জুম্মন দীর্ঘ একযুগ বাংলাদেশ জাতীয় হকি দলের অনিবার্য সদস্য ছাড়াও আবাহনী ও বাংলাদেশ পুলিশ দলের হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন দীর্ঘদিন। তিনি বাংলাদেশের একমাত্র হকি খেলোয়াড যিনি বিশ্ব একাদশের হয়ে খেলার গৌরব অর্জন করেন। ২০১১ সালে জাতীয় পর্যায়ে ক্রীড়াক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারে ভূষিত হন। ১৮ই জানুয়ারি বিএসএমএমইউতে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
জ্যোতির্বিজ্ঞানী ড. আনোয়ারুর রহমান খান। ১৯৩২ সালে ঢাকার বিক্রমপুরে জন্ম নেয়া এআর রহমান যুক্তরাজ্য থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় যোগ দেন। ১৯৭৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে তার বাসভবনের গ্যারেজে প্রতিষ্ঠা করেন অনুসন্ধিৎসু চক্র বিজ্ঞান সংগঠন। বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির এ প্রতিষ্ঠাতা গ্রামীণ বিজ্ঞান শিক্ষকদের মানোন্নয়নে সত্যেন বসু বিজ্ঞান শিক্ষার ক্যাম্পের সূচনা করেন। ২৬ শে মে তিনি যুক্তরাজ্যের সেন্ট মেরিস হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। বিবিসি খ্যাত সাংবাদিক সিরাজুর রহমান। ১৯৩৪ সালে নোয়াখালীতে জন্ম নেয়া সিরাজুর ১৯৬০ সালে বিবিসিতে যোগ দেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বিবিসির বাংলা রেডিও অনুষ্ঠানে অবদানের জন্য সিরাজুর রহমান বাংলাদেশের জনগণের কাছে এক কিংবদন্তিতে পরিণত হন। ২রা জুন লন্ডনে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রথম চেয়ারম্যান বিচারপতি সুলতান হোসেন খান। ১৯২৫ সালে ঝালকাঠিতে জন্ম নেয়া সুলতান খান সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ছাড়াও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ৪ঠা জুলাই রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। ট্রুথ কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি হাবিবুর রহমান খান। সাবেক এ বিচারপতি ওয়েজ বোর্ড, প্রেস কাউন্সিলেরও চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২১শে অক্টোবর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী ফরিদা ইয়াসমিন। ১৯৪১ সালে সাতক্ষীরায় জন্ম নেয়া ফরিদা ইয়াসমিন বাংলা, উর্দু গান ও গজলে পারদর্শী এবং ১৯৫৮-৬৮ পর্যন্ত এক দশক জুড়ে চলচ্চিত্র ও বেতারের নিয়মিত শিল্পী ছিলেন। তার বিখ্যাত গানগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘তুমি জীবনে মরণে আমায় আপন করেছো’, ‘জানি না ফুরায় যদি এই মধুরাতি’, ‘তোমার পথে কুসুম ছড়াতে এসেছি’, ‘খুশির নেশায় আজকে বুঝি মাতাল হলাম’। ফরিদা ইয়াসমিনের তিন বোন সাবিনা, নীলুফার, ফওজিয়া গানের জগতে স্বনামখ্যাত এবং স্বামী প্রখ্যাত গোয়েন্দা কাহিনী লেখক কাজী আনোয়ার হোসেন। ৮ই আগস্ট রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ ছেলে আরাফাত রহমান কোকো। ব্যক্তিগত জীবনে ব্যবসায়ী কোকো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও সিটি ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ওয়ান ইলেভেনের জরুরি সরকারের সময় মা ও বড় ভাইয়ের সঙ্গে গ্রেপ্তারের পর দীর্ঘ দুই বছর কারাভোগ করেন কোকো। জামিনে মুক্তি পেয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার পর থেকে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছিলেন তিনি। ২৪শে জানুয়ারি মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি মালায়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
চিত্রশিল্পী ও বাংলাদেশের সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রয়াত এএমএস কিবরিয়ার স্ত্রী আসমা কিবরিয়া। ১৯৩৭ সালে জন্ম নেয়া আসমা যুক্তরাষ্ট্রে চিত্রকলা নিয়ে পড়াশোনা করেন। সমসাময়িক মার্কিন শিল্পীদের সঙ্গে কাজের সূত্র ধরে বিমূর্ত ধারার চিত্রকলায় প্রভাবিত হন তিনি। তার কাজ নিয়ে ব্যাংককসহ বিভিন্ন শহরে এ পর্যন্ত দশটি একক প্রদর্শনী হয়েছে। ৯ই নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।


এছাড়াও গতবছর আমরা হারিয়েছি ভারতের প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী শুভ্রা মুখোপাধ্যায়কে যিনি ১৯শে আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
৪ঠা সেপ্টেম্বর ভাষাসৈনিক ডা. এম মহিউদ্দিন খান,
২২শে ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের শব্দসৈনিক স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের রাশিদুল হোসেন।
কবি-শিল্পী-সাহিত্যিকদের মধ্যেঃ
২৪শে মার্চ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা সিরাজুল ইসলাম,
৮ই অক্টোবর গীতিকবি নয়ীম গহর,
২৩শে নভেম্বর আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পটচিত্রশিল্পী রঘুনাথ চক্রবর্তী,
সাংবাদিকদের মধ্যেঃ
২৭শে জানুয়ারি খোন্দকার আলী আশরাফ,
১০ই ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধুর প্রেস সচিব খন্দকার আমিনুল হক,
২১শে ফেব্রুয়ারি হোসাইন জাকির,
২৫শে ফেব্রুয়ারি ফটোসাংবাদিক মীর মহিউদ্দিন সোহান,
১৫ই মার্চ বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব সাইফুল ইসলাম তালুকদার,
১৮ই মে হাসানউজ্জামান খান,
১৪ই জুন পিআইবির চেয়ারম্যান ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক হাবিবুর রহমান মিলন,
৪ঠা জুলাই আতিকুল আলম,
২৫শে সেপ্টেম্বর প্রবীণ সাংবাদিক আবদুল মতিন,
১১ই অক্টোবর মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন,
১৩ই ডিসেম্বর আবদুল্লাহ আল ফারুক,
রাজনীতিকদের মধ্যেঃ


২৭শে মার্চ ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক কমান্ডার (অব.) আবদুর রউফ
৪ঠা মে রাজশাহী কারাগারে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি নাসিরউদ্দিন আহম্মেদ পিন্টু,
১১ই অক্টোবর বাম রাজনীতির এক নির্লোভ চরিত্র কমরেড নুরুল হক মেহেদী, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আবদুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ান,
২৩শে নভেম্বর আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাজেদা চৌধুরীর স্বামী গোলাম আকবর চৌধুরী মৃত্যুবরণ করেন।
কীর্তি মানের কখনোই মৃত্যু নেই। তারা আমাদের মাঝে ছিলেন, আছেন ও থাকবেন। নতুন বছরে গভীর শ্রদ্ধার সাথে আমরা তাদেরকে স্মরণ করছি এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি ভালো আছি

লিখেছেন জানা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯



প্রিয় ব্লগার,

আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আমার ড্রোন ছবি।

লিখেছেন হাশেম, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩

বৃহত্তর প্যারিস তুষারপাত।

ফ্রান্সের তুলুজ শহরে বাংলাদেশের প্রথম স্থায়ী শহীদ মিনার।

হ্যাসল্ট, বেলজিয়াম।

ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী ফ্রান্সের ফ্রিওল আইল্যান্ড।


রোডেসিয়াম এম রেইন, জার্মানি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতার সুফল কতটুকু পাচ্ছে সাধারণ মানুষ

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৮

(১) আমলা /সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীর সন্তানদের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব হতাশাজনক। মুক্তিযুদ্ধের ১৯৭১ সালের রক্ত দেওয়া দেশের এমন কিছু কখনো আশা কি করছে? বঙ্গবন্ধু এমন কিছু কি আশা... ...বাকিটুকু পড়ুন

এলজিবিটি নিয়ে আমার অবস্থান কী!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১০ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:১৫

অনেকেই আমাকে ট্রান্স জেন্ডার ইস্যু নিয়ে কথা বলতে অনুরোধ করেছেন। এ বিষয়ে একজন সাধারণ মানুষের ভূমিকা কী হওয়া উচিত- সে বিষয়ে মতামত চেয়েছেন। কারণ আমি মধ্যপন্থার মতামত দিয়ে থাকি। এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলমানদের বিভিন্ন রকম ফতোয়া দিতেছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩


আপন খালাতো, মামাতো, চাচাতো, ফুফাতো বোনের বা ছেলের, মেয়েকে বিবাহ করা যায়, এ সম্পর্কে আমি জানতে ইউটিউবে সার্চ দিলাম, দেখলাম শায়খ আব্দুল্লাহ, তারপর এই মামুনুল হক ( জেল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×