somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এক বছরের বুড়ো

৩০ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কখনো কখনো খুব একা সময়ে মনেপড়ে যায় পুরোনো কোন অলস দুপুরের অখন্ড অবসর। বিছানায় শুয়ে লাকী আলীর গান...... হঠাৎ ঠেলে বাইরে পাঠিয়ে দেয় আমাকে। কিন্তু সময়ের আবর্তে পণ্যটি পুরোনো হয়ে যাওয়ায় খুঁজে পাইনা হারিয়ে ফেলা লাকী আলীকে। সময় এখন অন্য সুরে মোহিত করতে চায়, আবেশিত করতে চায়। আমি মোহিত হইনা, আবেশিত হইনা। এখনো তিন গোয়েন্দা পড়ি। পড়ে ভাল লাগে তা নয়। পড়ে পুরোনো ভাল লাগারা জেগে ওঠে বলে পড়ি। পুরোনো আবেগের এসব অনুভূতিকে ফিরে পেতে চেয়ে অবাক বিস্ময়ে দেখি, অনেক অনেক পেছনে পড়ে আছে পুরোনো সময়টার শেষ সীমানা! নির্মম সময় আমাকে নতুন আবেগের বশবর্তী করতে চায়, কিন্তু আমার আবেগ শুধু স্মৃতি কাতর হয়ে পড়ে।

পুরোনো চেনা রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে সেই আগের আমেজটা পাই না। পুরোনো আড্ডার জায়গাটা আর পুরোনো নেই। সব নতুন হয়ে গেছে, খালি আমি নতুন হতে পারলাম না! দুপুরের রোদে কখনো কখনো হাঁটতে বেরিয়ে চেনা গন্ধ খুঁজে পাই। পরে বুঝি, সবই ধোঁকা। পথে-পথে, মোড়ে-মোড়ে মানুষের মুখে-মুখে কোন পুরোনো মুখের অবয়ব মেলাতে চাই। মানুষের মুখও কি বদলে গেছে?

তবু রাস্তায় কেমন যেন একটা স্বস্তি বোধ কাজ করে। অচেনা মানুষের মুখ আসলে পুরোনো হয়ে হারিয়ে যায় না। সময়ের আবর্তে কখনো স্মৃতি কাতরতায় ভোগায় না। সেই জন্যেই বোধহয়! কিন্তু আবারো চেনা মুখের খোঁজ চলে, আবারো ঘরে ফেরা হয়।

ব্লগে একটা বছর পার করে আবার এখন একটা মাসও পার করে ফেলেছি। শুরুতে নামটা, পরে প্রোফাইল পিকটা ব্লগার তালিকায় নিচের দিকে ঘোরাঘুরি করত। এখন মাঝামাঝিরও ওপরে। কখনো কখনো প্রথম তিন সারিতেও আমাকে দেখা যায়! সময় আমাকে আরও এক বছরের পুরোনো করে দিল! যখন তালিকার নিচের দিকে থাকতাম, ভাবতাম ওপরেতো কোনদিনও ওঠা হবে না আমাদের! এখন মনে হয় একটু বোধহয় বেশিই উপরে চলে এসেছি! এখন অনেক সহব্লগারই আর ব্লগে নেই। অনেকেই আর নিয়মিত নেই। আর অনেকেই আবার যাই যাই করছেন। অনেক সহব্লগারের ভীড়েও তাই হঠাৎই কেন যেন নিজেকে একা একা মনে হয়। তাই আমিও বোধহয় অনিয়মিত হয়ে পড়ছি দিনে দিনে।

এক বছর এক-দুই মাস করে করে আবারো এগিয়ে চলেছি দুই বছরের দিকে। আরো পুরোনো হয়ে যাচ্ছি। আমার পুরোনো হতে ভাল লাগছে না! মাত্র এক বছরেই আমরা কত বুড়িয়ে যাই!
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×