somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যাই হোক...................

১০ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজকের আকাশটা বেশ নীল ছিল। দেখলাম শুধু আবছা কাঁচে ঢাকা জানলা দিয়ে। আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে আকাশ দেখাটা অনেকদিন হয় না। সন্ধ্যার আকাশ। সময় তাচ্ছিল্লের সাথে সামনে এগিয়ে যেতে থাকে চারপাশটাকে বদলে দিয়ে। আমরা শুধু বুঝতে থাকি, ফেলে আসা সময়টাকে অনুভব করা হয়নি পুরো হৃদয় দিয়ে। নাকি করেছি তবু যথেষ্ট হয় নি? কে জানে! যাই হোক।

এই জানালাটার কাছে আসার জন্য হেঁটে আসা রাস্তায় আজ বড় জ্যাম ছিল। রিক্সা, মোটোরবাইকার, ফুটপাথ বাইকার, প্লাস্টিক আর লোহার ভীরে আমরা চলমান মাংসপিন্ড, কোন রকমে ফাঁক ফোকোর গলে বেরিয়ে যাই। নিরাবেগে ছুটে আসা গতিশীল বস্তুগুলোকে উপেক্ষা করে পেরিয়ে যাই মোড়টা। সে সময়ে হঠাৎ ট্রাফিকের হাতে মার খায় এক রিক্সাওয়ালা। এভাবে মারার অধিকার পুলিশকে কে দিল? কোন আইন কি আছে এভাবে মারার অধিকার নিঃশ্চিত করার জন্য? অবশ্য আইন না থাকলেও বোধহয় চলে। এভাবে যখন তখন রিক্সাওয়ালাদের গায়ে হাত তোলার অধিকারটা আমরা বোধহয় জন্ম সূত্রে পেয়ে এসেছি। তবে যে শ্রেণীঘৃণার জন্ম হল, তা যদি আগুন হয়ে জ্বলে ওঠে, তাহলে আমাদের পোড়ানোর অধিকার কিন্তু তৈরী হয়ে গেল! কিন্তু আগুন কি জ্বলবে? কে জানে! যাই হোক!

এই মোড়টার কাছে আসার আগে যে ফুটপাথের অবশিষ্টাংশ ধরে এসেছিলাম তার ওপরে দাঁড়িয়ে থাকা এক শিশুর মা কে দেখলাম। ভিক্ষুক নয়! পোশাকের ভাষায় বলে সে এমন কেউ, যাকে আমরা রাতে চাই, দিনে সাহস করিনা চাওয়ার। তবে নিরুপায় মানুষটা সবসময়েই আমাদের জীবনে আছে আমাদের গালি গালাজের অর্ধেকটা জুড়ে। অনেকের চোখ, হয়তো আমারও, শরীরের মানচীত্র খোঁজার আশায় বড় হয়ে ওঠে। আমরা আমাদের শারীরীক ও মানসিক অক্ষমতা ঢাকতে সচেষ্ট হয়ে উঠি নিজেদের অজান্তেই। হই না? কে জানে! যাই হোক!

এ পর্যন্ত আসার আগে ছিলাম নিজের চার দেয়ালের ভেতর। খুবই বাস্তব সময়ের ছোঁয়ায় যেখানে আমরা ছোট থেকে বড় হয়ে উঠি, বড় থেকে বুড়ো। অনেক লম্বা ইতিহাসের পাতা উল্টে ঠিক এখানেই প্রথম আমাদের কল্পনা ক্লান্ত মনটা হার মানে। তারপর তিল তিল করে গড়ে ওঠা (নাকি ভেঙে পড়া) দেহটা আর ভার বইতে পারে না। তার পর হঠাৎ সমস্ত অস্তিত্ব অস্তিত্ব হীনতায় বিলিন হয়। মাত্র তিন চারটা কথায় যা ব্যাখ্যা করা যায় সময় তা আমাদের কতইনা সমইয় নিয়ে বোঝায় এ চারদেয়ালে বাধা ঘরটার ভেতর! সময় কি বেকুব নাকি বুদ্ধিমান? কে জানে! যাই হোক!

জানালাটার কাছ থেকে ফিরে যখন আবার এই চারদেয়ালের দিকে ফিরতে থাকি, আকাশটা সব আলো নিয়ে পকেটে পুরেছে। আমরা তখনও হাঁটছি। আজকের এই দিনটাতেও মানুষের মুক্তি নিঃশ্চিত হয় নি। আজও মানুষ বেঁচেছে শুধু শরীরটাকে টেকানোর জন্যই। মানুষকি মুক্তি পাবে? নাকি আমরা শুধু বড় হব আর বুড়ো হব? কে জানে! যাই হোক...................
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×