আমাদের আর জীবন বলে কিছু নেই। প্রতিনিয়ত মৃত্যুর ড্রেস রিহার্সেল করে যাচ্ছি অথবা আমরা মরে গেছি। আমাদের ভাই মরে গেছে, আমাদের বোনেরা মরে যায় ব্যাথায়, বেদনায়, ভালোবাসায়। নিরাপত্তা নেই। নিরাপদ নই কেউ। আমি, তুমি এবং আমাদের সন্তানরা। রাষ্ট্র আমাদের নিরাপত্তা দিতে পারেনি। আমাদের রাষ্ট্র নায়কেরা আমাদের এই করুন দশা নিয়ে বিদ্রুপ করেন। তারা হাসিতে ভেসে যান। সংসদে দাঁড়িয়ে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেন। আমরা সবই দেখি, সবই বুঝি। অভিযোগ জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই, আমাদের সাহস নেই। আমরাও তাই মেতে উঠি, অপ্রাসঙ্গিক ব্যাস্ততায়। আমরা আমাদের আসল সমস্যাগুলো এড়িয়ে, ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করি। দল গঠন করি। সুখের শীৎকার তোলা রাষ্ট্রে আমাদের ইভটিজিং ছাড়া আর কোন সমস্যা নেই। আমরা হয়তো পারতাম দেশকে ভালোবেসে, আমাদের লাশের নিরাপত্তা চেয়ে রাজপথে নামতে। মেঘের কান্না আমরা থামাতে পারিনি, সাগর-রুনীর খুনীরা এখনো মিডিয়াতে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায়। কিশোর মিলনকে পিটিয়ে মেরে ফেলার বিচার আজো হয়নি, সেই খুনিরা আবার স্বপদে ফিরে আসে। ইলিয়াসরা গুম হয়ে আছে, আজো। ঘরে-বাইরে, কোথাও ভালো নেই। নিরাপত্তা নেই। আমাদের মৌলিক চাহিদাগুলো আমাদের দেখে মুচকি হাসে। নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছুই আর নাগালে নেই। সারাদিন বিদ্যুৎ এর লুকোচুরি দেখেও, আমাদের শুনতে হয় আমরা নাকি বিদ্যুতে ভেসে যাচ্ছি।
হায়! এসব বিষয় ছেড়ে বরং আমরা ইভটিজিং এর জন্য দল গঠন করি। আন্দোলন করি। আমাদের রাষ্ট্র নায়কেরা শুধু রসিক নন, আমরাও কম রসিকতা জানিনা।
তবে একদিন সব খেলা শেষ হবে। অগণিত লাশের মিছিলে, তুমি বিদ্রুপ হয়ে রবে।