সিটিজেন চার্টার ও নাগরিক অধিকার
এ এম জিয়া হাবীব আহসান
আইনজীবী, কলামিস্ট, সুশাসন ও মানবাধিকার কর্মী
তারিখ: ২২ নভেম্বর, ২০১২
দৈনিক নয়া দগিন্ত
সংবিধানের তৃতীয় ভাগে নাগরিকের মৌলিক অধিকারগুলো ধারণ করা হয়েছে। প্রতিটি দেশের নাগরিকেরা আইনের অধীনে বেশ কিছু অধিকার ভোগ করে। কিন্তু জনগণের যেসব অধিকার সংবিধানের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়, সেগুলোকে বলা হয় মৌলিক অধিকার। এসব মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হলে এগুলো বলবৎ করার বিধানও সংবিধানে সংযোজন করা হয়।
বাংলাদেশ সংবিধানে বর্ণিত নাগরিকদের মৌলিক অধিকার :
আইনের দৃষ্টিতে সমতা : সব নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকার।
ধর্ম প্রভৃতির কারণে বৈষম্য বিলোপ : কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী ও পুরুষভেদে বা জন্মস্থানের কারণে কোনো নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্রবৈষম্য প্রদর্শন করবে না। রাষ্ট্র ও জনজীবনের সর্বস্তরে নারী-পুরুষের সমান অধিকার লাভ করবে। কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী ও পুরুষভেদে বা জন্মস্থানের কারণে জনসাধারণের কোনো বিনোদন বা বিশ্রামের স্থানে প্রবেশের কিংবা কোনো শিাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির বিষয়ে কোনো নাগরিককে অনুরূপ অমতা, বাধ্যবাধকতা, বাধা বা শর্তের অধীন করা যাবে না।
সরকারি নিয়োগ লাভে সুযোগের সমতা : প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের েেত্র সব নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা লাগবে। কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদে বা জন্মস্থানের কারণে কোনো নাগরিক প্রজাতন্ত্রের নিয়োগ বা পদ লাভের অযোগ্য হবে না কিংবা সে েেত্র তার বৈষম্য প্রদর্শন করা যাবে না।
বিদেশী খেতাব প্রভৃতি গ্রহণ নিষিদ্ধকরণ : রাষ্ট্রপতির পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো নাগরিক কোনো বিদেশী রাষ্ট্রের কাছ থেকে কোনো উপাধি, সম্মান, পুরস্কার বা ভূষণ গ্রহণ করবে না।
আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার : আইনের আশ্রয় লাভ এবং আইনানুযায়ী ও কেবল আইনানুযায়ী ব্যবহার লাভ যেকোনো স্থানে অবস্থানরত প্রত্যেক নাগরিকের এবং সাময়িকভাবে বাংলাদেশে অবস্থানরত অপরাপর ব্যক্তির অবিচ্ছেদ্য অধিকার এবং বিশেষত আইনানুযায়ী ছাড়া এমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না যাতে কোনো ব্যক্তির জীবন, স্বাধীনতা, দেহ, সুনাম বা সম্পত্তির হানি ঘটে।
গ্রেফতার ও আটক সম্পর্কে রাকবচ : গ্রেফতারকৃত কোনো ব্যক্তির যথাসম্ভব শিগগির গ্রেফতারের কারণ জ্ঞাপন না করে প্রহরায় আটক রাখা যাবে না এবং ওই ব্যক্তিকে তার মনোনীত আইনজীবীর সাথে পরামর্শের ও তাকে দিয়ে আত্মপ সমর্থনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। গ্রেফতারকৃত ও প্রহরায় আটক প্রত্যেক ব্যক্তিকে নিকটতম ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে গ্রেফতারের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের স্থান থেকে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সময় ব্যতিরেকে হাজির করা হবে এবং ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ছাড়া তাকে এর অতিরিক্ত সময় প্রহরায় আটক রাখা যাবে না।
জবরদস্তি শ্রম নিষিদ্ধকরণ : সব ধরনের জবরদস্তি শ্রম নিষিদ্ধ এবং এ বিধান কোনোভাবে লঙ্ঘিত হলে তা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য হবে।
বিচার ও দণ্ড সম্পর্কে রণ : অপরাধের দায়মুক্ত কার্য সংগঠনকালে বলবৎ ছিল, এমন আইন ভঙ্গ করার অপরাধ ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না এবং অপরাধ সঙ্ঘটনকালে বলবৎ সেই আইনবলে দণ্ড দেয়া যেত তাকে তার অধিক বা তা থেকে ভিন্ন দণ্ড দেয়া যাবে না। এক অপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তিকে একাধিকবার ফৌজদারিতে সোপর্দ ও দণ্ডিত করা যাবে না। ফৌজদারি অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তি আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন ও নিরপে আদালত বা ট্রাইব্যুনালে দ্রুত ও প্রকাশ্য বিচার লাভের অধিকারী হবে।
কোনো অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে নিজের বিরুদ্ধে স্যা দিতে বাধ্য করা যাবে না। কোনো ব্যক্তিকে যন্ত্রণা দেয়া যাবে না কিংবা নিষ্ঠুর, অমানুষিক বা লাঞ্ছনার দণ্ড দেয়া যাবে না কিংবা কারো সাথে অনুরূপ ব্যবহার করা যাবে না।
চলাফেরার স্বাধীনতা : জনস্বার্থে আইনের মাধ্যমে আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বিধিনিষেধসাপেে বাংলাদেশের সর্বত্র অবাধে চলাফেরার, যেকোনো স্থানে বসবাস ও বসতি স্থাপন এবং বাংলাদেশ ত্যাগ ও বাংলাদেশে পুনঃপ্রবেশ করার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে।
সমাবেশের অধিকার : জনশৃঙ্খলা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের মাধ্যমে আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধসাপেে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হওয়ার, জনসভায় ও শোভাযাত্রায় যোগদান করার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে।
সংগঠনের স্বাধীনতা : জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতার স্বার্থে আইনের মাধ্যমে আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধসাপেে সমিতি বা সঙ্ঘ গঠন করার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে।
চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাকস্বাধীনতা : চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দান করা হয়েছে। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশী রাষ্ট্রগুলোর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা, শালীনতা বা নৈতিকতার স্বার্থে কিংবা আদালত অবমাননা, মানহানি বা অপরাধ সংঘটনের প্ররোচনা সম্পর্কে আইনের মাধ্যমে আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধসাপেে প্রত্যেক নাগরিকের বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকবে।
পেশা ও বৃত্তির স্বাধীনতা : আইনের মাধ্যমে আরোপিত বাধানিষেধসাপেে কোনো পেশা বা বৃত্তি গ্রহণের কিংবা কারবার বা ব্যবসায় পরিচালনার জন্য আইনের মাধ্যমে কোনো যোগ্যতা নির্ধারিত হয়ে থাকলে অনুরূপ যোগ্যতাসম্পন্ন প্রত্যেক নাগরিকের যেকোনো আইনসঙ্গত পেশা বা বৃত্তি গ্রহণের এবং যেকোনো আইনসঙ্গত কারবার বা ব্যবসায় পরিচালনার অধিকার থাকবে।
ধর্মীয় স্বাধীনতা : আইন, জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতাসাপেে প্রত্যেক নাগরিকের যেকোনো ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রয়েছে। প্রত্যেক ধর্মীয় সম্প্রদায় ও উপসম্প্রদায়ের নিজস্ব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপন, রণ ও ব্যবস্থাপনার অধিকার রয়েছে। কোনো শিাপ্রতিষ্ঠানে যোগদানকারী কোনো ব্যক্তির নিজস্ব ধর্মসংক্রান্ত না হলে তাকে কোনো ধর্মীয় শিাগ্রহণ কিংবা কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা উপাসনায় অংশগ্রহণ বা যোগ দিতে হবে না।
জীবন ও ব্যক্তিস্বাধীনতার অধিকার রণ : আইনানুযায়ী ছাড়া জীবন ও ব্যক্তিস্বাধীনতা থেকে কোনো ব্যক্তিকে বঞ্চিত করা যাবে না।
সম্পত্তির অধিকার : আইনের মাধ্যমে আরোপিত বাধানিষেধসাপেে প্রত্যেক নাগরিকের সম্পত্তি অর্জন, ধারণ, হস্তান্তর বা অন্যভাবে বিলিব্যবস্থা করার অধিকার থাকবে এবং আইনের কর্তৃত্ব ছাড়া কোনো সম্পত্তি অর্জন, ধারণ, হস্তান্তর বা অন্যভাবে বিলিব্যবস্থা করার অধিকার থাকবে এবং আইনের কর্তৃত্ব ছাড়া কোনো সম্পত্তি বাধ্যতামূলক গ্রহণ, রাষ্ট্রায়ত্ত বা দখল করা যাবে না।
গৃহ ও যোগাযোগ রণ : রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, জনশৃঙ্খলা, জনসাধারণের নৈতিকতা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের মাধ্যমে আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধসাপেে প্রত্যেক নাগরিকের প্রবেশ, তল্লাশি ও আটক হতে নিজগৃহে নিরাপত্তা লাভের অধিকার রয়েছে এবং চিঠিপত্রের ও যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ে গোপনীয়তা রার অধিকার রয়েছে।
মৌলিক অধিকার বলবৎকরণ : সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদ মৌলিক অধিকার বলবৎকরণের জন্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে সংবিধানের ১০২(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মামলা রুজু করার অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। নাগরিকের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন বা অস্বীকৃতির বিরুদ্ধে নাগরিকগণ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট আবেদনের মাধ্যমে প্রতিকার পেতে পারেন।
উপরিউক্ত মৌলিক অধিকার ছাড়াও আরো কিছু সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে
ষ মানুষের ওপর মানুষের শোষণ হতে মুক্ত ন্যায়ানুগ ও সমতাভিত্তিক সমাজ লাভ করার অধিকার।
ষ মেহনতি মানুষ কৃষক, শ্রমিক ও অনগ্রসর শ্রেণীগুলোর সব ধরনের শোষণ থেকে মুক্তি পাওয়ার অধিকার।
ষ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিা ও চিকিৎসাসহ জীবনধারণের মৌলিক উপকরণের ব্যবস্থা পাওয়ার অধিকার।
ষ কর্মের অধিকার অর্থাৎ কর্মের গুণ ও পরিমাণ বিবেচনা করে যুক্তিসঙ্গত মজুরির বিনিময়ে কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তার অধিকার।
ষ যুক্তিসঙ্গত বিশ্রাম, বিনোদন ও অবকাশের অধিকার।
ষ সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার অর্থাৎ বেকারত্ব, ব্যাধি বা পঙ্গুত্বজনিত কিংবা বৈধব্য, মাতাপিতৃহীন বা বার্ধক্যজনিত কিংবা অনুরূপ অন্যান্য পরিস্থিতিজনিত আয়ত্তাতীত কারণে অভাবগ্রস্ততার েেত্র সরকারি সাহায্য লাভের অধিকার।
ষ আইনের দ্বারা নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত সব বালক-বালিকার অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিালাভের অধিকার।
ষ সব নাগরিক সম্পদের সুষম বণ্টন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের েেত্র সমতার অধিকার।
ষ জাতীয় জীবনের সবস্তরে মহিলাদের অংশগ্রহণ ও সুযোগের সমতা লাভের অধিকার।
ষ কর্মম প্রত্যেক নাগরিকের পে অধিকার, কর্তব্য ও সম্মানের বিষয় এবং ‘প্রত্যেকের কাছ থেকে যোগ্যতানুসারে ও প্রত্যেককে কর্মানুযায়ী’ এই নীতির ভিত্তিতে প্রত্যেকে স্বীয় কর্মের জন্য পারিশ্রমিক লাভের অধিকার।
ষ সব বিষয়ে জনগণের সেবা পাওয়ার অধিকার।
ষ সর্বস্তরের জনগণ জাতীয় সংস্কৃতির সমৃদ্ধিতে অবদান রাখার ও অংশগ্রহণ করার সুযোগ লাভের অধিকার।
ষ প্রত্যেক জাতির স্বাধীন অভিপ্রায় অনুযায়ী পথ ও পন্থার মাধ্যমে অবাধে নিজস্ব সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা নির্ধারণ ও গঠনের অধিকার।
ষ সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ ও বর্ণবৈষম্যবাদের বিরুদ্ধে সর্বত্র নিপীড়িত জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামে সমর্থন পাওয়ার অধিকার।
স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ অনুযায়ী একজন নাগরিকের অধিকার কী কী হতে পারে :
ষ পাঁচসালা ও বিভিন্ন মেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা থেকে সাহায্য পাওয়ার অধিকার।
ষ অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা লাভের অধিকার। এই অধিকার নিশ্চিতকল্পে পল্লী অবকাঠামোর উন্নয়ন, সংরণ ও রণাবেণের দায়িত্ব ইউনিয়ন পরিষদের।
ষ শিালাভের অধিকার। এই অধিকার নিশ্চিতকল্পে ইউনিয়ন পরিষদ প্রাথমিক ও গণশিা কার্যক্রম সম্পর্কিত যথাযথ পদপে গ্রহণ করে থাকবে।
ষ কৃষি, মৎস্য, পশুসম্পদ ও অন্যান্য অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগিতা পাওয়ার অধিকার।
ষ মহামারী ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রা পাওয়ার অধিকার। এই অধিকার নিশ্চিতকল্পে ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব হচ্ছে মহামারী নিয়ন্ত্রণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ।
ষ পারিবারিক বিরোধ নিরসন, নারী ও শিশুকল্যাণ সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাওয়ার অধিকার।
ষ খেলাধুলা, সামাজিক উন্নতি, সংস্কৃতি ইত্যাদি কার্যক্রমে অংশগ্রহণের অধিকার।
ষ পরিবেশ উন্নয়ন ও সংরণে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাওয়ার অধিকার।
ষ নিরাপত্তা লাভের অধিকার। নাগরিকদের সুরায় আইনশৃঙ্খলা রায় সরকারের অর্পিত দায়িত্ব পালন ও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকবে।
ষ জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধীকরণের অধিকার।
ষ বৃরোপণ ও সংরণ এবং বৃসম্পদ চুরি ও ধ্বংস প্রতিরোধে সহায়তা লাভের অধিকার।
ষ বিধবা, এতিম, গরিব ও দুস্থ ব্যক্তিদের যথাযথ সাহায্য পাওয়ার অধিকার।
ষ সমবায় আন্দোলন ও গ্রামীণ শিল্পের উন্নয়নে যথাযথ সহযোগিতা পাওয়ার অধিকার।
ষ বাড়তি খাদ্য উৎপাদনে সহযোগিতা পাওয়ার অধিকার।
ষ চিকিৎসা লাভের অধিকার। এই অধিকার নিশ্চিতকল্পে প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্রের ব্যবস্থা করা ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব।
ষ অবৈধ দখল রোধকরণে সহযোগিতা পাওয়ার অধিকার।
ষ তথ্যপ্রাপ্তির অধিকারÑ আইনের বিধানসাপে,ে বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিকের পরিষদসংক্রান্ত যেকোনো তথ্য, নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রাপ্তির অধিকার।
ষ কোনো ব্যক্তি ভোটার তালিকায় যে ওয়ার্ডে অন্তর্ভুক্ত, সে ওয়ার্ডের সদস্য এবং চেয়ারম্যান নির্বাচনে ভোট দেয়ার অধিকার।
ষ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত যোগ্যতাসাপেক্ষে নির্বাচনে অংশগ্রহণের অধিকার।
সিটিজেন চার্টার অনুযায়ী একজন নাগরিকের অধিকার কী কী হতে পারে :
ষ সেবা পাওয়ার অধিকার।
ষ নিরাপদ ও উপদ্রবহীন জীবনযাপনের অধিকার।
ষ অবকাঠামোগত সুবিধা লাভের অধিকার।
ষ সুষ্ঠু শিাব্যবস্থা ও নিরাপদ পরিবেশ লাভের অধিকার।
ষ গরিব ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের শিাবৃত্তি পাওয়ার অধিকার।
ষ তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার আইনের বিধানসাপে জেলা পরিষদসংক্রান্ত যেকোনো তথ্য, নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রাপ্তির অধিকার।
ষ দুঃখ-দুর্দশায় সহযোগিতা পাওয়ার অধিকার। এ জন্য জেলা পরিষদ জনগণের দুঃখ-দুর্দশা সম্পর্কে সময়মতো অবহিত হওয়া ও তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য একটি নিখুঁত পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করবে।
ষ সময়ের দাবি অনুসারে জেলা পরিষদের সব কার্যক্রমে অংশগ্রহণের অধিকার।
ষ জনগণের সুবিধার্থে সাধারণ পাঠাগারের ব্যবস্থা ও তার রণাবেণ করে থাকবে।
ষ বৃরোপণ ও সংরণের েেত্র সহায়তা লাভের অধিকার।
ষ খেলাধুলা, সামাজিক উন্নতি, সংস্কৃতি ইত্যাদি কার্যক্রমে অংশগ্রহণের অধিকার।
ষ পরিবেশ উন্নয়ন ও সংরণে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাওয়ার অধিকার।
এ মুহূর্তে আমাদের প্রত্যাশা হবে সিটিজেন চার্টারগুলো জনগণকে অবহিত করা। এগুলো সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি হওয়া যাতে দেশে এসব অধিকার বাস্তবায়নের মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।