somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ চুড়েলের পাল্লায় (শেষ পর্ব)

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথম পর্ব
গতদিনের ঘটনা প্রিন্সিপাল স্যারের কাছে পৌছাতে খুব বেশি সময় লাগলো না । আমি এভাবে তাকে না জানিয়েই চলে এসেছি এটাতে তিনি বেশ রাগ করলেন । তবে সেই সাথে আমার নিরাপত্তা নিয়ে বেশ চিন্তিতও হলেন । তার ভাষ্যমতে আমার সাথে যা হয়েছে ঠিক একই রকম ঘটনা আগেই দুইজন শিক্ষকের বেলাতেও হয়েছে । তারা ঠিক একই ভাবে রাতের বেলা বাসা থেকে বের হয়ে যেতেন । এবং এক সময় তারা নিজের মনের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন । এক সময়ে তারা দুইজনই আত্মহত্যা করেন ।

আমি এইবার কোন প্রতিবাদ করলাম না । আমার নিজের মনের ভেতরে একটা অস্বাভাবিক চিন্তা কাজ করছে । আমি কিছুতেই নিজেকে বোঝাতে পারছি না যে আমি কিভাবে আমার নিজের বাসা থেকে বের হয়ে কলেজ মাঠে গিয়ে হাজির হলাম । এমনটা কিভাবে হল?

প্রিন্সিপাল স্যার বললেন, শুনুন অপু সাহেব ! আপনি ঐ বাসায় আর একা একা থাকবেন না ।
-তাহলে !
-আমার বাসায় এসে থাকবেন । আমি আপনার জন্য আমার বাসার গেস্ট রুমটা ঠিক করে দিচ্ছি । ঐ অশরীরি আপনার পেছনে কিছুদিন লেগে থাকবে । অন্তত মাস খানেক আপনার মানুষের মধ্যে থাকতে হবে । আমার বাসায় লোকজন আছে । এরা সব সময় আপনার উপর লক্ষ্য রাখবে ।
-কিন্তু ....
-কোন কিন্তু শুনতে চাই না । আমার কলেজের সকল স্যারদের দেখা শুনার দায়িত্ব আমার নিজের । কোন ভাবেই আরেকটা দুর্ঘটনা আমি ঘটতে দিতে পারি না । যদি থাকতে না চান তাহলে আপনাকে আমি এখানে থাকতে দিব না । আপনাকে বাধ্যতামূলক ছুটি নিতে হবে !

শেষের কথাটা প্রিন্সিপাল স্যার বেশ জোর দিয়েই বললেন । আমি ছুটি নিয়ে কোন ভাবেই বাসায় যেতে চাই না । বাসায় গেলে নিশ্চিত আমাকে ধরে বিয়ে দিয়ে দিবে । যা আমি মোটেই চাই না । এর থেকে বরং প্রিন্সিপাল স্যার যা বলছেন তাই শুনি ! কটা দিন তার অতিথি হয়ে থাকি ।

প্রিন্সিপাল স্যার বাসায় থাকা শুরু করলাম । তার বাড়ি প্রবেশের প্রথম দিনেই দেখতে পেলাম স্যার স্থানীয় হুজুর কে ডেকে এনে পুরো বাড়ি বন্ধ করালেন । কয়েক স্থানে পেরেক পুতে দিলেন । সাথে আরও কত কি করলেন । হুজুর জানালেন যে এখন আর অশরীরি কিছু এই গন্ডির ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না । তবে কোন ভাবেই যেন রাতের বেলা বাড়ির সীমানার বাইরে না যাওয়া হয় । তাহলে চুড়েলের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে না ।

আমার খাবার দাবার সব আমার রুমের চলে আসতো । আমি ঠিক প্রধান বাড়ির সাথে থাকতাম না । প্রিন্সিপাল স্যারের বাড়িটা দুই ভাগে বিভক্ত । একটা হচ্ছে অন্তরমহল । ঐটাই মূল বাড়ি । এছাড়া এল শেইপে আরেকটা বাড়ি রয়েছে মূল বাড়ির সাথে । এই বাড়িতে রয়েছে প্রিন্সিপাল স্যারের বৈঠক খানা । কোন অতিথি আসলে এখানে বসানো হয় । এখানে স্যারের একটা লাইব্রেরীও রয়েছে এবং তার পাশে একটা গেস্ট রুম । আমার থাকার ব্যবস্থা হয়েছে এই গেস্টরুমে । আমি কয়েকদিন শান্তিমত কাটিয়ে দিলাম সেখানে । রাতের বেলা আমার ঘরের সামনে একজন কাজের লোক ঘুমায় যাতে করে আমি বাইরে না বের হতে পারি।

এরই ভেতরে আমার প্রিন্সিপাল স্যারের ছোট মেয়ের সাথে ভাব হয়ে গেল । স্যারের বয়স একটু বেশি হলেও ছোট মেয়ের বয়সটা একটু কম । এইবার ক্লাস ফাইভে । যেখানে বড় মেয়েটা এইবার অনার্স পড়ছে । দুই বোনের বয়সের পার্থক্যটা বেশ । স্যারের মাঝে একটা ছেলে হয়েছিলো তবে সে বাঁচে নি ।

ছোট মেয়ের নাম ইরু । আমার ল্যাপটপ আছে দেখে সে প্রায়ই আমার রুমে চলে আসতো । আমি কি দেখছি না দেখছি সেটা দেখতো । আমিও মানা করতাম না । টুকটাক কথা বলতাম তার সাথে । তার কাছেই চুড়েল কাহিনী আরও ভাল করে শুনতে পেলাম । এখানকার প্রচলিত গল্প অনুযায়ী একটা মেয়ে চুড়েল হয় তখনই যখন মেয়েটি হয় বাচ্চা হতে গিয়ে মারা যায় নয়তো শ্বশুর বাড়ির লোকজনের অত্যাচারে মারা যায় । মোটামুটি বছর পাঁচের আগে এই গ্রামে রাথানাথ নামের এক হিন্দু পরিবার লোক থাকতো । সেই লোকের স্ত্রী দীপা বাচ্চা হতে গিয়ে মারা যায় ।
নিয়ম আছে যদি এমন ভাবে বাচ্চা হতে গিয়ে মারা যায় তাহলে সেই মৃত দেহ কে কোন ভাবেই বাড়ির মুল দরজা দিয়ে না বাইরে বের করিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে বের করাতে হবে । কিন্তু রাধানাথ এই কথা শোনে নি । সে প্রধান দরজা দিয়েই তার স্ত্রীকে বের করেছিল । এছাড়া বিশেষ একটা রিচু্য়্যালও নাকি পালন করতে হয় । সেটাও করা হয় নি ।

আমি বললাম, তা তোমরা কিভাবে বুঝলে যে ঐ রাধানাথের বউই চুড়েল হয়েছে ।
ইরু বলল, যে চুড়েল হয় তার কবরের উপরে মরার সাত দিনের ভেতরে একটা গোপাল গাছ জন্মে এবং সাত দিনের ভেতরে সেই গাছে ফুল ধরে ।
-ফুল ধরেছিলো?
-হুম । এটা সবাই দেখেছে ।
-তা হিন্দুদের না শ্বশানে মৃত দেহ পোড়ায় । কবর দিলো কেন?
-এই এলাকাতে হিন্দুর সংখ্যা খুবই কম । আশে পাশে কোন শ্বশানও নেই । তাই এরা মৃতদেহ পোড়ায় না । কেবল মাটি চাপা দেয় । এদের কবরস্থান আলাদা ।
-আচ্ছা বুঝলাম । তাহলে ঐ দীপাই আমার পেছনে লেগেছে বলে তোমার মনে হয়?
-হ্যা । সে কেবল যুবকদের পেছনে লাগে । গ্রামের তিন যুবক ছেলেকে সে মেরেছে । আর আপনার আগের দুইজন স্যার ।
-মেয়েদের কিছু বলে না ?
-না মেয়েদের ভয় দেখায় কেবল।
-এর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার কোন উপায় নেই ।
-আছে?
-কি শুনি?
-সেটা অবশ্য আপনি পারবেন না । যখন আপনাকে সেই চুড়েল নিয়ে যাবে তখন এমন এমন কেউ সেই চুড়েলের সামনে এসে দাড়াতে হবে যে আপনাকে নিজের থেকেও বেশি ভালবাসে ।

আমি একটু চিন্তার ভাব করে বললাম, আমার এমন তো আমার বাবা মা আছে । আর কেউ নেই ।
-না না বাবা মা হলে হবে না ।
-তাহলে?
-এমন কেউ যে আপনাকে ভালোবাসে । ভালোবাসে.....

ইরু ভালোবাসে বলেই ফিক করে হেসে ফেলল । আমি বুঝতে পারলাম যে ইরু কি বোঝাতে চাইছে । আমি বললাম,, তাহলে ইরু আমার বাঁচার কোন আশা নেই । কারণ আমার এমন কেউ নেই ।

এই কথা শুনেও ইরু ফিক করে হাসলো । তারপর বলল, আছে আছে !
-মানে ?
-আমি বলব না ।
-মানে কি?
-আমি বললে নীরাপু আমাকে মেরে ফেলবে !

এইবার আমি খানিকটা চমকালাম । নীরা হচ্ছে ইরুর বড় বোন । এই বাসায় আসার পর থেকে নীরার সাথে আমার একবারও কথা হয় নি । তবে দেখা হয়েছে বেশ কয়েকবার । আমার পাশের ঘরে যে লাইব্রেরিটা রয়েছে সেখান থেকে নীরা প্রায়ই বই নিতে আসে । আমি যখন লাইব্রেরিতে থাকি তখন প্রায়ই আমাদের চোখাচোখী হয় । তবে কথা হয় না । নীরা মাথা নিচু করে বই খোজে তারপর বই নিয়ে চলে যায় !

সপ্তাহ খানেক নিশ্চিন্তে কাটানোর পরে আমি চলে যাওয়ার কথা বললাম স্যারকে । তবে স্যার বললেন এখনও বিপদ কাটে নি । আমাকে আরও কিছুদিন থকতে হবে । তারপর জানতে চাইলেন আমার এখানে থাকতে কোন সমস্যা হচ্ছে কি না । আমি বললাম যে আমি খুব রাজার হালে আছি । তবে এভাবে থাকলে লোকজন কি বলবে সেই জন্য বলছি । প্রিন্সিপাল স্যার বললেন যে লোকজন যে কি বলবে সেটা নিয়ে যেন আমি মোটেই না ভাবি ।

আমি যখন ভেবেছিলাম আর কিছু হবে না তখনই ঘটনাটা ঘটলো । রাতের বেলা আমি শুয়ে আছি । কিছুতেই ঘুম আসছে না । তার উপর বিদ্যুৎ চলে গেছে বেশ কিছু সময় । ঘরের জানালা খোলা । আমি বিছানা থেকে উঠে সবলাম । তারপর বাইরে তাকালাম । আর কদিন পরেই ভরা পূর্নিমা । চারিদিক আলোতে থই থই করছে । আমি উঠানের দিকে তাকিয়ে রয়েছি । সব কিছু পরিস্কার দেখতে পাচ্ছি । আমার জানলা থেকে সদর গেটটা একেবারে পরিস্কার দেখা যায় । গেট বলতে উচু দেওয়ার গেট না । কোমর পর্যন্ত উচি দেওয়াল সেই সমান উচু গেট । গেটের ঠিক ঐ পাশেই আমি তাকে দেখতে পেলাম ।

শাড়ি পরা মেয়েটি । মাথায় ঘোমটা দেওয়া । সেদিন যে মেয়েটিকে দেখেছিলাম সে। চোখ দুটো জ্বল জ্বল করছে । একেবারে আমার দিকে তাকিয়ে রয়েছে একভাবে । কোন কথা বলছে না তবে আমার মাথার ভেতরটা কেমন যেন করে উঠলো । আমার আবারও সেই কথা মনে হল। মনে হল যেন আমার এখনই ঐ মেয়েটির পেছন পেছন যেতে হবে । মেয়েটি আামকে ডাকছে । ওর পেছন পেছন যেতে বলছে । আমার কেবল মনে আছে আমি দরজা খুলে বাইরে বের হয়েছি । আর কিছুই আমার মনে নেই ।

হঠাৎ করে আমি নিজেকে রাস্তায় আবিস্কার করলাম । আমি হাটছি । এবং থেমে গেছি কোন কারণে । আমার হুস ফিরে এসেছে । আমি বাসা থেকে বের হয়ে কিভাবে গ্রামের এই রাস্তায় চলে এসেছি সেটা আমি মোটেই মনে করতে পারলাম না । হুস ফিরে আসতেই আমার কেবল মনে হল যে আমাকে এখন থেকে চলে যেতে হবে । পালাতে হবে এখনই ।

আমি ঘুরে গিয়ে আবারও বাসার দিকে পা বাড়াতে যাবো তখনই আমার সামনে চোখ গেল । আমি তীব্র অবাক হয়ে দেখলাম যে আমি যে রাস্তায় দাড়িয়ে রয়েছি ঠিক তার সামনে সেই চুড়েল দাড়িয়ে রয়েছে । আগুন চোখে আমার দিকে তাকিয়ে রয়েছে । তবে অবাক হওয়ার ব্যাপার হচ্ছে আমার আর চুড়েলের মাঝে আরও একজন দাড়িয়ে রয়েছে । চাঁদের আলোতে আমি দেখতে পেলাম সেলোয়ার কামিজ পরা এক মেয়ে দাড়িয়ে রয়েছে মাঝে । মেয়েটির চুল খোলা । ওড়না নেই । মেয়েটিকে চিনতে আমার মোটেই কষ্ট হল না । প্রিন্সিপাল স্যারের বড় মেয়ে নীরা !
এই মেয়ে এখানে কি করে?
নীরা কি জেগে ছিল?
আমাকে বের হতে দেখে নিশ্চয়ই সেও বের হয়ে এসেছে?
কিন্তু কাউকে না ডেকে এভাবে একা একা বের কেন হয়েছে? মেয়েটার কি মাথা খারাপ নাকি?

তখনই আমার ইরুর কথা মনে পড়লো !
মানে ..... এমন কোন কি সম্ভবনা থাকতে পারে?
নাহ ! আমি চিন্তাটা বাতিল করে দিতে চাইলাম । কিন্তু মনের ভেতরে কোথাও যেন কেউ বলে উঠলো যে এটাই হচ্ছে !

আমার সেই কথাটা সত্য প্রমান করতেই নীরাকে আমার দিকে এগিয়ে আসতে দেখলাম । নীরা এগিয়ে এসে আমার হাত ধরলো । আমি ভেবেছিলাম যে হয়তো এবার বাসার দিকে নিয়ে যাবে তবে আমাকে অবাক করে দিয়ে নীরা আমাকে সেই অশরীরির দিকে নিয়ে যেতে লাগলো । আমার মনের ভেতরে কি চলছিলো আমি বলতে পারবো না । আমার যেন কোন শক্তি নেই । আমমি চুপচাপ চলতে থাকলাম । নীরা কিছু দুরে গিয়ে দাড়ালো । তখনও আমি সেই জ্বলন্ত চোখ দেখতে পাচ্ছি । তাকিয়ে দেখি নীরা আমার হাত শক্ত করে ধরেছে । সেই সাথে তীব্র চোখে তাকিয়ে রয়েছে চুড়েলের দিকে ।

আমার তখন ইরুর কথা মনে পরলো আরও ভাল ভাবে । ইরু বলেছিলো যে যদি এমন কেউ থাকে যে আপনাকে নিজের চেয়েও বেশি ভাল বাসে তাহলে সে আপনাকে নিয়ে যাবে চুড়েলের সামনে । তার সামনে থেকে আপনাকে ছিনিয়ে নিয়ে আসবে । তার মানে নীরা কি এমন কিছু করছে?
চুড়েলরা মূলত অতৃপ্ত আত্মা যারা বঞ্চনার স্বীকার হয়েছে, নিজের কাছের মানুষ গুলোর কাছ থেকে ভালোবাসা পায় নি, তাই তারা অন্য পুরুষকে নিকের দিকে টানতে চায় কিন্তু যখন কোন মেয়ে সেই পুরুষকে রক্ষা করতে আগলে দাড়ায় তখন কোন ভাবেই চুড়েল তাকে নিয়ে যেতে পারে কিংবা নিজের দিকে টানতে পারে না । এই সব কথা ইরু আমাকে বলেছে । এমন কিছু কি নীরা করছে ?

কত সময় আমরা এভাবে দাড়িয়ে রইলাম আমি বলতে পারবো না । মনে হল যেন নীরা আমার হাত ধরে অনন্তকাল দাড়িয়ে রয়েছে । আমিও দাড়িয়ে রয়েছি একই ভাবে । তবে এক সময় আবিস্কার করলাম যে সেই অশরীরিটা আস্তে আস্তে দুরে চলে যাচ্ছে । দুরে যেতে যেতে সে একেবারে হারিয়ে গেল । আমি অনূভব করলাম যে নীরার হাতের চাপ খানিকটা শিথিল হয়ে এসেছে । অশরীরিটা একেবারে মিলিয়ে যাওয়ার পরে নীরা যেন একটু হাফ ছেড়ে বাঁচলো । তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বলল, আর ভয় নেই । ও আর কোন দিন আসবে না আপনার পেছনে...

নীরা আমার হাত ছেড়ে দিল । তারপর আস্তে আস্তে বাসার দিকে হাটা দিল । আমি পেছন পেছন হাটতে শুরু করলাম । আমার কাছে সব কিছু কেমন যে অবাস্তব লাগছিল, খানিকটা অবিশ্বাস্যও বটে ।
-নীরা?
-হু।
-আমাকে তোমাদের বাসায় রাখার পেছনে কি তোমার কোন হাত আছে?

প্রশ্নটা শুনে নীরা থমকে দাড়ালো । আমার দিকে ফিরে তাকালো সে । তবে আমার প্রশ্নের জবাব দিল না । অবশ্য সেটা দেওয়ার দরকারও পড়লো না । আমি আমার উত্তর পেয়ে গেলাম । আমি এবার খানিকটা এগিয়ে গিয়ে দাড়ালাম ওর সামনে। তারপর বললাম, এখনই বাসায় ঢুকবে? চল ঐদিকে যায় । ঐদিকে না একটা সানবাধানো পুকুর আছে?
-চুড়েলের ভয় নেই আপনার?

মনে মনে বললাম সব থেকে বড় চুড়েলের পাল্লায় পড়েছি । ইনি থাকতে অন্য চুড়েলের সাধ্য কি আমার সামনে আসে । একটু হেসে বললাম, তুমি আছো না !! ভয় কি!

নীরা একটু হাসলো কেবল । তারপর পুরুর পাড়ের দিকে হাটা দিল । একটু আগে কি ভয়ংকর অবস্থার ভেতরে দুজনে ছিলাম সেটা যেন আমাদের কারোই মনে রইলো না।


চুড়েল সম্পর্কিত তথ্য লুৎফুল কায়সারের আরবান লেজেন্ড বই থেকে নেওয়া
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুন, ২০২১ রাত ১২:৫৮
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×