এটি সবার কাছে পরিস্কার, বাংলাদেশে হিন্দুরা সংখ্যালঘু-
এবং তারা কখনো কখনো নির্যাতিত। আমরা কিছুদিন পরপরই দেখি হিন্দুদের মন্দির, প্রতিমা ভাংচুর হচ্ছে। কোন সভ্য সমাজে এসব হীন কর্মকান্ড কখনোই গ্রহনযোগ্য নয়।
বাংলাদেশে হিন্দুরা কখনোই নিজেদের নিজের মনে করেননা, আবার কিছু কিছু হিন্দুতো এদেশ থেকে ভারতকেই নিজেদের দেশ বলে মনে করেন।
এই বিষয়টি নিয়ে এতো বেশি ভাবতাম না, তবে একজন হিন্দু বন্ধুর মনের ইচ্ছে শোনে, বন্ধুটিকে আমার কাছে দেশের জন্যে অভিশাপ মনে হলো।
বাংলাদেশের মিষ্টি, জোয়েলারি, পান এসব ব্যাবসার বিরাট একটা অংশ হিন্দুদের দখলে। এছাড়াও ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যপক মাঠ জুড়েই হিন্দুদের অংশগ্রহন । সব হিন্দুদের কথা বলছিনা, বলছি সেই হিন্দুদের কথা যারা এদেশের মাটিতে ব্যবসা করে, অর্থ পাঠিয়ে দিচ্ছে ভারতে। প্রায় সব হিন্দুদের ভারতে আত্মীয় থাকে-এদের কেউ কেউ জীবনের শেষ সময়টা ভারতে কাটাতে চান। যদি জিজ্ঞেস করেন, কেন???
কারন তারা এদেশে নিরাপদ না।
বাংলাদেশে অনেকে সংখ্যালঘু কোটাতে চাকুরী, অনিরাপত্তার মাঝেই থাকতে রাজি। কিন্তু স্বপ্ন যে তার ভারত যাবার- সেই বাংলাদেশের জনগণের টাকা চলে যাচ্ছে ইন্ডিয়া।
আমার বন্ধুর শখটাও এরকম, তার বাবার কয়েকটা মিষ্টির দোকান আছে, তার ছোট কাকু কলকাতা থাকেন;মাসে মাসে টাকা পাঠানো হয়; সেখানে থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সামনের মাসে বন্ধুর মা বাবা চলে যাবে ভারত।
আমার হিন্দু বন্ধুটি এখনই যাবে না,পড়ালেখা শেষ হোক, একটা চাকুরী করবে: তারপর পোটলা ভরে টাকা সহ যাবে ভারত।
বাংলাদেশে তুমি নিরাপদ না, তবে চাকুরী ব্যবসা এখানে করো কেনো??
আগেই ভারত চলে যাও!
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:০৭