রোদেলা সময়, জানালার গ্রীল ধরে বেড়ে ওঠা অপরাজিতা।
প্রবল বেগে অপরাজিতাটা তার বয়স বাড়াচ্ছে- জানালার সাথে জড়িয়ে নিচ্ছে তার জীবন। এইতো ক'দিন আগে অঙকুর থেকে বাচ্চা অপরাজিতাটাকে দেখে কি অনুমান করা যেতো এভাবে তার জীবন গড়ে ওঠবে জানালার সাথে। আচ্ছা অপরাজিতাটাকি নষ্টালজিয়াতে ভোগেনা??
ওর কি ইচ্ছে করেনা ফিরে যেতে তার অঙ্কুরবেলাতে, তার শিশুবেলাতে...
আজ অপরাজিতার ঘাড়ে পড়েছে শহরো মেজাজকে সবুজ করার ভার।
অপরাজিতাটি কারো প্রেমে পড়েছে কি??
হয়তো না, হলে হয়তো জীবনের তাপে ডগা নুয়ে দিতো-
আমার ইচ্ছে করে, চলে যেতে সেই কৈশোরে, যেখানে ব্যস্ততা নেই, যেখানে সবুজ মন ছুটে চলে দুরন্ত গতিতে।
ইচ্ছে করে, রাত আটটা বাজতেই যেনো চোখে ঘুম চলে আসে, ইচ্ছে করে যেনো ভোর হতেই ঘুম ভেঙ্গে যায়।
ইচ্ছে করে আগের মতন, এতোসব জ্বালার বাইরে- কেবল আম্মা কিংবা আব্বার বকুনির টেনশানটাই যেনো থাকে বুকের ভেতরে।
এই যে এক জীবন যেখানে সবকিছুর মানে পালিয়ে যাওয়া - সেখান থেকে পালিয়ে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে; মনে হচ্ছে কাউকে যেনো কিছু না বলে চলে যাই কৈশোরে।
আচ্ছা একেই কি নষ্টালজিয়া বলে?
ব্যাপকভাবে কৈশোরে ফিরে যাবার প্রবনতা, সেখান থেকে ফেলে আসা স্মৃতির বুকে লাফালাফি করতে, শৈশবের গালে চুমু আঁকতে মন চাচ্ছে।
বুকের মাঝে তীব্র ধুকধুকানি হচ্ছে, পেছনের কিছু ভুলকেও ফুল মনে হচ্ছে।
রাত বিরাতে ফিরে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে পেছনের সময়ে; যেই ট্রেনে করে এসেছি আজ এই ক্ষণে- কাল সকালে প্রভাতি হয়ে আবার কেনো পারবোনা ফিরে যেতে আমার কৈশোরে।
এই বোধকরি নষ্টালজিয়া। ভীষণ ভোগছি এই জ্বরে!!