এই যে কতিপয় অতি উৎসাহী লোক বিজয়ানন্দে সুধীরবাবুর উপ্রে ঝাঁপিয়া পড়িল ইহাতে বাঙলাদেশের বিজয়ানন্দ কি বাড়িল নাকি সেই খবর পাওয়ার পর বাঘের শিকারটা ঘরে আনিয়াও আমরা তৃপ্তির ঢেকুরটা উত্তম পন্থায় তুলিতে পারতেছিনা??
ওহুম তৃপ্তির ঢেকুর তুলিতেই হইবে-
সুধীরবাবুকে যারা ঘিরিয়া ধরিয়া ঢলাঢলি এবং সুধীরবাবুর পশ্চাৎদিয়া বাঁশ ঢোকানোর নিমিত্তে যাদের বিগার উঠিয়া গিয়েছিল তাদেরকে সনাক্ত করে গ্রেফতার; গ্রেফতারের পর বিচারের আওতায় আনা হোক- এবং উত্তম বিচার; হতে পারে তাদের পশ্চাৎ দিয়া বাঁশ ঢোকানো হোক-- এই দাবিতে আগামীকাল সারাদেশে মানববন্ধন হোক।
যেহেতু আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম না- আমাকে আমআদমির ভাষ্যের উপ্রে খাঁড়ায়ে কথা শুনাবলা লাগবে-- কেউ বলছে সুধীরবাবুকে ঘাঁড়ানো হইছে- কেউ বলছে হয়নি।
আমি তখন খেলা দেখে বের হচ্ছিলাম; ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া এবং প্রিন্টস মিডিয়ার অনেক সাংবাদিক বাইরে দাঁড়ানো- প্রায় সব গেইটেরর সামনে--- সবার চোখ ,ক্যামেরা তাঁক করা গেইটের দিকে-- সুধীরবাবু একজন পরিচিত মুখ, ওনার উপর এমন আক্রমন হলো ,অথচ এই সংবাদ আমাদের মিডিয়া প্রকাশ করলো ইন্ডিয়ান মিডিয়াতে খবর আসার পর। আর কেউ কেউ যথারীতি ব্যস্ত হয়ে আছেন- এই নালিশকে মিথ্যে প্রমান করতে।
ইহা সনাক্ত করা খুব কঠিন নয় যে বাবুর উপর কতিপয় দুষ্টবালক ঝাঁপিয়ে পড়েছিল কি পড়েনি, মিরপুর এলাকার রাস্তার মোড়ে মুড়েই পুলিশের সিকিউরিটি ক্যামেরা আছে, আর স্টেডিয়ামের নিরাপত্তার জন্যে আলোকচিত্র এবং চলমানচিত্র গ্রহণকারী যন্ত্রেরতো অভাব নাই---ইহা স্পষ্ট করে তুলে ধরা হোক- ঘটনা কি সত্য ছিল নাকি স্টেডিয়াম থেকে বের হওয়া উৎসুক জনতার ধাক্কা যা ২৬০০০ হাজার দর্শকই ভোগ করে তাতেই বাবুর গাঁ জ্বলেছে।
বাংলাদেশের বিজয়ের আলোচনাকে ছাড়িয়ে গেছে এই সুধীরবাবুর আলোচনা, ফেসবুক সমাজ ইতিমধ্যে বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত
১। সুধীরকে ঘাঁড়ানো হয়নি, এটি একটি মিথ্যে অভিযোগ
২। সুধীরকে ঘাঁড়ানো হয়েছে,
৩। আমি মূলত কিছু জানিনা, তবে আমি ইউটিউবে সুধীরের বক্তব্যে ভিডিও দেখে নিশ্চিত যে ওর উপর আক্রমন হয়েছে
৪। আমি কিচ্ছু জানিনা- তবে ওরে ঘাঁড়ায়ে ভালো করছে, ওরা বিশ্বকাপে আমাদের সাথে চোট্টামি করছে...
৫। আরও বিভিন্ন............
আমরা বাঙালী কেবল এই একটি খেলাকে উপলক্ষ্য করেই এক সাথে হাসি, কাঁদি...
আমি বাংলাদেশ খেলায় ভালো করার পর খবরের পাতাগুলোতে সারাদিন শুধু বাংলার টাইগারদের গৌ্রবের কথাগুলো পড়ি, এবার আবার ভারতীয় পত্রিকাগুলোও পড়ে দেখি টাইগারদের সাফল্য ওরা কিভাবে দেখছে। আর ফেসবুকে দেখি কে কিভাবে তাদের আবেগ প্রকাশ করছে।। এই সিরিজ জয়ের পর ফেসবুক সমাজ ব্যস্ত সুধীর প্রসঙ্গ নিয়ে; যারা সুধীরের উপর হামলা করেছে- হয়তো ৬/৭ জন- তারা হয়তো জানেনা বাঙ্গালীদের ঐতিহ্যের উপর কত বড় থাপ্পড় তারা দিয়েছে; মাঠে টাইগারেরা যেভাবে সারা পৃ্থিবীর কাছে আমাদের দেশকে উপস্থাপন করেছে, আমাদের মাথা উঁচু করে দিয়েছে আরেক ধাপ- আর এই কুলাঙ্গা্রেরা ঠিক আমাদেরকে নগ্ন করে দিয়েছে।
তাই এদেরকে সনাক্ত করা খুবই জরুরী; আর তেমনি জরুরী আসলেই কি সেদিন সেখানে কোন কু্লাঙ্গার ছিল কিনা, আসলেই কি কোন আক্রন হয়েছিল কিনা।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০১৫ রাত ২:৪৭