ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরশ্বরাই থেকে ফৌজদারহাট অংশ একটি পুরোপুরি মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে। আজ ভেঙ্গেছে আমার গাড়ি। আরো কয়েকটি ট্রাক পুরোপুরি জ্বালিয়ে দিয়েছে দেখলাম। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া তিনজন নিরীহ মানুষ অধিকতর: ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছি।
বিকেল চারটা/ সাড়ে চারটা নাগাদ বাড়বকুন্ডের পিএইচপি গ্লাস ফ্যাক্টরীর কাছে পৌছালে এ ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম অভিমূখী আমাদের গাড়ী (টয়োটা নোহা) চলছিল প্রায় ১০০ কিমি বেগে। আচমকা বড় আকারের পাথর ছুড়ে মারে অজানা একদল 'মানুষরূপী শুয়োরের বাচ্চা।' সামনের উইনশিল্ড পুরুপুরি ঝাঁঝরা হয়ে যায়। যদি ড্রাইভার কন্ট্রোল হারাত বা পাথর সরাসরি গায়ে পড়ত তাহলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটত।
যতদুর জানতে পারলাম, জামাতে ইসলামীর বাড়বকুন্ড ইউনিয়ন সভাপতিকে ১৭ নভেম্বর ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অপহরণ করা হয়। আজ ১২ টায় তার লাশ পাওয়া যায়। এর প্রতিবাদে শোকার্ত স্থানীয় জনতা, জামাত, শিবির, বিএনপি ও সংঘবদ্ধ পেশাদার লুটেরা চক্র তাদের বাড়ীর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নির্বিচারে অজ্ঞাতনামা নিরপরাধ মানুষ ও যানবাহনের উপর হামলা চালায়। উল্লেখযোগ্য মুরুদ দেখানোর মত একটি কাজই তারা করেছে তা হল- স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কাম আ'লীগ নেতার বাড়ী জ্বালিয়ে দেয়া।
এটা নতুন কথা নয় যে, ২০১০ সাল থেকে জামাতের নেতাকর্মীসমর্থকদের উপর সরকার, সরকারী বাহিনী, আ-লীগ ও অন্যান্য পেটুয়া বাহিনী নির্মম অত্যাচার চালাচ্ছে। কথা হচ্ছে, এর প্রতিবাদে জামাত (ও বিএনপিরা) কি করছে? বা, কি করতে পারে? যেহেতু তারা কথায় কথায় ইসলামের রেফারেন্স দেয়, কিংবা চিপায় পড়লে কৌশলের দোহাই দেয়- তাদের ইসলামিক প্রতিরোধ/ বা কৌশলটাই বা কি? জানার বড্ড ইচ্ছে!
আমার সরল বুঝ বলে, সাধ্য থাকলে প্রকৃত জালিমকে প্রতিরোধ করা, সমান সমান প্রতিশোধ নেয়া। অথবা, সবর করা।
ঘটনার সাথে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নয় এমন তৃতীয় একদল মানুষ, বা নিদেনপক্ষে প্রাণি বিশেষের উপর অতর্কিত হামলা করে তারা কি অর্জন করেছে বা করতে চায়?