somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

B-);):DB-)অ্যা জার্নি ফ্রম ঢাকা টু কোলকাতা টু বেণ্গালুরু বাই সৃজন ;);)B-):D:PB-)

০১ লা এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৪:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজীজ হঠাত করে হৃদয়ের অসুখে আক্রান্ত হওয়াতে ইন্ডিয়ার বেণ্গালুরু চলে গেল এক বন্ধুর সাথে অপারেশন করাতে। আমি ভিসা পাওয়ার পর প্রস্ততি নিলাম যাওয়ার এবং সৃজনের ভিসা হয়ে গেলে ও যাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে একাই চলে গেলাম আজীজকে সঙগ দেয়ার জন্যে। ৩-৪ দিন পর সৃজন ভিসা পেয়ে গেল। যেহেতু ছেলে (সৃজন) কখনও একা ট্রাভেল করেনি সেহেতু ভয় পাচ্ছিলাম কিভাবে কি করবে তাই ভেবে।:(( এদিকে বাপ -বেটা (ফোনে) মিলে আমাকে শান্তনা দিয়ে যাচ্ছে কোন সমস্যা নেই বলে। মায়ের মন কি মানে?/:) (আজীজ পরে বলেছে যে ওর টেনশন হচ্ছিল কিন্তু আমাকে বুঝতে দেয়নি :P )

যেদিন সকালে সৃজন রওনা দিল, সেদিন প্লেন ছাড়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত ফোনে বারবার কথা বলে নিশ্চিন্ত হয়ে নিয়েছি সব ঠিক আছে কিনা। ১ ঘন্টা পর একটা অপরিচিত নাম্বার থেকে কল এল। ছেলের কন্ঠ শুনে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম - যাক বাবা কোলকাতা এয়ারপোর্ট এসেছে তো! কিন্তু সমস্যা হল এয়ারপোর্টে সিম পাওয়া যায় না.. আমরা ওকে একা একা বাইরে যেতে নিষেধ করেছি বিপদের আশংকায় তাই বাইরেও যায়নি ! পরে শুনলাম ভাগ্য গুণে আজীজের পরিচিত এক লোকের সাথে দেখা হয়েছিল ডোমেস্টিক এয়ারপো্র্টে যিনি ঢাকা ফেরার পথে তাঁর ফোনের সিমটা সৃজনকে ধার দিয়েছিলেন। ৬ ঘন্টা পর সৃজন বেণ্গালুরু রওনা হল আর আবার শুরু হল আমার টেনশন :|

রাত আটটায় বেন্গালুরু এয়ারপোর্ট থেকে ছেলে ফোনে জানাল সব ঠিক আছে এবং আমাদের নির্দেশমতই একটা ট্যাক্সি ক্যাব ভাড়া করে হাসপাতালের পথে রওনা করেছে।এয়ারপোর্ট থেকে হাসপাতাল যেতে দেড় ঘন্টার রাস্তা। আমি আর টেনশন ধরে রাখতে পারছিলাম না! ঘড়ির কাটা যতই এগুচ্ছে , আমার ব্লাড প্রেশারের ব্যারোমিটারও ততই একটু একটু করে বাড়ছে। আমার পাশের লোক নির্বিকার ভাবে শুয়ে আছে আর আমাকে বলছে বেন্গালুরু খুবই সিকিউরড জায়গা সুতরাং কোন ভয় নেই। কার কথা কে শুনে? আমি যা যা দোয়া-দরুদ জানি সব পড়ে শেষ করছি আর একটু পর পর ছেলেকে ফোন করছি। দেড় ঘন্টার রাস্তা, আসতে কেন দুই ঘন্টা লাগছে বলে ছেলে আর ছেলের বাবার কান ঝালাপালা করছি। হঠাত ছেলে বল্ল, "মা এখন আর ফোন করো না, আমি এসে সব বলছি।" মনে হল আমি আর নেই এই দুনিয়ায় :(( আধ ঘন্টা পর ফোন কল পেয়ে নিচে নেমে ছেলেকে নিয়ে ফিরলাম রুমে। বাবা-ছেলের মিলন পর্ব শেষ হওয়ার পর যা শুনলাম তাতে আমার আক্কেল গুড়ুম :-/:-/X((:-/ !

সৃজনের বয়স ১৬+ কিন্তু স্বাস্হ্যের কারণে ওকে দেখায় ২৬+ B-) ! কোলকাতা এয়ারপোর্টে এক কোলকাতাইয়া বাঙালি ওর কাছ থেকে পাসপোর্ট চেয়ে অনুরোধ করেছিল বিদেশী ড্রিংক (!!!!!!!!!) কিনে দেওয়ার জন্যে। সৃজন বলেছে ওর বয়স ১৮ হয়নি, ওকে দেবেনা পারমিশন। ঐ লোক আরে দেবে বলে নিজের পছন্দমত জিনিষ কিনে নিয়েছে। আমি তো শুনে হা :-/ কাম সারছে !!!! যদি কিছু হয়ে যেত??????? আমার ছেলে বেয়াক্কলের মত হাসছে:PB-).বুঝেওনি কি কাজ করছেX((X((:-/ !!!!

এয়ারপোর্ট থেকে আসতে দেরি হয়েছে কারণ প্লেনে আনুমাণিক ২৫ বছর বয়সী এক লোক ওর সাথে খাতির জমিয়ে ওর কাছে লিফট নিয়েছে। ফাও ভাবে সে তার বাড়ি গেছে (X((X(() আমার ছেলের ভাড়া করা ট্যাক্সি ক্যাবে চেপে। আমি পারলে চেয়ার থেকে পরে যাই। বলে কি ছেলে? ডলারের লোভে ঐ লোক যদি পথে কিছু করে বসতো??? :-/

পরদিন সকালে পেপার খুলে দেখি রাত-বিরেতে ট্যাক্সি ক্যাব ভাড়া করা এখন রিস্কি হয়ে গেছে বেংগালুরুতে - এই নিয়ে একতা ফিচার ছেপেছে। পড়ে আমার তো চোখ ছানাবড়া :-/ ..... ভাগ্য ভাল যে কোন অঘটন ছাড়াই সৃজন হাসপাতালে যেতে পেরেছিল। নাহলে কি আমি ঘটনা গুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পারতাম?? :P









সর্বশেষ এডিট : ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:২৯
১৩টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×