অফিসের কাজ টা আজ একটু জলদি গুছিয়ে নিলো রায়হান।
আজ একটু তাড়া আছে।
একটু আগে অফিস ছাড়ার কারনে অফিস ট্রান্সপোর্ট ইউস করতে পারবেনা,কষ্ট করে পাবলিক বাসে যেতে হবে।
প্রতিদিনের মতো আজ ও শায়লা তাকে বলেছিল "আজ একটু আগে এসো প্লিজ"।
রায়হান শেষ কবে রাত ৮ টার আগে বাড়ি ফিরেছে মনে নেই তার।কিন্তু শায়লা কখনো মন খারাপ করেনা তাই বলে।
একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে ভালো বেতনের চাকরি করে রায়হান , তাই সাভাবিক ভাবেই ভালবাসার চাইতে ভালো থাকা টাকে প্রাধান্য দিতে হয় তার।
সবাই ভালো থাকতেই চায়। কেউ পারে কেউ পারেনা।
বাসের জানালার একপাশের সীটে বসলো রায়হান। ভাবছে শায়লা আজ কিছুটা হলেও সারপ্রাইজড হবে। বাসায় পৌঁছুতে ৪০ মিনিটের বেশি সময় লাগার কথা না কিন্তু আমাদের জ্যাম নিরলজ্জের মতো ২ ঘন্টা সময় নষ্ট করতেও দ্বিধা করবেনা।
ঠিক ১ ঘন্টা ৪০ মিনিট পর বাস থামল।
বাস থেকে নেমে একটা রিক্সা নিতে যেয়ে কি যেন মনে হল তার,"থাক যাবনা" বলে রিক্সা ছেড়ে দিল রায়হান।
পাশের ছোট্ট কনফেকশনারিটায় ঢুকল।
"ক্যাডবেরি দেন একটা, আছে না"?? টাকা টা এগিয়ে দিল।
দোকানী "ভাই ভাংতি দিলে ভালো হইত"
মাথা নাড়ল রায়হান,চেঞ্জ টা বুক পকেটে গুজে বাসার দিকে রওনা দিল সে।
গল্পটা কোন মধ্যবিত্তের ভালোবাসার গল্প নয়। গল্পটা সব শ্রেণীর মানুষের গল্প, শুধু প্রকাশ ভঙ্গিটা শ্রেণীভেদে ভিন্ন।
বাস্তব জীবনের বন্ধুর পথ , নিত্যদিনের সংগ্রাম, মানসিক বা আর্থিক টানাপড়েন ,পরিবেশ কিংবা মানুষের কলুষতা ,প্রতিহিংসা মানুষকে বদলে দেয় নানা ভাবে।
যা বদলায় না তা হল সত্যিকারের ভালোবাসা , মায়া ,বিশ্বস্ততা তাই বেঁচে থাকুক ভালোবাসা!
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:২০