গ্রীষ্মের ভর দুপুরে শালুক দীঘীর দিব্যি সাঁতার,
নীলিমায় মাছ রাংগার আপনমনে ছবি আঁকার
কামরাংগার হলুদ পাতায় মোহনীয় সূর্যরোদের ঢেউয়ের নাচন,
শতবর্ষী বটের নীচে জীবন সতেজ হিমেল হাওয়ায় সুরের লগন,
ধূসর খাতায় ,ভালোবাসার, দ্রোহের কিছু পংক্তি লিখা,
পিতার ছবির সামনে চেয়ে আপনমনে ভাবতে থাকা।
বোনের চুলের রংগিন ফিতেয় মায়ের স্নেহের সুবাস পাওয়া
ভালোবাসার শিউলিমালা,জীবন গাংগে নৌকা বাওয়া।
বুকের মাঝে বারুদ নিয়ে,
ভাবছি বসে আর হবে কি?
আজ দিনের শেষে অস্তমিত সূর্যপ্রহর
বাহির থেকে ডাকছে আমায় মায়ের কবর।
সেখানে আনাগোনা বেশ কয়েকবার,
বইছে চোখে আগুন নদী মুক্ত হবার।
অবশেষে রাত বারটা,
বেজে চলেই,একটা দুটা।
জীবনতাড়া,পথের তাড়া,
পৌরষত্বের বীজের তাড়া।
আরেকবার মায়ের কবর
পুড়ছে বারুদ বুকের ভিতর।
মোহন,তাহের ,রাজন,কালা,
রক্ত দিয়ে ভাই পিদিম জ্বালা
সে পিদিম যে সূর্য্য সমান
এ সূর্য্য মানেই মুক্তির ই গান।
দ্রোহের আগুন বারুদে মিশাই
বোমা দিয়ে ভাই বক্ষ সাজাই।
লাল সবুজের পতাকা উড়াই
রক্ত দিয়ে আজ মুক্তি রাংগাই।
(শিউলির কাছে মোহনের কোনো স্মৃতি নেই আর।শুধু রক্তে ভেজা এ কবিতাটি সে পড়ে বছরের এক বিশেষ দিনে।যেদিন মোহন রক্ত দিয়ে মুক্তি রাংগিয়েছিলো। শিউলি আপন মনে পড়ে সবার অগোচরে। শিউলির জীবন বিবর্ণ হয়ে গেছে বয়সে,জরায়,শোকে,অসুখে।কিন্তু মোহন সেই একুশ বছরের চিরযুবা আজো রয়ে গেছে)
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৯:২৪