শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
উৎসর্গ ঃ ব্লগার নহিদকে যার জন্য এমন সুন্দর ছবি উপহার পেয়েছি।
এই হাসিটা হেসে ছিলাম
চল্লিশ বছর আগে
ছবি দেখেই সরল মা মোর
ধমকে উঠলেন রাগে।
“কাকে দেখে হাসলি এমন?”
সন্দেহ নিয়ে বলল
কিছু বলার আগেই আমার
দুই কান ধরে ম’লল।
বিনা দোষেই কান ম’লাতে
মনটা হলো বেজার
বাবার ভয়ে ছবি লুকালাম
বের করি নাই আর।
তারপরেতেও রক্ষা নাই যে
মায়ের কাছে শুনে
তিনখান চড় চাপায় মারল
বাপটা গুণে গুণে।
হায়রে একি বিপদ আমার
হাসির ছবি তুলে!
মারের চোটে নায়োকি ভাব
গেলাম তখন ভুলে।
সেই থেকে যে হাসি দিয়ে
ছবি তুলিনি আর
ক্যামেরাওয়ালা যতই বলুক
কথা রাখিনি তার।
ওই হাসিটা হেসেছিলাম
সালটা আটাত্তুর
বছর আঠারোর তরুণ ছিলাম
ভাবে নানান সুর।
কিন্তু এবার হাসলাম রে ভাই
চল্লিশ বছর পরে
ব্লগ দিবসে সবার মাঝে
প্রাণটা উজার করে।
আমি নাকি কম বয়সি
বলল অনেক জন
কথা শুনেই প্রাণখুলে তাই
হাসলাম কিছুক্ষণ।
কিন্তু তখন বয়স আমার
আটান্ন যে পার
কোন কারণে কমল বয়স
পাইনে খুঁজে আর।
ছবি দেখে সবাই বলে
চল্লিশ উর্দ্ধ নয়
গিন্নি দেখেও খুশি হওয়ায়
কাটল আমার ভয়।
নিজের গিন্নি খুশি হলে
রাজ্য জয়ের মত
তা না হলে গিন্নির ভয়ে
কষ্ট পেতাম কত!
এমন ছবি তুললেন যিনি
ব্লগার নাহিদ ভাই
ধন্যবাদটা কেমনে দিব
ভাবছি বসে তাই।
ভাব ভঙ্গিটা যেমনই হোক
নামটা চমৎকার
এই ব্লগের ব্লগার তিনি
তুলনা নাই যার।
ক্যামেরার চেয়ে মেধা বেশি
তাইতো এমন হবি
পেশায় নয়রে নেশায় পরে
তোলেন সবার ছবি।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৭