" আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা, আমরা স্বপ্ন দেখতে ভুলি গেছি।আমরা ভুলে গেছি কি ভাবে পা ফেলতে হয়,ছোট কালে বাবা মা শিখেয়েছে পা ফেলা আর ঠিক এখনও যদি আমরা চাই তারা আমাদের পা ফেলতে সাহায্য করুক তাহলে কি নেহাৎ বোকামি ছাড়া অন্য কিছু হবেনা?বরাবরের মত কিন্তু আমরা এটাই করে যাচ্ছি, বেশির ভাগ সময় দেখা যায় আমরা অপরকে দেখে খুশি কিংবা ক্ষেত্র বিশেষে অখুশি।আসুন একটু উদাহরন যাওয়া যাক- আমরা কখনো কখনো সাকিব কে দেখে অনুপ্রাণিত হই ভাবি ইস! আমি যদি ওর মত খেলতে পারতাম? আমার মনে হয় সকল ক্রিকেট প্রেমীরাই এটা একবার হলেও ভেবেছেন কিন্তু কখনো কি এমন উদ্যোগী হয়েছি যে আমি সাকিবের মত হবোই আমাকে হতেই হবে,মনে হয়না হয়েছি।চেষ্টা চালিয়েছি কি কখনও?চালালেও কি আমমি সাকিব হতে পারব???আবার কখনও কখনও ক্যাপ্তান মাশরাফির নেতৃতে অনুপ্রাণিত হয়ে ওর স্থানে নিজেকে ভেবে স্বপ্নে কল্পনা করেছি বারং বার মনে মনে হাজার বার হয়তোবা বলেছি"ধরে দিবানি"।বিরাট কোহলি কিংবা তরুন উদীয়মান মুস্তাফিজের যায়গাতেও নিজেকে কল্পনা করি আমরা।আচ্ছা কল্পনা করতেতো কোন বাধা নিষেধ নেই আমরা কিছু গুণী বাঙালীরা কেবল কল্পনাতে খুশি।একটা বিশেষ ক্ষেত্রে আমরা কিন্তু সবথেকে বেশি কল্পনায় ভেসে যাই তা হলো সিনেমা কিংবা কোন নাটকের অভিনেতার চরিত্রে
ভাবি ইস! আমি যদি শাহরুখ হতাম, আমি যদি আমির কিংবা জিৎ হতাম,আবার আমি যদি সিয়াম বা নিশোর মত হতাম???প্রশ্ন থেকে যায়।আমাদের চিন্তা ভাবনা "হতাম?" পর্যন্ত সীমাবদ্ধ।,এর বেশি নয়।এই ভাবনা কেবলই মরীচিকা মাত্র।কারন আমরা পারবো না সোহাগ গাজী, মেহেদী মিরাজ কিংবা মোসাদ্দেক হতে।আমরা পারবো না অক্ষয় কুমার কিংবা আমির খান হতে।কারন তাদের মত পরিশ্রম করার ইচ্ছা বা মনোবল আমাদের নেই।মেহেদী মিরাজ মোসাদ্দেক অক্ষয় কুমার কতটা কষ্ট করে তাদের পজিশন কে আগলে ধরেছেন শুধু মাত্র তাদের সফলতার ইতিহাস ঘাটলে জানা যায়।কখনো কি ভেবেছেন আমি রবীন্দ্রনাথ কিংবা নজরুল হবো? নজরুলের প্রবন্ধগুলো পড়লে বুঝতে পারবেন, উনি কতটা
স্বশিক্ষিত ছিলেন। শুধু রুটির দোকানে চাকরিতেই নজরুল হয় না। কিংবা
স্কুলকলেজে না গেলেই রবীন্দ্রনাথ হয়ে যাওয়া যাবে না। সবাই তো বই
বাঁধাইয়ের দোকানে চাকরি করে মাইকেল ফ্যারাডে হতে পারে না,
বেশিরভাগই তো সারাজীবন বই বাঁধাই করেই কাটিয়ে দেয়।এতক্ষণ যে বকরবকর করলাম তার মূলে কিন্তু
পরিশ্রম। প্রথমেই আসে পরিশ্রমের ব্যাপারটা। যারা আপনার চাইতে এগিয়ে,
তারা আপনার চাইতে বেশি পরিশ্রমী। এটা মেনে নিন। ঘুমানোর আনন্দ
আর ভোর দেখার আনন্দ একসাথে পাওয়া যায় না। শুধু পরিশ্রম করলেই সব
হয় না। তা-ই যদি হত, তবে গাধা হত বনের রাজা। শুধু পরিশ্রম করা নয়,
এর পুরস্কার পাওয়াটাই বড় কথা। অনলি ইওর রেজাল্টস্ আর
রিওয়ার্ডেড, নট ইওর এফর্টস্। আপনি এক্সট্রা আওয়ার না খাটলে
এক্সট্রা মাইল এগিয়ে থাকবেন কীভাবে? সবার দিনই তো ২৪ ঘণ্টায়।
আমার বন্ধুকে দেখেছি, অন্যরা যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন সে রাত জেগে
আউটসোর্সিং করে। ও রাত জাগার সুবিধা তো পাবেই! আপনি বাড়তি
কী করলেন, সেটাই ঠিক করে দেবে, আপনি বাড়তি কী পাবেন। আপনি
ভিন্নকিছু করতে না পারলে আপনি ভিন্নকিছু পাবেন না। বিল গেটস
রাতারাতি বিল গেটস হননি। শুধু ভার্সিটি ড্রপআউট হলেই স্টিভ
জবস কিংবা জুকারবার্গ হওয়া যায় না। ইচ্ছা শক্তি আর পরিশ্রম সর্বদা আপনাকে এগিয়ে রাখবে।এই দুটির অবর্তমানে আপনি এই পৃথিবীতে নোবডি মাত্র।
আমার বন্ধু সাদ ও রজনি কে দেখছি যেখানে আমি আউটসোর্সিং এ আর্নিং না করে ও ব্যাপক আশাবাদী
আমার চেষ্টা ও ইচ্ছা শক্তির মনোবলে সেখানে সাদের বক্তব্য "আমি কনফিউজড আদৌ কি এটা দিয়ে কিছু হবে??এখন আমি বলবো প্রত্যেক টা উদ্যোগে আমাদের পা টেনে ধরে এই "কনফিউজড"
আর এটা কাধে চেপে থাকলে কখনও কিছু সম্ভব নয়।মূল কথা আমার পারতে হবে।অভি ভাইয়া একটা কথা বলেছিলো ক্লাসে "আমি যা ই করিনা কেন আমাকে ফাস্ট হইতে হবে সে হোক লেখাপড়া খেলাধুলা হোক চুরি কিংবা ডাকাতি।ভাইয়ার প্রত্যেক টা কথাই আপনাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যথার্থ।
আমাদের আর একটা বড় সমস্যা আমাদের জ্ঞান যতটুকুতে সীমাবদ্ধ আমরা তার থেকে নিজেদের বেশি জ্ঞানী ভাবতে শুরু করি।দুইটা ছবি আকতে পারি বলে
নিজেকে হয়তো আর্টিস্ট শাকির এহসানউল্লার স্থানে বসিয়ে দেই।আর যদি শাকিরের মত ছবি আকতাম তাহলেতো আমি জয়নুল আবেদীন। সামান্য একটা প্রাইভেট ইনিভার্সিটিতে এল এল বি পড়া মানে আমাদের কাছে আহাহা আমিতো "হবু কেডি পাঠক"।
বর্তমানে টুকটাক স্মার্টনেস আমার খেয়ে দেয়ে ফেলে রেখেছে-স্মার্ট এর ভবিষৎ টা বলেলে যাই,,,,,,
"
‘ওহ শিট’, ‘সরি বেবি’,
‘চ্যাটিংডেটিং’ দিয়ে জীবন চলবে না। আপনি যার উপর ডিপেনডেন্ট,
তাকে বাদ দিয়ে নিজের অবস্থানটা কল্পনা করে দেখুন। যে গাড়িটা করে
ভার্সিটিতে আসেন, ঘোরাঘুরি করেন, সেটি কি আপনার নিজের
টাকায় কেনা? ওটা নিয়ে ভাব দেখান কোন আক্কেলে? একদিন আপনাকে
পৃথিবীর পথে নামতে হবে। তখন আপনাকে যা যা করতে হবে, সেসব কাজ
এখনই করা শুরু করুন। জীবনে বড় হতে হলে কিছু ভাল বই পড়তে হয়, কিছু
ভাল মুভি দেখতে হয়, কিছু ভাল মিউজিক শুনতে হয়, কিছু ভাল
জায়গায় ঘুরতে হয়, কিছু ভাল মানুষের সাথে কথা বলতে হয়, কিছু ভাল
কাজ করতে হয়। জীবনটা শুধু হাহা-হিহি করে কাটিয়ে দেয়ার জন্য নয়।
একদিন যখন জীবনের মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে, তখন দেখবেন, পায়ের নিচ
থেকে মাটি সরে যাচ্ছে, মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ছে।
তাই এই কথাটাই বলবো পরিশ্রমী হতে না পারলে আদৌ "হতাম" এ পড়ে থাকতে হবে আর কিছু জুটবেনা। জীবনটাকে যে সময়ে চাবুক মারতে হয়, সে সময়ে
জীবনটাকে উপভোগ করলে, যে সময়ে জীবনটাকে উপভোগ করার কথা, সে
সময়ে জীবনটাকে উপভোগ করতে পারবেন না, এটাই স্বাভাবিক। এটা
মেনে নিন। মেনে নিতে না পারলে ঘুরে দাঁড়ান। এখনই সময়!
বড় হতে হলে বড় মানুষের সাথে মিশতে হয়, চলতে হয়, ওদের কথা শুনতে হয়।
এক্ষেত্রে ভার্সিটিতে পড়ার সময় বন্ধু নির্বাচনটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার সাবকনশাস মাইন্ড আপনাকে আপনার বন্ধুদের কাজ দ্বারা
প্রভাবিত করে। আমরা নিজেদের অজ্ঞাতসারেই আমাদের চাইতে
ইনফেরিয়র লোকজনের সাথে ওঠাবসা করি, কারণ তখন আমরা
নিজেদেরকে সুপিরিয়র ভাবতে পারি। এ ব্যাপারটা সুইসাইডাল।
আশেপাশে কাউকেই বড় হতে না দেখলে বড় হওয়ার ইচ্ছে জাগে না,সর্বোচ্চ চেষ্টা করুনন নিজে কি করতরতে পারেন।আউটসোর্সিং এ রজনিতো পুরো আমার উপর ডিপেন্ডডেট "আমি কবে আর্নিং করবো
তারপর সে শুরু করবে।হতাস!হতাস!হতাস!
একটা তথাকথিত স্টাব্লিসমেন্টের পেছনে কেন আমরা ছুটব, কেন আমাদের উদ্দেশ্য হবেনা আমরা জয়নুল হব,ভ্যান গগ হব, স্পিলবার্গ হব, জগদীশ হব????"
এখনো আপনার অহংকার করার
মত কিছুই নেই, পৃথিবীর কাছে আপনি একজন নোবডি মাত্র।।।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৪৭