আরবদের মাথায় মগজ নাই!! ওদের শরীরে উপরের অংশের হলুদ পদার্থ আর শরীরের মাঝের অংশের হলুদ পদার্থের কোনো পার্থক্য কি আছে?
কাতার খুবই ছোট একটি দেশ, আয়তন মাত্র সাড়ে ১১ হাজার বর্গ কিলোমিটার। এর তুলনায় বাংলাদেশ মেলা বড়, ১ লাখ ৪৪ হাজার বর্গ কিলোমিটার। দুই দেশেই স্বাধীনতা পেয়েছে ১৯৭১ সালে। কাতারের জনসংখ্যা মাত্র ২৮ লাখ, অন্যদিকে বাংলাদেশের জনসংখ্যা কম-বেশী ১৭ কোটি। কাতার বাংলাদেশের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে গেছে। কিভাবে?
কাতারের আছে পেট্রোডলার, মানে তেল বেচা টাকা। বাংলাদেশেরও ছিলো (আছে) গ্যাস। কিন্তু তারপরও দুই দেশের মধ্যে এতো সমৃদ্ধগত তফাত কেনো? আমরা কোন দিক দিয়ে, কি কারণে পিছিয়ে পরলাম?
ভোদাই আরবরা (কাতার) ২৪০ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে ফুটবল বিশ্বকাপের পিছনে। অথচো তাদের ২৮ লাখ লোকের মধ্যে ফুটবল উন্মাদনা বলতে যা বুঝায় তা প্রায় শূন্যের কোঠায়। এতো বিশাল অংকের অর্থ কেনো খরচ করলো ভোদাই আরবা? এতোটুকু একটা দেশ, তাও আবার মরুভূমি। না আছে জনশক্তি, না আছে উন্নত প্রচুক্তিতে নিজের দক্ষতা, না আছে শিল্পকারখানা। কি নিয়ে টিকে থাকবে আগামির কাতার?
ধারনা করা হয় ২০৫০ সালের পরে তেল থেকে যে ডলার আসছে তা বন্ধ হয়ে যাবে কাতারের। তাহলে তারা চলবে কি করে? মরুভূমির বালিতো আর বিক্রি করতে পারবে না। বিক্রি করার মতো আর কিছুই নেই তাদের। তাহলে উপায় কি?
উপায় একটাই- পর্যটন এবং পর্যটন সম্পর্কিত অন্যান্য জিনিস। দুবাইয়ের দিকে তাকিয়ে দেখেন। সম্ভবতো সেখান থেকেই কাতার অনুপ্রেরনা পেয়েছে।
পর্যটকদের আকৃষ্ট করার মতো তেমন কিছু কি ছিলো কাতারের?
না, ছিলো না। লবিং করে (ডলার খরচ করে) ফুটবল বিশ্বাপ আয়োজনের সুযোগ করে নিয়ে গত দশবছরে কাতার তার মরুভূমিকে আমুল পালটে দিয়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ৮টি স্টেডিয়াম তৈরি করেছে। আধুনিক বিশ্বমানের হোটেল তৈরি করেছে। রাস্তা-ঘাট তৈরি করেছে। পর্যটকদের বিনোদনের নানান ব্যবস্থা তৈরি করেছে। প্রচার প্রচারণা আর উপস্থাপনার চাকচিক্কে তাদের কোনো ত্রুটি ছিলো না। বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে তাদের হোটেলগুলির সব রুম বুক হয়ে গেছে। খেলার সমস্ত টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে। তাদের এয়ারলাইন্সের টিকেটের দাম আর চাহিদা হু-হু করে বেড়ে গেছে। সরা দুনিয়ার ফুটবল প্রিয় দর্শক আর পর্যটকদের কাছে কাতার আলাদা একটা যায়গা তৈরি করে নিয়েছে।
এখন আপনি চিন্তা করে দেখেন ভোদাই আরবরা (কাতার) ২৪০ বিলিয়ন ডলার খরচ করে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে, নাকি তাদের আগামি পরিকল্পনা ব্রেন্ডিং করে সরা বিশ্বের কাছে উপস্থাপন করেছে? এই খরচটা শুধু এই মাসখানেক খেলার জন্য খরচ করেছে, নাকি এটি লং টার্ম ইনভেস্টমেন্ট?
২৪০ বিলিয়ন খরচ করে ৬ বিলিয়ন আয় করা ভোদাই আরবরা যে এক সিজনের জন্য কলা বাগান না লাগিয়ে তলে তলে শত বছরের জন্য আম বাগান তৈরি করছে, সেটি অতি চালাক আমরা বুঝে উঠতে পারি নাই মনে হয়।
তথ্য সূত্র ও উৎসর্গ : গাজী সাহেবের শেষ পোস্ট ও গাজী সাহেব।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২৭